Advertisement
২৪ অক্টোবর ২০২৪
Libraries

সম্পাদক সমীপেষু: পাঠকের অভাব

কয়েক বছর আগেও বাংলা, ইংরেজির প্রধান সংবাদপত্রগুলি রাখা হত। বড় জোর তার পাঠক সংখ্যা ছিল ছ’-সাত জন। এখন আরও কম। বই লেনদেনের সংখ্যা দিনে গড়ে কুড়ি ছাড়ায় কি না সন্দেহ।

শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২৪ ০৪:১০
Share: Save:

‘অবহেলিত গ্রন্থাগার’ (১৯-৮) চিঠিতে কোন্নগর পাবলিক লাইব্রেরির নাম করা হয়েছে। গ্রন্থাগারটি ১৭০ বছরের প্রাচীন। আমি এই গ্রন্থাগারের পরিচালক সমিতির সভাপতি। সেই সূত্রেই জানাই, এই প্রতিষ্ঠানে ‘কোনও কর্মী নেই’— এমন তথ্য ঠিক নয়। এখানে দু’জন কর্মী আছেন। এক জন সরকারি কর্মচারী। গ্রন্থাগারটিতে পুস্তক, সাময়িক পত্রিকা, স্বাধীনতা-পূর্ব এবং স্বাধীনতা-উত্তর আমলের সরকারি কাগজপত্রের অমূল্য ভান্ডার আছে। গ্রন্থাগারে একটি শিশু বিভাগ আছে। অন্যান্য সম্ভারের মধ্যে ‘এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা’-র পুরো সেট আছে। কেরিয়ার গাইডেন্সের বইয়েরও অভাব নেই।

যা নেই তা হল পাঠক। কয়েক বছর আগেও বাংলা, ইংরেজির প্রধান সংবাদপত্রগুলি রাখা হত। বড় জোর তার পাঠক সংখ্যা ছিল ছ’-সাত জন। এখন আরও কম। বই লেনদেনের সংখ্যা দিনে গড়ে কুড়ি ছাড়ায় কি না সন্দেহ। গ্রন্থাগার ভবনের লাগোয়া ছেলে ও মেয়েদের জন্য দু’টি সুপ্রাচীন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। এমন দিনও যায়, যে দিন শিশু বিভাগে এক জন ছাত্রছাত্রীও আসে না। ডিস্ট্রিক্ট লাইব্রেরি অফিসার নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। সাধ্যমতো সহযোগিতা করেন ও পরামর্শ দেন। সব মিলিয়ে, গ্রন্থাগারগুলির অবস্থা খুব করুণ। অবহেলিত তো নিশ্চয়ই। তবে পাঠক ও ব্যবহারকারীদের দ্বারা সবচেয়ে বেশি অবহেলিত। এই রোগের ওষুধ দেবে কে?

মিহির গঙ্গোপাধ্যায়, কোন্নগর, হুগলি

পুলিশি হয়রানি

বারুইপুর এক নম্বর স্টেশন সংলগ্ন বাজারের ইলেকট্রনিক্সের দোকান থেকে পণ্য কেনার সময় রাস্তার ধারে গাড়ি রাখার জন্য কোনও কিছু না জানিয়ে কর্মরত পুলিস অফিসার গাড়ির নম্বর প্লেটের ছবি তুলে অনলাইনে জরিমানা নিচ্ছেন। নো-পার্কিংয়ে গাড়ি রাখা বা জনবহুল স্থানে রাস্তা আটকে গাড়ি রাখা অবশ্যই দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু গাড়ির মালিকের উপস্থিতিতেই তার অপরাধের ব্যাপারে না জানিয়ে গাড়ির নম্বর প্লেটের ছবি তুলে তাঁকে জরিমানা দিতে বাধ্য করা কি আইনসঙ্গত? তাই প্রশাসনের কাছে আমার কয়েকটি প্রশ্ন রইল। এক, এক নম্বর স্টেশন সংলগ্ন মাছের বাজার থেকে রেল গেট পর্যন্ত এই সম্পূর্ণ বাজারটি কি নো-পার্কিং জ়োন হিসাবে ঘোষিত হয়েছে? দুই, রাস্তার পাশে কি সেই মর্মে কোথাও কোনও সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে? তিন, যে ক্রেতা বাজারের দোকান থেকে পণ্য কিনছেন, তিনি কি সেই দোকানের সামনে রাস্তার ধারে গাড়িটি রাখতে পারবেন না? চার, বাজারে আগত ক্রেতাদের জন্য কি কোনও পার্কিং এরিয়া প্রশাসন নির্দিষ্ট করেছে? মোট কথা, গাড়ির চালক গাড়ির সঙ্গেই আছেন কি না, তা দেখে নিয়ে এবং কী কারণে ছবি তুলছেন তা জানিয়ে জরিমানা করা হলে আইনের অপব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের হয়রানির মাত্রা খানিক কমে।

সৌম্যকান্তি মণ্ডল, কলকাতা-১৪৪

স্থায়ী বাজার

ঢাকুরিয়ায় এ টি চ্যাটার্জি রোড-টি কলকাতা পুরসভার ৯২ নম্বর ওয়র্ডের অন্তর্গত। ঢাকুরিয়া রেল স্টেশনের থেকে পায়ে হাঁটা এক মিনিটের রাস্তা। এখানে প্রায় ৭০ বছর ধরে একটা বাজার রয়েছে। প্রথমে ছিল ব্যক্তি মালিকানার জমিতে, তার পর রেলের জমিতে আর এখন রয়েছে পুরসভার জমিতে। ২০১০ সালে স্থায়ী বাজারের প্রস্তাবনা করে একটা মার্বেল প্লেক বসানো হয়েছিল পুরসভার কমিউনিটি সেন্টারের গেটের সামনে। প্রায় এক যুগ পার হয়ে গেলেও এখনও এখানে স্থায়ী বাজার গড়ে উঠল না। জমি, বাড়ি সব কিছু থাকা সত্ত্বেও কেন তা করা গেল না, কেউ জানে না। পুর-রাস্তার উপরেই একপাশে সারি দিয়ে পাকা দোকান রয়েছে। পুর-জমির কিছুটা অংশে অস্থায়ী মাছের, আনাজের বাজার বসে। কমিউনিটি হলের উপরে একটা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কও আছে। রেল স্টেশনের নিকটে হওয়ার কারণে একটা স্থায়ী পুর-বাজার হলে ঢাকুরিয়া অঞ্চলের বহু লোকের সুবিধা হবে। রাস্তার ধারের হকারদেরও পুনর্বাসন হবে। আয়ও বাড়বে পুর সংস্থার। তা ছাড়া, অস্থায়ী দোকানঘর স্থায়ী বাজারে স্থানান্তরিত হলে রাস্তাও সম্প্রসারিত হবে। পথচারীদের যাতায়াত ও যান চলাচলে সুবিধা হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা-৩১

সঙ্কটে অস্তিত্ব

ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত। এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের থেকে ভূমি ও গৃহকর বাবদ অর্থ আদায় করা হয়, যার জন্য প্রতি পঞ্চায়েতে এক বা একাধিক কর আদায়কারী থাকেন। এঁরা মাসে মাত্র ছয় শত টাকা ভাতা এবং সামান্য কমিশন পান। সম্প্রতি সরকারি নির্দেশ এসেছে যে অনলাইনে এই কর আদায় করা হবে। ফলে, চিন্তায় পড়েছেন কর আদায়কারীরা।

এর আগে ট্রেড লাইসেন্স-এর কর আদায়ও অনলাইনে করার ফলে এমনিতেই এদের কমিশনে টান পড়েছে। এর পর যদি গৃহ ও ভূমিকর-ও অনলাইনে করা হয়, তবে কর আদায়কারীদের অবস্থা আরও সঙ্গিন হবে। পঞ্চায়েতের কর আদায়কারীদের পদটি ব্রিটিশ আমলে সৃষ্টি হয়েছিল বটে, তবে এখনও তারা মাত্র ছ’শো টাকা ভাতা আর সামান্য কমিশনে চাকরি করে যাচ্ছেন। সব শ্রেণির কর্মচারীদের বার্ষিক বা কয়েক বছর অন্তর বেতন ভাতা বাড়লেও কর আদায়কারীরা আজও বঞ্চিত। প্রশাসনের কাছে নিবেদন, এদের ভাতা ও কমিশন সম্মানজনক হারে বাড়ানো হোক।

বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়, শিয়াখালা, হুগলি

রাস্তা সারাই

লস্করপুর থেকে রামচন্দ্রপুর হয়ে এলাচি পর্যন্ত মাইলখানেক দীর্ঘ রাস্তাটি আগে ঝকঝকে ছিল, কোথাও ভাঙাচোরা ছিল না। কিন্তু লোকসভার নির্বাচনের আগে হঠাৎ রাস্তা খুঁড়ে জলের পাইপ লাইন বসানোর হিড়িক পড়ল। কিছু দিন তাণ্ডব চলতে না চলতেই এসে গেল নির্বাচন। রাস্তাটির এখন এমন দফারফা অবস্থা যে চার দিক খানাখন্দে ভর্তি। যখন-তখন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রশাসনকে তাই অনুরোধ, জনসাধারণের স্বাচ্ছন্দ্যের স্বার্থে দয়া করে রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করানোর ব্যবস্থা করুন।

সঞ্জিত ঘটক,নরেন্দ্রপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা

বাধ্য কি?

আমি এটিএম থেকে এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাপের মাধ্যমে নগদ টাকা তুলে থাকি। বেশ কিছু দিন ধরে আমার মোবাইলে ওই অ্যাপটি খুলছে না। বলা হচ্ছে, অ্যাপটির নতুন ভার্সন এসেছে, আমাকে সেটা ডাউনলোড করতে হবে। অথচ, তা করতে গেলে বলা হচ্ছে আমার মোবাইলে এই নতুন ভার্সন-টি ডাউনলোড করা যাবে না। আরও উন্নত অপারেটিং সিস্টেম প্রয়োজন, যা দামি মোবাইলে থাকে। এখন আমি কী করব? রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটির অ্যাপ ব্যবহার করতে আমাকে কি তা হলে আরও উচ্চমানের মোবাইল কিনতে হবে? ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

কুমার শেখর সেনগুপ্ত, কোন্নগর, হুগলি

ফুটপাত পরিষ্কার

দিনের পর দিন অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে যাদবপুর মেন হস্টেল থেকে ইডিএফ মোড়ের সিগন্যাল পর্যন্ত ফুটপাত। ফলে রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা ছাড়া উপায় থাকে না। কিন্তু সেখানেও রয়েছে অটো, বাসের স্ট্যান্ড। ফলে চলন্ত গাড়ির গা ঘেঁষে যেতে হয় পথচারীদের। ফুটপাতটি দখলমুক্ত করার ব্যবস্থা করা হোক।

তপন বিশ্বাস, কলকাতা-৪০

অন্য বিষয়গুলি:

Book Readers Readers library
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE