সোনারপুরের বোসপুকুর কলেজ সংলগ্ন একটি বিরাট মাঠ এবং ঝিল টিকে আছে এখনও পর্যন্ত। জলাশয়ের চার পাশে রয়েছে শিরীষ, বট, ছাতিম, পাকুড় ইত্যাদি গাছ। বলা বাহুল্য, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে স্থানটির অবদান অপরিসীম। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে কারা যেন এই ভারসাম্যে বিঘ্ন ঘটাতে বদ্ধপরিকর। ঝিলের এক দিকে বিডিও অফিস আর অন্য দিকে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতর। ইট বাঁধানো যে পথ প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের পাশ দিয়ে মাঠে গিয়ে উঠেছে, তা আগে ছিল ছায়াময়। কিন্তু আজ ছায়াহীন। একাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে অতি সম্প্রতি। কেন, পরিষ্কার কোনও উত্তর নেই।
সোনারপুর স্টেশন অভিমুখী রাস্তায়, রাজপুর বিদ্যানিধি হাই স্কুল ছাড়িয়ে গেলেই রাজপুর পোস্ট অফিস। ডাক বিভাগের ঠিক বিপরীতে এক বিরাট ফাঁকা জমি আছে। সেখানেও বেশ কিছু গাছ ছিল। সেগুলিও কেটে ফেলা হয়েছে। এ ছাড়া, হরিনাভি মোড় থেকে কিছু দূর এগিয়ে গেলেই হরিতলা। একটি বেসরকারি বিদ্যালয় সম্প্রসারণের জন্য সেখানেও অবাধে চলছে বৃক্ষচ্ছেদন। মিউনিসিপ্যালিটির মূল কেন্দ্রস্থল থেকে এর দূরত্ব খুবই কম। ঘটনাগুলি যে হেতু প্রশাসনিক বিভাগ বা সরকারি দফতরের খুব কাছাকাছিই ঘটছে, তাই ধরে নেওয়া যেতেই পারে যে, বিষয়গুলি সম্পর্কে প্রশাসনিক কর্তারা অবগত আছেন। সরকারি অথবা বেসরকারি স্থান, যেখানেই হোক না কেন, গাছ কাটতে হলে সুনির্দিষ্ট অনুমতি নিতে হয় এবং একটি গাছ কাটা হলে তার বদলে একাধিক গাছ লাগাতে হয়।
প্রশ্ন হল, উপরোক্ত ক্ষেত্রগুলিতে সেই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাওয়া হয়েছে কি?
রাজীব রায় গোস্বামী, সোনারপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
বাড়ুক ট্রেন
ব্রিটিশ আমলের ‘রুট রিলে ইন্টারলকিং সিস্টেম’-এর বদলে ব্যান্ডেল স্টেশনে যে ‘ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম’ (ইআইএস) চালু করার প্রস্তুতি চলছে, তার জন্য শুনছি ট্রেনের গতি বাড়বে, দুর্ঘটনাও কমবে এবং অনেক বেশি ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে হাওড়া, বর্ধমান, কাটোয়া ও নৈহাটি লাইনে ট্রেন চলে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূরত্ব কাটোয়ার। অথচ, এত দিন ব্যান্ডেল-কাটোয়া সিঙ্গল লাইন ও কয়েক বছর আগে থেকে ডবল লাইন চালু হলেও নামমাত্র ট্রেন এই রুটে চালানো হয়। সারা দিনে মাত্র ৯ জোড়া (৯টি আপ ও ৯টি ডাউন) ট্রেন চলে শুধু ব্যান্ডেল-কাটোয়ার মধ্যে। ইআইএস ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর এই লাইনে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানো উচিত। বর্ধমান মেন লাইনে হাওড়া-বর্ধমান লোকাল ছাড়াও পান্ডুয়া লোকাল ও মেমারি লোকাল নিয়মিত ভাবে চলাচল করে। নতুন ব্যবস্থা চালু হলে অন্তত কিছু ব্যান্ডেল-কাটোয়া লোকালের বন্দোবস্ত না করলে ব্যান্ডেল স্টেশনের ইআইএস নবীকরণ এই লাইনের নিত্যযাত্রীদের জীবনে কোনও প্রভাব ফেলবে না।
প্রণয় ঘোষ, পূর্ব বর্ধমান
বিপজ্জনক
দীর্ঘ দিন ধরে খড়দহ রেলস্টেশনের এ পার-ও পার করার একমাত্র যাতায়াতের পথ লেভেল ক্রসিং যানবাহন ও পথযাত্রীদের কাছে বিপজ্জনক এবং বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে। সম্ভবত কোনও অজ্ঞাত কারণে সূর্য সেন নগরের মাঝখান দিয়ে বিটি রোড পর্যন্ত রাস্তাটি প্রসারিত করা যায়নি। ফলে কখনও কখনও রেললাইনের দু’পাশের প্রশস্ততার পার্থক্য লেভেল ক্রসিং-এ এক ধরনের অচলাবস্থার সৃষ্টি করছে। এখানে না আছে কোনও ফ্লাইওভার, না আন্ডারপাস। আর ওভারব্রিজটি কার্যত কিছু নেশাখোর ও ভবঘুরেদের সান্ধ্য আড্ডাস্থলে পরিণত হয়েছে। সবচেয়ে বিপজ্জনক চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশের ওভারব্রিজের সিঁড়িটি। এই প্ল্যাটফর্মে কোনও ডাউন ট্রেন এলে তা দেখার উপায় নেই সিঁড়িটির জন্য। বহু দিন ধরে বিক্ষোভ চলার পর প্ল্যাটফর্ম উঁচু করা হচ্ছে। কিন্তু বার বার বলা সত্ত্বেও ঠিকাদাররা ফিনিশিংয়ের কাজগুলো যেমন তেমন করে রেখে দিচ্ছে। ফলে প্রায়ই এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে নামার সিঁড়িতে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই অনুরোধ, অবিলম্বে এই বিষয়গুলির প্রযুক্তিগত সমাধানের লক্ষ্যে পদক্ষেপ করুক রেল কর্তৃপক্ষ।
ভারতী দাশগুপ্ত , খড়দহ, উত্তর ২৪ পরগনা
জল অপচয়
মৃণালকান্তি ভট্টাচার্যের ‘ভোটের তৃষ্ণা’ (সম্পাদক সমীপেষু, ৬-৫) লেখাটিতে ক্যানিং-এর যে জলসঙ্কটের চিত্র ফুটে উঠেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই চিঠি। ভাবতে অবাক লাগে, ক্যানিং-এর মতো জলাভূমি এলাকায়ও নাকি গরম পড়লে এমন জলসঙ্কট দেখা দিচ্ছে যে, লোকজনকে পানীয় জলও কিনে খেতে হচ্ছে। আর আমাদের কলকাতার সংলগ্ন শহরতলি ও মফস্সল এলাকায়, যেখানে কিনা জলাভূমি তুলনামূলক ভাবে কম, সেখানে লোকজন হেলায় জল অপচয় করছে।
যদিও কলকাতার অনেক এলাকাতেও ধীরে ধীরে জলসঙ্কট দেখা দিচ্ছে। তাই সকলকে অনুরোধ, দয়া করে জল অপচয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হন। কোথাও জলের অপচয় দেখলে অবিলম্বে তা বন্ধ করার ব্যবস্থা করুন। যেমন, আপনার এলাকায় কোনও টাইম কল খারাপ হয়েছে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনকে জানান। দরকারে স্থানীয় বাসিন্দারা একত্রে পদক্ষেপ করুন। এখন এগুলি অগ্ৰাহ্য করলে, পরে ফল মারাত্মক হবে।
তপোব্রত দাস, দত্তপুকুর, উত্তর ২৪ পরগনা
বয়স্কদের দুর্ভোগ
সম্প্রতি হাওড়া-পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে এসি থ্রি-টিয়ারে পাঁচটি টিকিট অনলাইনে বুকিং করি। যাত্রীদের মধ্যে দু’জন অশীতিপর ব্যক্তি ছিলেন। সিট বুকিংয়ের সময় ‘লোয়ার বার্থ’ পছন্দ করলেও টিকিট বুক হওয়ার পরে তাঁদের দু’জনকেই ‘আপার বার্থ’ দেওয়া হয়। ঠিক একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে ফেরার সময়ও, পুরী-হাওড়া স্পেশাল এক্সপ্রেসের এসি থ্রি-টিয়ারে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে এমন উদাসীনতা দুর্ভাগ্যজনক। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে একান্ত আবেদন, বয়স্কদের স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যাপারটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হোক।
শুভশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়, বহড়ু, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
মা-শিশুর জন্য
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল বিভিন্ন স্টেশনে ব্রেস্ট ফিডিং রুমের সূচনা করেছিল, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। কিন্তু বর্তমানে এই কাজের গতি ভীষণই শ্লথ। পূর্ব রেলের কোনও বড় স্টেশন বা প্রতীক্ষালয়ে এই ধরনের কিয়স্ক নেই বললেই চলে। কাজটি ভারতীয় রেল দ্রুত করুক। হাওড়া, শিয়ালদহ-সহ সব বড় স্টেশন ও মফস্সলের প্রতিটা স্টেশনেই এ ধরনের কিয়স্ক গড়ে উঠুক। অন্তত দু’জনের বসার জায়গা ও ছোট পাখা সমেত যদি এই কিয়স্ক গড়ে ওঠে, তবে হাজার হাজার শিশু ও মা উপকৃত হবেন।
অরিত্র মুখোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর, হুগলি
বেহাল রাস্তা
পূর্বস্থলী রেলগেট থেকে যে রাস্তাটি বাম দিকে কপিল মুনির আশ্রমের পাশ দিয়ে ভান্ডারটিকুরি রেলওয়ে স্টেশন অভিমুখে গিয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কোনও অজ্ঞাত কারণে রাস্তাটির কোনও সংস্কার হয় না। নিকটবর্তী নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে যেতে এই রাস্তাটি ব্যবহার করেন অগণিত মানুষ। বর্ষায় এর আরও বেহাল দশা হবে। এখনই রাস্তাটির সংস্কারের জন্য জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করছি।
অর্পিতা সেনগুপ্ত, চুপি, পূর্ব বর্ধমান
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy