বেহাল স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ফাইল চিত্র।
হাওড়া জেলার দ্বীপাঞ্চল ভাটোরায় অবস্থিত একটি প্রাচীন ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান হল দক্ষিণ ভাটোরা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। বর্তমানে এর উপরে নির্ভরশীল প্রায় পাঁচটি গ্ৰামের কয়েক হাজার মানুষ। কিন্তু সমস্যা হল, নানাবিধ কারণে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি দীর্ঘ দিন ধরে জটিল সমস্যায় জর্জরিত। পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী বা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তো দূরের কথা, সুসংহত চিকিৎসা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোটুকুও এখানে অনুপস্থিত। ফলে, সুষ্ঠু স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে দিনের পর দিন বঞ্চিত হচ্ছেন দ্বীপাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকার অসংখ্য মানুষ। অন্য দিকে, প্রতিষ্ঠানের মূল ভবনটির অবস্থা অত্যন্ত জরাজীর্ণ এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রাঙ্গণে সর্বক্ষণ ঘুরে বেড়াচ্ছে কুকুর, বিড়াল, গরু, ছাগল। নিয়মিত সাফাই ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যত্রতত্র পশুপাখির মলমূত্র ও ময়লা-আবর্জনা জমে দুর্গন্ধময়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সাম্প্রতিক কালে প্রতি দিন সন্ধ্যার পর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যেই বসছে মদ, গাঁজার আসরও। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন, জনস্বার্থে দীর্ঘ দিনের এই সকল সমস্যার স্থায়ী সমাধানে অবিলম্বে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করা হোক।
তন্ময় মান্না, বৃন্দাবনপুর, হাওড়া
রাস্তা মেরামত
ব্যারাকপুর থেকে কাঁচরাপাড়া যাওয়ার জন্য ঘোষপাড়া রোড অতি ব্যস্ত রাস্তা। ব্যারাকপুর সিটি হসপিটালের কাছে এই রাস্তা একটি রেললাইনকে পার করেছে। এই রেললাইন দিয়ে সেনাবাহিনীর প্রয়োজনে মালগাড়ি ও বিশেষ ট্রেন যাতায়াত করে। বেশ কিছু দিন থেকেই রাস্তার যে অংশটি রেললাইনের উপর দিয়ে গিয়েছে, তার অবস্থা খুব খারাপ। রাস্তা মেরামত হলেও রেললাইনের অংশটি কোনও কারণে সারানো হয়নি। বর্তমানে রেললাইনের মাঝের রাস্তার এই অংশটি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। প্রায় প্রতি দিনই স্কুটার, মোটরসাইকেল, অটো, টোটো নানা ভাবে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। কয়েক দিন আগেই একটি ট্রাকের অ্যাক্সেল ভেঙে যাওয়ায় সাময়িক ভাবে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তার এই অংশটিকে মেরামতের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ রইল।
তপন কুমার সরকার, ব্যারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
স্টেশনের সমস্যা
কর্মসূত্রে শিয়ালদহ স্টেশনে নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। স্টেশনের ৭ ও ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্ম অতীব সঙ্কীর্ণ হওয়ায় দিনের ব্যস্ত সময়ে ট্রেন ঢুকলে জায়গার সমস্যা হয়। সমস্যা দ্বিগুণ হয়ে যায় যদি উক্ত দু’টি প্ল্যাটফর্মে একই সঙ্গে ট্রেন প্রবেশ করে। তা ছাড়া, প্ল্যাটফর্ম জুড়ে দোকানের উপস্থিতিও সমস্যা জটিল করে তোলে। বিশেষ করে, দক্ষিণ প্রান্তে একটি নামী সংস্থার মোমো-র দোকান প্ল্যাটফর্মের অনেকটা জায়গা দখল করে থাকে। যে সব নিত্যযাত্রীকে শিয়ালদহতে নেমে আবার শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন ধরতে ছুটতে হয়, তাঁদের পাঁচ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে অনেক বেশি সময় লেগে যায়। ফলে নির্ধারিত ট্রেন অধিকাংশ সময়েই স্টেশন ছেড়ে চলে যায়। এ ছাড়াও অত্যধিক ভিড়ে পদপিষ্ট হওয়ার মতো দুর্ঘটনাও যে কোনও দিন ঘটতে পারে। রেল কর্তৃপক্ষ উক্ত সমস্যাটির দিকে অবিলম্বে নজর দিলে অগণিত নিত্যযাত্রীর উপকার হবে।
রজত ঘোষবেল, ঘড়িয়া, উত্তর ২৪ পরগনা
মাটির রাস্তা
প্রতি বার ভোট আসে, ভোট যায়। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলই কথা রাখে না। ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের দিঘির পাড় অঞ্চলের প্রায় ১৬৫০ মিটার কাঁচা রাস্তাটি আজও ঢালাই রাস্তায় পরিণত হল না। প্রয়াত রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এই মাঠে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন। সেই সময় থেকে জায়গাটি ‘রাজীব মাঠ’ নামেই পরিচিত। এখন প্রায় ২০০ পরিবারের বাস রয়েছে এই অঞ্চলে। বহু বছর ধরে মাটির ওই রাস্তা দিয়েই চলাচল করতে হয়। বর্ষায় রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ হয়। ১৯৯৬ সালের ৩ মার্চ ক্যানিং ১, ২, বাসন্তী, গোসাবা— এই চারটি ব্লক নিয়ে ক্যানিং মহকুমা ঘোষণা করা হয়। মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তাঘাটের বেশ কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু ক্যানিং শহর থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে রাজীব মাঠের রাস্তাটি আজও তৈরি হল না। সুন্দরবনের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদ গঠিত হয় ১৯৭৩ সালে। প্রায় চার বছর আগে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদ থেকে রাস্তাটি মাপা হয়। দুর্ভাগ্য যে, আর্থিক ছাড়পত্র না পাওয়ার জন্য রাস্তাটি তৈরি হচ্ছে না। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজ্য সরকার পঞ্চায়েতে পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে বহু টাকা অনুমোদন করেছে। এই বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
শিবানী ঘোষাল, ক্যানিং, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
যাত্রী-স্বার্থে
সোনারপুর স্টেশন একটি জংশন স্টেশন। দূরবর্তী যে ট্রেনগুলি সোনারপুর স্টেশনের উপর দিয়ে শিয়ালদহ যায়, তাতে সোনারপুরের মানুষেরা অতি কষ্টে যাতায়াত করেন। এর পর যে ট্রেনটি (সোনারপুর-শিয়ালদহ লোকাল) সকাল আটটা বিয়াল্লিশে ছাড়ে, তাতে সোনারপুরের যাত্রীরা ওঠার পর্যাপ্ত জায়গা পান না। কিন্তু ক্যানিং-সোনারপুরের আর একটি ট্রেন না এলে সোনারপুর লোকাল ছাড়া হয় না। অর্থাৎ, ব্যস্ত অফিস টাইমে দু’টি ভিড় ট্রেনের যাত্রীরা একটি ট্রেনের মধ্যে অতি কষ্টে যাতায়াত করছেন। অপর দিকে, ক্যানিং-সোনারপুর ট্রেনের যাত্রীরা ট্রেন থামলে কিংবা না থামলেও মরিয়া হয়ে ছোটেন সোনারপুর-শিয়ালদহ ট্রেন ধরার জন্য। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া কখনও সোনারপুর-শিয়ালদহ সোনারপুরে ৪ নম্বর স্টেশনে দিলে ক্যানিং-সোনারপুর লোকালের যাত্রীরা ২ নম্বর স্টেশন থেকে ৩ নম্বর লাইন টপকে ট্রেনের উল্টো দিক থেকে ট্রেনে ওঠেন। এটি বিপজ্জনক। ব্যস্ত অফিস টাইমে দু’টি ট্রেনকে যদি পৃথক ভাবে শিয়ালদহ পাঠানো হলে অনেকে উপকৃত হন।
পিন্টু মণ্ডল, কলকাতা-১৫০
এত সন্দেহ
আমার প্যান কার্ড করার সময় বানান ভুল আসে। এর পর ভোটার কার্ডের বানান ভুল শোধরাতে বাবার উপাধি ভুল হল। শুধুমাত্র আধার কার্ডে সব কিছুই ঠিকঠাক হল। কারণ ওটা আমাদের সামনেই নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এর পর আধারের সঙ্গে ভোটার, মোবাইল, প্যান কার্ডের যোগ করতে গিয়ে নিজের বা বাবার নামের বানান এক জন গেজ়েটেড অফিসারের দ্বারা অ্যাটেস্টেড করে পাঠানোর পর উক্ত অফিসারের আইডি কার্ডের ফোটোকপি চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন। কী ভাবে এই অবস্থা থেকে নিস্তার পাব? এক জন গেজ়েটেড অফিসার এ ক্ষেত্রে আইডির ফোটোকপি দিতে অস্বীকার করতে পারেন কি? এত সন্দেহ থাকলে আমাদের ভোটে ক্ষমতা দখল কি বেআইনি নয়?
আশিস ভট্টাচার্য, বারুইপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
আকাশবাণী
‘ভুলে যাওয়া আকাশবাণী’ (রবিবাসরীয়, ১২-৩) শীর্ষক প্রবন্ধে বলা হয়েছে যে, ১৯৫৮ সালে অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো থেকে আকাশবাণী নামকরণ হয়েছিল। অথচ, আকাশবাণীর নিজস্ব ওয়েবসাইটের আর্কাইভে বলা রয়েছে, ১৯৫৬ সালে অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো থেকে আকাশবাণী নামকরণ হয়। এর আগে ১৯৩৬ সালের ৮ জুন অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো নামকরণ করা হয়েছিল।
সুরজিৎ বিশ্বাস, প্রাক্তন কর্মী, অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো, কলকাতা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy