মিহিদানা সীতাভোগ/ বর্ধমানে জলযোগ/ ভাল ঘিয়ে ভাজা তো/ দূরে পালাবে সব রোগ। বর্ধমানের সেই সীতাভোগ-মিহিদানার সুদিন এসে উপস্থিত। আগেই মিষ্টান্নদ্বয় জিআই তকমা লাভ করেছিল। অধুনা ভারতীয় ডাক বিভাগ তাদের সম্মানে বিশেষ প্রচ্ছদও প্রকাশ করেছে। আশা, এর ফলে মিষ্টান্নদ্বয়ের ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে এবং দেশ-বিদেশে তাদের পরিচয়ের ব্যাপ্তি ঘটবে।
এই সূত্রেই আশঙ্কার কথা বলি। এক বার আমার স্বামী আমাদের গ্রামের স্কুলের শতবার্ষিকী উৎসবের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আনার ব্যবস্থা করেছিলেন তাঁর সহকর্মী বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা সাহিত্যিক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজকে। অনুষ্ঠান-শেষে ওঁরা দু’জনে বর্ধমানে যান এবং সিরাজকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমার স্বামী বর্ধমান স্টেশনের কাছের একটি দোকান থেকে সীতাভোগ-মিহিদানা কিনে দেন। কিন্তু ওই মিষ্টি ছিল একেবারেই বাসি এবং দুর্গন্ধযুক্ত। পরে শুনেছিলাম স্টেশনের ভিতর ও কাছের দোকান থেকে সীতাভোগ, মিহিদানা কিনলে ওই আশঙ্কা থেকে যায়। যাত্রীদের ট্রেন ধরার তাড়া থাকে বলে দোকানগুলি তার সুযোগ নেয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই দু’টি মিষ্টির বিক্রি বেড়ে যাওয়ার কথা। একই সঙ্গে বেড়ে যাওয়ার কথা অসাধু ব্যবসায়ীদের তৎপরতাও। সে ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে পুর ও পুলিশ প্রশাসনকে। আশা করছি, তারা এই দুই মিষ্টি ও বর্ধমান শহরের সুনাম রক্ষায় বাড়তি সজাগ থাকবে।
প্রমীলা মিত্র
আঝাপুর, বর্ধমান
মাঞ্জার বিপদ
কলকাতার নতুন বিপদ চিনা মাঞ্জা। এক আধ-দিন নয়, এই মাঞ্জার কারণে প্রায়শই মা উড়ালপুলের উপর দিয়ে যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁদের অনেকেই আহত ও রক্তাক্ত হচ্ছেন। দীর্ঘ দিন ধরেই এই সমস্যা চলছে। উৎসব উপলক্ষে, বিশেষত বিশ্বকর্মা পুজোর সময় ঘুড়ি ওড়ানো হয় কলকাতার আকাশে। গ্ৰামাঞ্চলে সরস্বতী পুজোয় এর চল ছিল। সেখানে ঘুড়ি ওড়ানো প্রায় বন্ধ হয়ে গেলেও বহাল তবিয়তে কলকাতা শহরে সম্বৎসর ঘুড়ি ওড়ানো দৃশ্যমান। আগে মাঞ্জা তৈরি হত সূক্ষ্ম সুতোয় চালের আঠা, গাছের আঠা বা যে কোনও প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে। বর্তমানে চিনা মাঞ্জায় ননবায়োডিগ্রেডেবল কৃত্রিম তন্তু ব্যবহৃত হয়, যা আদতে নাইলন সুতো। প্লাস্টিকসদৃশ, রঙিন ও মিহি কাচের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি। এই সুতোয় সহজে ঘুড়ি আকাশে ওড়ে, সেই সঙ্গে অত্যন্ত ধারালোও বটে। অতি সহজলভ্য ও কম দামেও বাজারে মেলে। দ্য ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল (এনজিটি) ২০১৭ সালে এই ধরনের সুতো দিয়ে ঘুড়ি ওড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতি বছর বহু পাখি এই ধারালো সুতোর ফাঁদে জড়িয়ে মারা যায়। এর পরও কিন্তু বিভিন্ন নামে বাজারে এই মাঞ্জার বিক্রি অবাধে চলেছে। পরিষ্কার করে বলা আছে, আদালতের নির্দেশ অমান্য করলে পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল ও অনাদায়ে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হবে। কিন্তু নির্দেশ ও নিষেধাজ্ঞাই সার। চিনা মাঞ্জার কারণে আজ পাখিদের পাশাপাশি মানুষের জীবনও উত্তরোত্তর বিপদের মুখে।
ইন্দ্রনীল বড়ুয়া
কলকাতা-১৫
রাস্তায় আবর্জনা
প্রতি দিনের আবর্জনা ফেলার জন্য সোদপুর পানিহাটি মিউনিসিপ্যালিটি-র নির্দিষ্ট কোনও জায়গা নেই। তাই, রাস্তার পাশে যেখানে সেখানে আবর্জনার স্তূপ জমে থাকে! পাশাপাশি দুটো গাড়ি যাওয়ার সময় রাস্তার উপর ময়লা চলে আসে। সামান্য বৃষ্টিতেও রাস্তায় আবর্জনা ছড়িয়ে হাঁটাচলা দায় হয়ে পড়ে। সেন্ট জ়েভিয়ার্স স্কুল রোড থেকে বটতলা বারো মন্দির, সোদপুর স্টেশন রোড থেকে পানসিলা, রাসমণি মোড় থেকে পঞ্চাননতলা বাজার ইত্যাদি অঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তার একই হাল। প্রত্যেকটি রাস্তার উপর আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা করা থাকলে, এবং সেই সঙ্গে এক দিন অন্তর ভ্যাট পরিষ্কার করা হলে, জনগণ এই পরিবেশ দূষণ থেকে মুক্তি পাবে।
ইন্দ্রজিৎ ঘোষ
সোদপুর, উত্তর ২৪ পরগনা
পরিকল্পনা-হীন
৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষাকর্মী-সহ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রশ্ন জাগে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কি নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা নেই এ বিষয়ে? রাজ্যগুলিকে আগে থেকে কি জানানো যেত না? না কি শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ বা টুইটারের রসদ জোগানোর জন্য তড়িঘড়ি এই উদ্যোগ? টিকার আকালের জন্য নানা জায়গায় মানুষের ক্ষোভ-বিক্ষোভের ঘটনা হামেশাই সংবাদমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে এই টিকাকরণ করতে গেলে কেন্দ্রগুলিতে যথেষ্ট ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। দ্বিতীয়ত, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অগ্ৰাধিকার ভিত্তিতে টিকাদান করলে, যাঁরা টিকার জন্য হাপিত্যেশ করে বসে আছেন, তাঁদের মনে স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষোভের সঞ্চার হবে। তৃতীয়ত, টিকার দ্বিতীয় ডোজ় যাঁদের নির্ধারিত আছে, তাঁরাও হয়রানির শিকার হবেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে গেলে ছাত্রছাত্রীদেরও টিকাকরণ প্রয়োজন। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে কিছু জানা গেল না। এগুলি পরিকল্পনার খামতি নয় কি?
ধীরেন্দ্র মোহন সাহা
কলকাতা-১০৭
ব্যাঙ্কে হয়রানি
বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত ইউবিআই ব্যাঙ্কের আমতলা শাখায় আমার একটি পেনশন এবং স্ত্রী ও আমার একটি যৌথ সেভিংস অ্যাকাউন্ট আছে। আবার, এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের বিদ্যানগর শাখাতেও আমার স্ত্রী ও আমার একটি যৌথ সেভিংস অ্যাকাউন্ট আছে। ঘটনাচক্রে দু’টি ব্যাঙ্কই যথাক্রমে পিএনবি ও ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কে পরিবর্তিত হয়েছে। গত বছর থেকে তাদের সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া এবং কোভিড পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের হয়রানির শেষ নেই। বহু দিন ধরে পেনশন তোলা যাচ্ছে না। মেলার মতো ভিড়ে ব্যাঙ্কে ঢোকাই দুষ্কর। নতুন চেকবই চেয়েও মিলছে না, পাসবই আপডেট হচ্ছে না। ইউবিআই-এর চেক এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক থেকে ক্লিয়ার হচ্ছে না। আবার, ১৫এইচ ফর্ম জমা দেওয়া সত্ত্বেও এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক আমাদের দু’টি ফিক্সড ডিপোজ়িট থেকে ট্যাক্স (টিডিএস) কেটে নিয়েছে। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার জানুয়ারিতে বললেন, ভুল হয়েছে। এপ্রিলে বললেন, কিছু করার নেই। ট্যাক্স রিফান্ডের জন্য বৃদ্ধ বয়সে ব্যাঙ্ক থেকে সুদের স্টেটমেন্ট ইত্যাদি জোগাড় করতে নাজেহাল অবস্থা। ব্যাঙ্কে চিঠি লিখেও উত্তর নেই।
পরেশ মালিক
চন্দনদহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
জোর কেন
গত ১০ অগস্ট স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, মাশিলাতে একটি নতুন এসবি অ্যাকাউন্ট করাতে গিয়ে বাধ্যতামূলক ভাবে করাতে হল ‘প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা’ নামে দু’টি বিমা। একটির প্রিমিয়াম বছরে ৩৩০ টাকা, অন্যটির বছরে ১২ টাকা। কেন্দ্রীয় সরকার বা আরবিআই-এর কোনও নির্দেশ না থাকা সত্ত্বেও ব্যাঙ্কগুলি উপভোক্তাদের এই দু’টি বিমা করতে বাধ্য করছে কেন?
সঞ্জীব মজুমদার
আন্দুল-মৌড়ি, হাওড়া
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy