—প্রতীকী চিত্র।
আমি ও আমার স্ত্রী দু’জনেই অবসরপ্রাপ্ত বরিষ্ঠ নাগরিক। আমাদের স্বাস্থ্য বিমা গত চার বছর ধরে বেসরকারি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠী বিমার অন্তর্ভুক্ত এবং বিমাকারী সংস্থাটিও বেসরকারি। গত বছর কোভিডের দোহাই দিয়ে এক লাফে প্রায় ৫০ শতাংশ প্রিমিয়াম বাড়ানো হয়। এ বছরে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গে উল্লিখিত বিমা সংস্থার চুক্তি ছিন্ন হয়ে যায়। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আমাকে চিঠি ও ইমেল করে তা জানান এবং অবহিত করেন যে, আমার বিমাটি অন্য একটি বিমা সংস্থায় স্থানান্তরিত করা হবে। অবশ্যই সেটা করা হবে আমার অনুমতি সাপেক্ষে এবং বর্তমানে পাওয়া সমস্ত সুযোগ-সুবিধা সমেত।
কিন্তু পরবর্তী সময়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা মৌখিক ভাবে জানান যে, পূর্ববর্তী বিমা সংস্থায় আমার যে গত তিন বছর ধরে ‘নো ক্লেম বোনাস অ্যামাউন্ট’ জমা হয়েছিল, নতুন চুক্তিতে সেই সুবিধা আমি পাব না। তা ছাড়াও, আরও একটি নতুন শর্ত— ১৫ শতাংশ কো-পেমেন্ট, অর্থাৎ হাসপাতালের বিলের ১৫ শতাংশ আমাকে বহন করতে হবে— যোগ করা হয়েছে। সঙ্গে আরও জানানো হয় যে, বিমার প্রিমিয়ামের জন্য দেয় অর্থ এ বছরেও আবার বাড়বে, যা আমাকে পাঠানো চিঠি ও ইমেল-এর বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিপরীত। তা উল্লেখ করে আমিও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে অনেক ক’টা ইমেল পাঠাই। কিন্তু তার কোনও সদুত্তর পাইনি।
এর পরে আমি আমার বর্তমান বিমা সংস্থার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করি এবং ব্যাঙ্কের সঙ্গে গোষ্ঠী-বিমার বাইরে এসে বর্তমান স্বাস্থ্য বিমাটি চালু রাখার ইচ্ছে প্রকাশ করি। সংস্থার তরফ থেকে জানায় যে, সেটা সম্ভব হবে, কিন্তু প্রিমিয়ামের অঙ্কটা ১০০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে যাবে। সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন সমাজমাধ্যম ও সরকারি মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যে, তারা বিমা সংস্থাগুলোকে জানাচ্ছে যেন বরিষ্ঠ নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রিমিয়ামের অর্থ খুব বেশি না বাড়ায় এবং চিকিৎসা পরিষেবার টাকা মেটানোর ক্ষেত্রে ক্যাশলেস সুবিধা প্রদান করে।
সরকারের অনুরোধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম কী ভাবে বাড়ানো হচ্ছে, তার একটা উদাহরণ তুলে ধরলাম। এবং ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এই সুযোগে নিজেদের মুনাফার জন্য তাঁদের পছন্দের বিমা সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন গ্রাহক পরিষেবাকে কোনও গুরুত্ব না দিয়ে। আমাদের মতো বরিষ্ঠদের অবস্থা এখন শাঁখের করাত। এই বয়সে কোনও বিমা কোম্পানি আমাদের নতুন করে বিমার আওতায় আনবে না, আনলেও পূর্ণ সুযোগ-সুবিধা পেতে দুই থেকে তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে। নয়তো ব্যাঙ্ক ও বিমা কোম্পানির চাপিয়ে দেওয়া শর্ত মেনে বেশি টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে চুক্তিপত্র নবীকরণ করতে হবে। তাই এই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
তাপস কুমার রায়, কলকাতা-৮৪
অপচয় কেন?
হাডকো মোড় থেকে পাটুলি পর্যন্ত বাইপাসের দুটো পার্শ্ব অঞ্চলের মধ্যবর্তী স্থান-সহ দু’ধারে বিভিন্ন সময়ে সৌন্দর্যায়ন করা হয়। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই একাধিক জায়গা হতশ্রী রূপ ধারণ করে। মেট্রোর কাজ এর অন্যতম কারণ হলেও, রক্ষণাবেক্ষণের উদাসীনতাও এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট দায়ী।
নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত মেট্রোর কাজ শেষ হয়ে অনেক দিন হল চালু হওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছে। অজয়নগর থেকে রুবি, ঘাসের সবুজ গালিচা তৈরি করে, পাতাবাহার-সহ ফুলের গাছগাছালির মাঝে বিভিন্ন পশুপাখির মডেল এবং জ্যামিতিক নকশা বসিয়ে দৃষ্টিনন্দন পরিবেশের সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু অযত্ন-অবহেলায় ঝোপঝাড় গজিয়ে বর্তমানে তা প্রায় আঁস্তাকুড়ে পরিণত হয়েছে। ভরা বর্ষায় ওই স্থান মশার ‘জন্মভূমি’ এবং পথচারীদের উন্মুক্ত শৌচাগারে পরিণত হয়ে দৃশ্যদূষণের কারণ হচ্ছে। যদিও গ্ৰীষ্মে মেট্রোর কাজ চলাকালীন নিয়মিত জল ছিটিয়ে, আগাছা পরিষ্কার করে সৌন্দর্যায়ন ধরে রাখার চেষ্টা হয়েছিল, মাঝপথে হাল ছেড়ে দিয়ে সব উদ্দেশ্য বিফলে গেল না কি? বার বার অর্থের এমন অপচয় কেন?
ধীরেন্দ্র মোহন সাহা, কলকাতা-১০৭
জনগণের জন্য
‘পরিশ্রান্ত’ (২-১০) শীর্ষক ছবিটি দেখে মাননীয় রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমাদের দেশে শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা কম নয়। তাঁরা যে বাসে-ট্রেনে চড়েন না এমনও নয়। তবে কেন মেট্রো স্টেশন তৈরি করার সময় প্রতিটি স্টেশনে এসক্যালেটর করা হল না? আমি এত দিন অফিস করেছি মেট্রো করে। প্রায় প্রতি দিন দেখতাম কিছু মানুষ লাঠি বা ক্রাচ হাতে কী ভাবে যাতায়াত করছেন। সদ্য তৈরি হওয়া বরাহনগর স্টেশনে হেঁটে ওঠা বেশ কষ্টকর। বয়স্ক বা প্রবীণ নাগরিকদের কথা বাদ দিলাম, কারণ যাঁদের নিজেদের সন্তানেরাই দেখে না, তাঁদের কথা সরকার ভাববে কেন— ভাবটা এমনই। শোনা যায়, সরকারের নাকি টাকা নেই। অথচ, সেন্ট্রাল ভিস্টাও তৈরি হচ্ছে, মেলা-খেলা-পুজোর অনুদান— সে সবও হচ্ছে। তাই মাননীয় রেলমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে যেখানে দরকার এসক্যালেটর এবং লিফ্ট বসানো হোক। তাতে যে শুধু সময় বাঁচবে তা-ই নয়, যাঁরা প্রতিবন্ধী, অক্ষম, তাঁদের মুখে হাসি ফুটবে। আর মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়েই অটোর ব্যবস্থা করা হোক।
আরও একটি কথা। রাজ্যের প্রশাসনিক মাথারা এক দিন রবীন্দ্রসদন মেট্রো স্টেশনে এসে দেখুন প্রবীণরা আত্মীয়দের কাঁধে বা কোলে চেপে কী ভাবে পিজি হাসপাতালে যান। এতটা পথ যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। দেশের অন্য শহরের হাসপাতালে রোগীদের জন্য ছোট গাড়ি আছে। এখানে কেন তা হয় না? আসন্ন ভোটের কথা মাথায় রেখে যদি এ ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ করা হয়, জনগণ বাঁচবে।
মলিনা সাহা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা-৫৬
রেলিং ছেড়ে
মেন লাইনে শেওড়াফুলি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। এর লাগোয়া অঞ্চলে জমাটি হাট ছাড়াও কাছাকাছির মধ্যে তিনটি স্কুল আছে। এই সব কারণ ছাড়াও জংশন স্টেশন হওয়ার ফলে ভিড় লেগেই থাকে। এখানে প্ল্যাটফর্মে ওঠা নামার জন্য কয়েকটি ওভারব্রিজ আছে। সমস্যা হল, প্রায়ই ওভারব্রিজের সিঁড়ির রেলিংয়ের ধারে কিছু মানুষ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকেন। এতে ওঠানামায় ভীষণ অসুবিধা হয়। পায়ের সমস্যার জন্য অনেকেই রেলিংয়ের সাহায্য ছাড়া ওঠানামা করতে পারেন না। যাঁরা দাঁড়িয়ে বা বসে থাকেন, সরে দাঁড়ানো তাঁদের মন-মর্জির উপরে নির্ভর করে। তা ছাড়া রেলিং ছেড়ে তাঁদের সরে দাঁড়াতে দাঁড়াতে অনেক সময় ট্রেন বেরিয়ে যায়। আমার একান্ত অনুরোধ, এই ভাবে রেলিং আটকে ওঠানামার সমস্যা সৃষ্টি করবেন না। রেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টির দিকে নজর দিলে বাধিত হব।
রুবি মুখোপাধ্যায়, আয়দা, হুগলি
ছাউনি চাই
মাঠপুকুরে অঞ্চলে প্রতি দিন যাতায়াত করি। এই জায়গাটি ব্যস্ততম হওয়া সত্ত্বেও সিলভার স্প্রিংয়ের সামনের বাস স্টপে কোনও ছাউনি নেই। উল্টোডাঙার দিকে যাওয়ার জন্য অনেক যাত্রীকেই বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তুমুল বৃষ্টি বা প্রখর রোদে ছাতাই সম্বল। না থাকলে তীব্র গরমে কষ্ট করতে হয় বা বর্ষায় ভিজতে হয়। অথচ, যাত্রীদের সুবিধার্থে অন্য অনেক জায়গাতেই বাস স্টপে ছাউনি রয়েছে। এই ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে চাই।
শাশ্বতী চক্রবর্তী, কলকাতা-৫৪
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy