ছবি: সংগৃহীত
করোনা মোকাবিলার জন্য প্রাথমিক ভাবে বার বার হাত ধোওয়ার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। সাধারণত টিভিতে দেখানো সাবান কোম্পানিগুলোর বিজ্ঞাপনে কী বলা হয়? অন্য সব সাবানের তুলনায়, ওই কোম্পানির উৎপাদিত সাবানের গুণমান সর্বোচ্চ। সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপনেও, ওই কোম্পানির সাবান অন্যান্য কোম্পানির সাবানের চেয়ে কোন কোন গুণে এগিয়ে— তার ফিরিস্তি দেওয়া থাকে। যাতে উপভোক্তা ওই নির্দিষ্ট কোম্পানির সাবানই কিনতে আগ্রহী হন।
কিন্তু, বেশ কয়েক দিন ধরে, একটি নামী সাবান কোম্পানির বিজ্ঞাপন প্রচারে দেখা গেল অন্য রূপ। ওই কোম্পানির সাবান ও হ্যান্ডওয়াশের বিজ্ঞাপনের সময় দেখা যায়: ওই সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ না পাওয়া গেলে, হাতের কাছে যে সাবান পাওয়া যাবে তা-ই ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ এক ভিন্ন স্বাদের বিজ্ঞাপন। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানির সাবানকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিপদের সময় এ এক মানবিক বিজ্ঞাপন। এই কোম্পানির বিজ্ঞাপন দৃষ্টান্তমূলক ও প্রশংসনীয়।
নরসিংহ দাস
রবীন্দ্রনগর, মেদিনীপুর শহর
ওঁদের পোশাক
গরম এখনও ঠিকমতো পড়েনি, তাতেই আমরা হাঁসফাঁস করতে শুরু করেছি। আর এই সময় দূরদর্শনের বিভিন্ন চ্যানেলের ঘোষক/ ঘোষিকারা শীতকালীন পোশাক টাই স্যুট জ্যাকেট পরে যখন পর্দায় উদয় হন, কেমন অদ্ভুতেড়ে ও অস্বাভাবিক লাগে। গরম কালে বাঙালি পোশাক, নিদেন পক্ষে শার্ট-প্যান্ট বা শাড়ি পরা যায় না? বাঙালি পোশাক কি কেবল পয়লা বৈশাখ বা ওই রকম বিশেষ দিনেই পরতে হবে?
দিলীপ চক্রবর্তী
কলকাতা-৪৫
কয়েক জন
ক্যানিংবাসী রমেশ সব্জি বেচে পেট চালায়। ভোর ভোর ওকে বাঘা যতীন স্টেশনে পৌঁছোতে হয়। ট্রেন তো বন্ধ। এ সময় ইঞ্জিনভ্যানই ভরসা। সময় অনেক বেশি লাগে, আপ-ডাউন পাঁচশো টাকা গুনতে হয় রোজ। প্লাম্বার রবির কল সারাইয়ের কাজ তেমন জুটছে না, ও সব্জি বেচছে বাজারে। চায়ের দোকানের মালিক বাদল ফুল বিক্রির কাজে নেমে পড়েছে। সুমিত্রা চম্পাহাটিতে থাকে, মাছ কাটতে আসে গড়িয়া বাজারে। ‘‘ট্রেন-বাস তো বন্ধ, এলে কিসে?’’ নিরুদ্বিগ্ন জবাব: ‘‘ঘরের অটো আছে। অসুবিধে হয় না।’’ বাজার-সংলগ্ন রাস্তায় রিকশাভ্যান দাঁড় করিয়ে রেখে ফল বেচে দিলীপ। এক দিন এল তো পরের দিন উধাও। বললাম, ‘‘মাঝেমধ্যে ডুব দাও কোথায়?’’ বলল, ‘‘কী করব দাদা, পুলিশ ধরছে। গতকাল পাড়ার দুজনকে তুলে নিয়ে গেছে। মা বলছে, ঘরে থাক— তবু বেরিয়েছি।’’ মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে ঘোষণা করেছিলেন, মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে বেলা বারোটা থেকে বিকেল চারটে। কালু ময়রার তাতে মুখ বেজার হল। ‘‘কে আসবে বলুন এই দুপুর রোদে? আপনি আসবেন?’’ সরকার-ঘোষিত সময় না মেনেই কালু মিষ্টি বেচছিল। পুলিশ হানা দিল, জরিমানাও গুনতে হল ওকে। এখন? সকাল আটটায় দোকান খোলা যাবে শুনে কালুর মুখে হাসি ফুটেছে।
শিবাশিস দত্ত
কলকাতা-৮৪
লেনিন
অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বাঙালির লেনিন’ (রবিবাসরীয়, ১৯-৪) নিবন্ধে, অনেক বাঙালি কবির উল্লেখ আছে, যাঁরা লেনিনকে নিয়ে কবিতা লিখেছেন। এই প্রসঙ্গে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করতে চাই কবি বিমলচন্দ্র ঘোষের নাম। মার্ক্সীয় দর্শনে বিশ্বাসী এই কবির কাব্যগ্রন্থগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘উদাত্ত ভারত’, ‘দ্বিপ্রহর ও অন্যান্য কবিতা’, ‘উত্তরাকাশের তারা’ ইত্যাদি। উত্তরাকাশের তারা প্রকাশিত হয়েছিল ৭ নভেম্বর ১৯৬৭। রুশ বিপ্লবের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে। বইটির প্রচ্ছদপট করেছিলেন কবি স্বয়ং। উৎসর্গ করেছিলেন লেনিনকে।বইয়ের প্রচ্ছদে লেনিন। উক্ত বইয়ে ‘লেনিন’ নামে কবিতা ছাড়াও, ‘কার্ল মার্ক্স’, ‘এঙ্গেলস’, ‘৭ই নভেম্বর’ নামে বিভিন্ন কবিতা রয়েছে। বইয়ের অর্ধেক জুড়ে রয়েছে লেনিন বিষয়ক কবিতা। এই রকম কবিতার বই বাংলা সাহিত্যে বেশি নেই। এই কবির বিখ্যাত কবিতা ‘উজ্জ্বল এক ঝাঁক পায়রা’।
শৈবাল মুখোপাধ্যায়
কলকাতা-২৬
আরও কিছু
‘বাঙালির লেনিন’ লেখাটির সঙ্গে কিছু সংযোজন।
(১) ধর্মতলার লেনিন মূর্তিটিকে স্মরণ করে ‘একটু পা চালিয়ে ভাই’ কবিতাটিতে কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘লেনিনকে আমরা দাঁড় করিয়ে রেখেছি ধর্মতলায়’। এই কবিতাটিকেই ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন চিন্মোহন সেহানবীশ 'Lenin Looks On' নামে ।
(২) ভারতের বিভিন্ন জায়গায় লেনিন-মূর্তি ভাঙা, তাঁর ছবি কালিমালিপ্ত করার যে অপচেষ্টা শুরু হয়েছিল, সে সব দেখে অন্নদাশঙ্কর রায় লিখেছিলেন, “লেনিন মুর্তি না বাঁচে তো/ গান্ধীও কি বাঁচবে....,গান্ধী মূর্তি না বাঁচে তো সুভাষও কি বাঁচবে...’’
(৩) ধর্মতলা স্ট্রিটের নাম পরিবর্তন করে লেনিন সরণি নাম রাখার ক্ষেত্রে এবং এসপ্ল্যানেডে লেনিন মূর্তির স্থাপনের প্রধান উদ্যোগ ছিল ‘ইসকাফ’-এর পূর্বসূরি সংগঠন ‘ইসকাস’, অর্থাৎ ভারত সোভিয়েত সংস্কৃতি সমিতির ১৯৭০ সালের সাধারণ সম্পাদক ধরণী গোস্বামীর। রাশিয়ার মৈত্রী সংগঠনের তরফ থেকে এই মুর্তিটি পশ্চিমবঙ্গের ‘ইসকাস’-কে উপহার দেওয়া হয়েছিল। তাই কলকাতার বুকে লেনিন মুর্তির সঙ্গে চিরকাল জড়িয়ে থাকবে ধরণী গোস্বামীর নাম। আরও এক জনের নাম জড়িয়ে থাকবে, তিনি সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। তিনি সভাপতি হিসেবে দুটি কাজেই তাঁকে উৎসাহ দিয়েছিলেন ।
ভানুদেব দত্ত
কলকাতা-১১৪
ঠিকই আছে
‘আকাশবাণী’ (২০-৪) শীর্ষক পত্র সম্পর্কে জানাই, লকডাউন শুরুর দিন থেকেই আকাশবাণী কলকাতার সংবাদ বিভাগ ভীষণ ভাবেই সচল, প্রায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে বাংলা খবরের সময়সীমা প্রায় দ্বিগুণ করে খবর সম্প্রচার করে চলেছে। প্রতি দিন রাত আটটায় ‘করোনা ক্লিনিক’ শীর্ষক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বহু বিশিষ্ট চিকিৎসক, বিজ্ঞানীদের সাক্ষাৎকার প্রচার করা হচ্ছে। এ ছাড়া সংবাদ পরিক্রমার মতো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে করোনা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য দেওয়া হচ্ছে। প্রথম দু’এক দিন গীতাঞ্জলিতে হিন্দি অনুষ্ঠান শোনা গেলেও, লকডাউন ঘোষণার তিন দিনের মাথায় আকাশবাণী কলকাতা স্বমহিমায় ফিরে এসেছে। সকাল ছ’টা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত বাংলা অনুষ্ঠান, প্রাত্যহিকী-তে অসংখ্য মানুষ ইমেলে চিঠি লিখছেন, ‘সুরক্ষিত ভারত’ এবং ‘কেমন আছেন’ নামের লাইভ ফোন-ইন অনুষ্ঠান হচ্ছে। প্রায় ঘন্টায় ঘন্টায় প্রচারিত করোনা সচেতনতামূলক বাংলা নাটিকা। এ ছাড়াও নানা ধরনের সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠান, সংগীত ও নাটকের সম্প্রচারও করে চলেছে আকাশবাণী কলকাতা। বহু কালজয়ী বেতার নাটক শুনতে পাচ্ছি প্রতি দিন। বাংলায় ধারাবাহিক মেগা সিরিয়াল রামায়ণ প্রচারিত হচ্ছে। অতএব বাংলা অনুষ্ঠান সম্প্রচারে কোথাও কোনও খামতি নেই।
যোগেন বিশ্বাস
মেমরি, পূর্ব বর্ধমান
নিবেদিতার সঙ্গে
বিশ্বজিৎ রায়ের ‘মহামারির তখন এখন’ (১৯-৪) নিবন্ধের সূত্রে জানাই, প্লেগের সঙ্গে লড়াইয়ে নিবেদিতার সহযোগী ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক রাধাগোবিন্দ কর। দু’জন মিলে সাইকেল নিয়ে কলকাতার নানা জায়গায় যেতেন রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে।
শোভনলাল বকসি
কলকাতা-৪৫
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy