দোলের আগের দিন অ্যাপ বাইক ট্যাক্সির জন্য একটি অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইলাম। বিষয়টি নিয়ে পরিবহণ দফতর ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে আরও গভীর ভাবে ভাবার জন্য অনুরোধ রইল। বেশ কয়েক মাস ধরে বেসরকারি বাইক ট্যাক্সি সংস্থার ভাড়া বৃদ্ধি ও সংশ্লিষ্ট ভাড়ার তুলনায় বেশি ভাড়া দাবি করা ও অন্যথায় ট্রিপ বাতিল করে দেওয়ার মতো অভিযোগগুলো সংবাদ ও বৈদ্যুতিন মাধ্যমে তুলে ধরা হলেও, সংশ্লিষ্ট সংস্থা বিষয়টি নিয়ে উদাসীন। অ্যাপ ক্যাব বেশি ভাড়া চালু করলেও পেট্রল, ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে এসি চালায় না। তাই তুলনামূলক কম খরচ বহন করে যাত্রীরা বাইক ট্যাক্সিকে পছন্দ করলেও সেই সুযোগের অপব্যবহার বেড়েছে শহর জুড়ে।
কিছু দিন আগে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে দমদম আসতে অ্যাপ বাইক ট্যাক্সি বুক করি। আমায় নির্ধারিত ভাড়া দেখায় ১৮৫ টাকা। কিছু সময় পরে বাইক ট্যাক্সির চালক ফোন করে আমার গন্তব্য জিজ্ঞেস করে ভাড়া জানতে চান। সংশ্লিষ্ট ভাড়া জেনে ২৫০ টাকা হেঁকে বসেন তিনি। আমি রাজি না হওয়ায় তিনি ট্রিপ বাতিল করতে বলেন। কিন্তু আমি সংস্থার নির্ধারিত ভাড়াতেই গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর মনস্থির করি। তখন তিনি বাইক ট্রিপ বাতিল না করে আর এক জন চালককে আমার গন্তব্যের আর্জি পাঠিয়ে দেন। সেই চালকও ফোন করে একই দাবি করেন। আমি তাতেও সায় না দেওয়ায় তিনিও ট্রিপ বাতিল করতে বলেন। আমি তা না করে অপেক্ষা করতে থাকি। ট্রিপ বাতিল করলে অ্যাপ সংস্থার নিয়মানুযায়ী পরের বার বাইক ট্যাক্সি চেপে যাওয়ার প্রয়োজন হলে বেশ কিছু টাকা জরিমানা দিতে হয়। এ ভাবে বহু ক্ষণ অপেক্ষা করার পরে উক্ত সংস্থা থেকে আমায় ফোন করে ট্রিপ নির্ধারণ না করার কারণ জানতে চাওয়া হয়। আমি তাদের বিশদে সবটুকু বললে তারা দ্রুত সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেয়। এ বার যে বাইক ট্যাক্সিচালককে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তিনিও আগের চালকদের মতোই বেশি ভাড়া দাবি করেন। শেষে, বাধ্য হয়েই বাস ধরি। ট্রিপটি অসম্পূর্ণ থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থায় নালিশ করলেও উক্ত চালকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি বা আমার হেনস্থার জন্য যোগাযোগ রক্ষা করার দায়ও দেখানো হয়নি।
সবাই যে খারাপ তা নয়, তবে এই ঘটনা সম্প্রতি ক্রমান্বয়ে ঘটেই চলেছে আর যাত্রী পরিষেবার মানও ক্রমশ পড়ে যাচ্ছে। যদি এই ধরনের ঘটনা নিয়মিত ঘটতেই থাকে এবং উক্ত সংস্থা চালকদের অপেশাদার মনোভাব প্রদর্শনের জন্য নালিশ পেয়েও উদাসীন থাকে, তবে এই সংস্থার উপরে অনাস্থা দেখানো উচিত রাজ্য সরকারের অধীন পরিবহণ দফতরের। একই সঙ্গে রাস্তায় এত বাইক ট্যাক্সির যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব দেখিয়ে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করা উচিত তাদের।
শুভজিৎ বসাক
কলকাতা-৫০
ব্যক্তিগত ফোন
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ব্লকে উত্তর নারিকেলদা মৌজায় উত্তরাধিকার সূত্রে কিছু চাষের জমি পাই। ওই জমি ভাইবোনদের মধ্যে বণ্টননামা দলিলের মাধ্যমে ভাগ হয়। নিজের নামে ওই জমি রেকর্ডভুক্ত করার জন্য ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পের মাধ্যমে আবেদন করি। গত ৭ মার্চ কুলবেরিয়া হাই স্কুল ক্যাম্পে ভূমিরাজস্ব দফতরে ওই আবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই হয়ে গৃহীত হয়। পরের দিন তমলুক ভূমিরাজস্ব দফতরের অফিস থেকে ১৫ মার্চ উক্ত অফিসে শুনানির জন্য হাজির হওয়ার মেসেজ পাই। আবার কিছু ক্ষণ পর আর একটি মেসেজ পাই ওই দরখাস্ত বাতিলের। আমি সত্তর বছরের অসুস্থ মহিলা। স্বামী অশীতিপর বৃদ্ধ। এই অবস্থায় ভূমি দফতরের ফোন নম্বর জোগাড় করি সরকারি ওয়েবসাইট থেকে। উক্ত নম্বরে ফোন করে মিউটেশন কেসের বিষয়ে জানতে চাইলে, সরকারি আধিকারিক কিছু বললেন না। বরং কেন তাঁকে তাঁর নিজস্ব ফোনে ফোন করেছি, তার জন্য অনেক কথা শোনালেন। উনি বললেন, সরকার ওঁকে ফোন দেননি। ব্যক্তিগত ফোনে উনি কোনও কথা বলবেন না। আমি আমার উত্তর পেলাম না। এ ক্ষেত্রে আমার কিছু প্রশ্ন প্রশাসনের কাছে— ১) জনসংযোগের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকদের সরকারি ফোন দেওয়া হয়নি? ২) সরকারি ওয়েবসাইটে ব্যক্তিগত ফোন নম্বর রয়েছে কেন? ৩) অফিসে কার্যকালে ব্যক্তিগত ফোন ব্যবহার করা যায় না? প্রশাসন আমার মিউটেশন কেসের বিষয়ে কিছু জানালে বাধিত হব।
কল্যাণী মাইতি
শালগেছিয়া, তমলুক
সরানো হোক
রাজ্যে পুরসভা নির্বাচন শেষ হয়ে ইতিমধ্যে পুরবোর্ডও গঠন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ পুরসভার দেওয়ালগুলিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের দেওয়াল লিখন এখনও জ্বলজ্বল করছে। সেই সঙ্গে রাস্তার পাশে বাতিস্তম্ভ কিংবা বাড়ির কার্নিশে ভোট প্রচারের ফ্লেক্স, হোর্ডিং এবং দলের পতাকা এখনও রয়ে গিয়েছে। ভোট প্রচারের সময় দেওয়ালগুলিতে শাসক, বিরোধী এবং নির্দল প্রার্থীরা যে আঁকিবুকি কেটেছিলেন, ভোট শেষ হওয়ার পর সেগুলি মুছে ফেলাও যে তাঁদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, সেটা প্রার্থীরা ভুলে গিয়েছেন। অনেক জায়গায় ভোটের ফ্লেক্স এমন অবস্থায় আছে যে, একটু জোরে বাতাস দিলে পথচলতি মানুষ আহত হতে পারেন।
অন্য দিকে, দেওয়ালগুলিতে ভুলে ভরা বানান দৃশ্যদূষণের সৃষ্টি করছে। ছোট ছোট স্কুলপড়ুয়া সেগুলো দেখছে। বানানগুলো যে ভুল, সেটা তাদের কেউ বলছেন না। শিশু মনের গভীরে এগুলো রয়ে যাচ্ছে। তাই সমস্ত রাজনৈতিক দল ও নির্দল প্রার্থীদের কাছে একান্ত আবেদন, দেওয়াল লিখনগুলি মুছে দিন এবং যে সব ফ্লেক্স, হোর্ডিং ব্যবহার করা হয়েছিল, সেগুলি সরিয়ে নিয়ে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখুন।
তাপসকুমার সরকার
কলকাতা-১২৫
কষ্টের দিনযাপন
দিনের পর দিন আনাজ, সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। পেট্রল-ডিজ়েলের দাম আকাশছোঁয়া। ওষুধের দামও বাড়ছে। এ দিকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদ কমেছে। আমাদের মতো যাঁরা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে, বেসরকারি অফিসে কাজ করেছেন, তাঁরা অবসরের পর এমপ্লয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ) বাবদ মাসে মাসে দু’হাজারেরও কম টাকা পাই। আজীবন এটাই পাব। ইপিএফ-এ ভবিষ্যতে এক পয়সা বাড়ার আশা নেই। অবসরের পর সামান্য যে ক’টা টাকা পাওয়া গিয়েছে, ডাকঘরে এমআইএস-এ জমানোর পর, সেখানেও মাসিক সুদ কমানোর কারণে সুদবাবদ অল্প টাকা পাই। তা হলে আমাদের মতো প্রবীণদের চলবে কী করে? এত কষ্ট করে সামান্য টাকায় কী করে সংসার চালাব? এর পর আছে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা। এর প্রতিকারের কোনও রাস্তা আছে?
রণেন মুখোপাধ্যায়
মেমারি, পূর্ব বর্ধমান
সম্প্রসারণ চাই
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে কলকাতায় যাওয়ার সরকারি, বেসরকারি এক্সপ্রেস বাস, মালবাহী ট্রাক ছাড়াও স্থানীয় অটো, টোটো, মোটরভ্যান, মোটরবাইক, সাইকেলও এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। গঙ্গাসাগর এবং বকখালি যাওয়ার রাস্তাও এটি। আমতলা, সরিষা, শিরাকোল, পৈলান, ডায়মন্ড হারবারের মতো বড় জনপদ ও শহর এই রাস্তার পাশে। কলকাতা থেকে ডায়মন্ড হারবার পর্যন্ত রাস্তার অংশটি বেশ সরু। তাই প্রায় সময়েই যানজট-দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের কলকাতা থেকে ডায়মন্ড হারবার পর্যন্ত অংশের সম্প্রসারণ প্রয়োজন।
অতীশ মণ্ডল
ডায়মন্ড হারবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy