বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাজি হস্টেল। ছবি: উদিত সিংহ।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সারির কলেজগুলির অন্যতম বর্ধমান রাজ কলেজ। শুধু পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান নয়, এই দুই জেলা ছাড়াও বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হুগলি-সহ আশেপাশের আরও কয়েকটি জেলার ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়াশোনা করে। তবে, পড়াশোনা ছাড়াও বিভিন্ন সৃষ্টিশীল ও সামাজিক কাজে এই কলেজ আগাগোড়াই অগ্রগণ্য। আগামী শিক্ষাবর্ষেও যে এর অন্যথা হবে না, তা আশা করাই যায়। অথচ, কলেজের সূচনালগ্ন থেকে থাকা দু’টি ছাত্রনিবাস ও বছর চারেক আগে চালু হওয়া একটি ছাত্রীনিবাস বর্তমানে সংরক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে। এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ উদাসীন। একটির পর একটি শিক্ষাবর্ষ আসছে, নতুন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হচ্ছে, আবার চলেও যাচ্ছে। সেই সঙ্গে আরও বেহাল হচ্ছে এই ছাত্র ও ছাত্রীনিবাসগুলি। ছাত্রনিবাসগুলির পুরনো ছাদের সিলিং থেকে অহরহ খসে পড়ছে প্লাস্টার, অর্ধেকের বেশি জানলা ভাঙা, নীচের ঘরে সাপের উপদ্রব লেগেই থাকে। শৌচাগারগুলির অবস্থাও শোচনীয়। তা ছাড়া চার পাশ বনজঙ্গলে পরিপূর্ণ ও অপরিচ্ছন্ন। অন্য দিকে, ছাত্রীনিবাসের কাচের জানলার বেশ কয়েকটি ভাঙা। এই সব কিছুর পরেও বার্ষিক বেতন ও মাসিক খাওয়া খরচ দিয়ে যে সব ছেলেমেয়ে আছে, তারা যে নিম্নমানের খাবার পায়, তাতে শুধুমাত্র খিদেটুকুই মেটে।
হস্টেল সুপার থেকে কলেজের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, এমনকি অধ্যক্ষের কাছেও ছাত্রছাত্রীরা বার বার নিজেদের অসুবিধার কথা জানিয়েছে। অধ্যক্ষ নিজে এসে এই বেহাল অবস্থার পর্যবেক্ষণ করে গিয়েছেন। কিন্তু লাভ কিছু হয়নি। ইতিমধ্যে ছাত্রনিবাসের বেশির ভাগ ছাত্র প্রতিবাদস্বরূপ তাদের বার্ষিক বেতন জমা দেওয়া বন্ধ করেছে। তাতেও টনক নড়ছে না অধ্যক্ষ-সহ কলেজ কর্তৃপক্ষের। বরং ছাত্রদের প্রতিবাদ থামাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জুটছে ঐতিহ্যবাহী ছাত্র ও ছাত্রীনিবাসগুলি বন্ধ করে দেওয়া ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার হুমকি। আমি নিজে এই কলেজের এক জন প্রাক্তনী এবং বর্তমানে ছাত্রনিবাসে আশ্রয়রত এক ছাত্রের অভিভাবকও। ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে যাতে এই বিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ করা হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মেঘনাদ ঘোষ, বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান
ভোটাধিকার
আমাদের এলাকায় ভোটের ডিউটিতে আসা কয়েক জন সিআরপিএফ জওয়ানের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে জানতে পারলাম যে, ওঁরা মার্চ মাস থেকেই ভোটের ডিউটিতে এ-রাজ্যে ও-রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ, ওঁদের ভোটাধিকারের কোনও ব্যবস্থাই নির্বাচন কমিশন করেনি।
প্রশ্ন এখানেই, যাঁরা দেশের নিরাপত্তায় নিজের জীবন উৎসর্গ করার জন্য সদা প্রস্তুত, তাঁরা কি দেশের নাগরিক নন? তাঁরা নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কেন? নির্বাচন কমিশন বয়স্কদের জন্য বাড়িতেই ভোটের ব্যবস্থা করল, ভোটকর্মীদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের ব্যবস্থা করা হল। কিন্তু যাঁরা নির্বাচনকে সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন, তাঁদের ভোটের কোনও বিকল্প ব্যবস্থা করল না। আমাদের দেশে তিন বাহিনী মিলে জওয়ানদের সংখ্যা অনেক। এ ভাবে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত করা কোনও ভাবেই উচিত নয়। তাই নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ, জওয়ানেরা যে-হেতু এ দেশেরই নাগরিক, তাই পরবর্তী নির্বাচনে তাঁদের ভোটদানের সুযোগ করে দেওয়া হোক।
প্রবীর আদক, পূর্বকোলা, পূর্ব মেদিনীপুর
বিকল্প পদ্ধতি
মাঝেমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে নানা অভাব-অভিযোগের কথা শোনা যায়। যার মধ্যে খাবারে সাপ কিংবা টিকটিকি পড়ে যাওয়া অন্যতম। এমন ঘটনা রান্নার দায়িত্বে থাকা কর্মীর গা-ছাড়া মনোভাবের বিষয়টিকে স্পষ্ট করে। আর সরকারই বা শিশুদের প্রতি কতটা নজর রাখে? জেলার বেশ কয়েকটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখা গেছে যে, স্কুলগুলির পরিকাঠামো অত্যন্ত খারাপ। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস না ঢোকার কারণে সেগুলি প্রায় অন্ধকারাচ্ছন্ন। কৃত্রিম ভাবে আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকলেও শিশুরা কতটা উপভোগ করতে পারে, সন্দেহ আছে। এর পর শিশুদের স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে মাথায় রেখে ওজন করার যে পদ্ধতিটি চালু রয়েছে, তা আরও অমানবিক। কাপড়ের তৈরি দু’দিকে দুই হাতল দেওয়া একটি থলিতে শিশুদের বসিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রাচীন পদ্ধতিতে ওজন করা হয়। এ ভাবে ওজন করার কারণে শিশুরা কেঁদেকেটে একাকার হয়।
এমতাবস্থায় শিশুদের সমস্যার কথা ভেবে সরকারের উচিত পরিকাঠামো উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বৈদ্যুতিন যন্ত্রের মাধ্যমে ওজন নেওয়ার পদ্ধতি চালু করা।
সেক ইমরান, গোলকুঁয়াচক, পশ্চিম মেদিনীপুর
অবাঞ্ছিত ভিড়
মেট্রো রেলের স্টেশনগুলিতে ইদানীং অনেক যাত্রী দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকেন কেবল সময় কাটানো ও গল্প করার উদ্দেশ্যে। অল্পবয়সিদের অনেকেই অকারণে হইহুল্লোড় করে, স্টেশন নোংরা করে। প্রবীণ ও বিশেষ ভাবে সক্ষম যাত্রী, যাঁদের জন্য সিটগুলি পাতা হয়েছে, তাঁদের দেয় না। স্কুল ছুটির পরে শিশুদের নিয়ে বাবা-মায়েদের টিফিন খাওয়ানোর জায়গাও হয়ে দাঁড়িয়েছে কিছু মেট্রো স্টেশন। হাওড়া মেট্রো চালু হওয়ার পর ভিড় যেমন বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে সেলফি, রিল তোলার হিড়িকও। অনেক ক্ষেত্রেই দল বেঁধে রিল বানাতে থাকেন কিছু যাত্রী। এতে অন্য যাত্রীদের ভীষণ সমস্যা হয়।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ ও আরপিএফ-এর কাছে এই অবাঞ্ছিত ভিড়ের সমাধানের জন্য আর্জি জানাচ্ছি।
অরিত্র মুখোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর, হুগলি
আরও বাস
বাসের আকাল বড্ড ভোগাচ্ছে মানুষকে। দৃষ্টান্ত, উত্তর কলকাতার রাজা মণীন্দ্র রোড তথা পাইকপাড়া এলাকা। ঘড়ির কাঁটা ঘুরে গেলেও এখানে বাসের দেখা মেলে না। পাইকপাড়া এলাকার জন্য যে কয়েকটি বাস রয়েছে, তার মধ্যে ৩বি আর ৩ডি-র দেখা পাওয়া যায় না বললেই চলে। তার উপর লকডাউনের পরে বিদায় নিয়েছে ৩ডি/১ রুটের বাসটিও। শুধুমাত্র হাওড়াগামী বা ফিরতি পথের নাগেরবাজারগামী ২১৯ নম্বর বাসটির কয়েক মিনিট অন্তর উভয়মুখী যাত্রা এবং ৪৭বি রুটের বাসটি ধানমাঠ থেকে লেকটাউন আসার পথে পাইকপাড়া হয়ে একমুখী যাত্রাই বর্তমানে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছে। পাইকপাড়া ফার্স্ট রো থেকে শিয়ালদহ যাওয়ার অটো (৬৬ নম্বর রুট) পরিষেবাটি চালু রয়েছে, তাও সেটি দীনেন্দ্র স্ট্রিট হয়ে শিয়ালদহ কাইজ়ার স্ট্রিট পর্যন্ত যায়, তার পরে আর যায় না।
এর ফল ভোগ করেন নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের প্রত্যহ বেশ খানিকটা পথ অতিক্রম করে পৌঁছতে হয় দত্তবাগান। সেখান থেকে পাওয়া যায় বাস। যশোর রোড হয়ে একগুচ্ছ বাস, যেমন ৩সি/১, ৩০সি, ২১৫/১, ৭৯বি, ৯৩, ডিএন১৮ ইত্যাদি সোজা দত্তবাগান এবং বেলগাছিয়া মেট্রো হয়ে বেলগাছিয়া চলে যায়, আবার ফেরার সময় একই পথে ফেরে। এই বাসগুলির সংখ্যাও প্রচুর, তাই সহজলভ্যও। এর মধ্যে কয়েকটি বাসের রুট পরিবর্তন করে যদি পাইকপাড়া হয়ে যায়, তা হলে অন্তত পাইকপাড়াবাসীর সুরাহা হয়। একই সঙ্গে পাইকপাড়া সংলগ্ন টালাপার্কের বাসিন্দারাও অত্যন্ত উপকৃত হবেন বলে মনে হয়। একান্ত রুট পরিবর্তন করা সম্ভবপর না হলে, কিছু রুটের বেশ কিছু সংখ্যক বাসকেও যদি পাইকপাড়া হয়ে চালানো যায়, আশা করি সমস্যা কিছুটা হলেও মিটবে।
অনীশ দাস, কলকাতা-৩৭
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy