করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে দীর্ঘ লকডাউন এবং তার জেরে মানসিক ক্লান্তি দূর করতে চার বন্ধু দিঘা যাওয়ার পরিকল্পনা করি। হাবড়া থেকে দিঘা-হাবড়াগামী এসবিএসটিসি বাসের টিকিট সংগ্রহ করে সংরক্ষিত আসনে বসি। কিন্তু বারাসত পার হতেই বাসটা একেবারে লোকাল বাসে পরিণত হয়। সংরক্ষিত আসন ছাড়াও দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীর সংখ্যাও অগণিত। মাঝের কিছুটা পথ বাদ দিয়ে আবার শুরু হয় ভিড়ের উপদ্রব। কোলাঘাট থেকে তা চরম সীমা ছাড়িয়ে যায়। কন্ডাক্টর বা চালকের কাছে এই বিষয়ে জানতে চেয়েও ঠিকঠাক উত্তর পাওয়া যায়নি।
যাত্রী ওঠানোর তাগিদে বাসটিকে যেখানে-সেখানে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। ফলে সেটি তার স্বাভাবিক গতি হারাচ্ছিল। এ দিকে সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছতে মাঝে মাঝে ঊর্ধ্বশ্বাসেও ছুটছিল বাসটি। যাত্রীদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। যেখানে পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নেওয়ার কথা, সেখানে সংরক্ষিত একটিও আসন খালি ছিল না। ভিড়ের কারণে সামাজিক দূরত্বেরও কোনও বালাই ছিল না।
খুব জানতে ইচ্ছা করে, নিয়মটা কারা ভাঙছে— বাসের চালক ও সহকারী, না কি সরকার? করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও পুরোপুরি যায়নি। শিয়রে কড়া নাড়ছে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে ন্যায্য দামে টিকিট কাটা দূরপাল্লার যাত্রীদের বিপদের মুখে ফেলা কতখািন ন্যায়সঙ্গত বলে মনে হয়?
সফিয়ার রহমান
অশোকনগর, উত্তর ২৪ পরগনা
পাশ করেও ফেল
‘শূন্যতেও পাশ’ (সম্পাদক সমীপেষু, ২২-৬) শীর্ষক চিঠিতে পত্রলেখক আশঙ্কা করেছেন যে, এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল্যায়ন পদ্ধতির সুবিধা পেয়ে পরীক্ষার্থীরা (এমনকি নবম শ্রেণিতে সমস্ত বিষয়ে ‘শূন্য’ পেলেও) ন্যূনতম ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশ নম্বর নিয়ে একাদশ শ্রেণিতে উঠে যেতে পারে। কোনও পরীক্ষার্থীকে নবম থেকে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে হলে প্রতিটি বিষয়ে আলাদা আলাদা করে অন্তত ২৫ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। তাই, একটি বিষয়ে শূন্য পেলেও সে দশম শ্রেণিতে উঠতে পারবে না, মাধ্যমিক দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সুতরাং, পত্রলেখকের এ আশঙ্কা অমূলক।
বরং, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার যে মূল্যায়ন পদ্ধতি ঘোষিত হয়েছে, তার ফলে কোনও কোনও পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক ও একাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করেও উচ্চমাধ্যমিকে ফেল করতে পারে। কী ভাবে? ধরা যাক, কোনও পরীক্ষার্থী মাধ্যমিকে সব বিষয়ে ২৫ থেকে ২৮-এর মধ্যে নম্বর পেয়ে পাশ করেছে। একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাতেও লিখিত অংশে সে ২৪ (নন-ল্যাব সাবজেক্টে) বা ২১ (ল্যাব-বেসড সাবজেক্টে) পেয়ে কেবলমাত্র পাশটুকুই করতে পেরেছে। এমন পরিস্থিতি বাস্তবে ঘটতেই পারে। এই বার যখন তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল তৈরি হবে, তার লিখিত পরীক্ষার নম্বরের হিসাবটি দাঁড়াবে— মাধ্যমিকের চারটি বিষয়ে ২৮ করে ধরলেও (১১২/৪০০)×৩২ = ৮.৯৬ (যদি একাদশে তার লিখিত পরীক্ষা ৮০ নম্বরে হয়); এ বার, একাদশে যে হেতু তার প্রাপ্ত নম্বর ৮০-র মধ্যে ২৪, সেখান থেকে সে পাচ্ছে (২৪/৮০) × ৪৮ = ১৪.৪। তা হলে সাকুল্যে লিখিত পরীক্ষায় সে পাচ্ছে (৮.৯৬ + ১৪.৪) = ২৩.৩৬। এই হিসাব ল্যাব-বেসড সাবজেক্টে হবে (৭.৮৪ + ১২.৬) = ২০.৪৪। ২৫ বা ২৬ যদি তার মাধ্যমিকে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর হয়, তা হলে যোগফল দাঁড়াবে আরও কম (২২.৪ বা ১৯.৬)। কিন্তু লিখিত অংশে তাকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার নিয়মানুসারে, অন্তত ২৪ (নন-ল্যাব সাবজেক্টে) বা ২১ (ল্যাব-বেসড সাবজেক্টে) পেতেই হবে, না হলে সে ফেল। অর্থাৎ, মাধ্যমিক ও একাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ নম্বর পেয়েও সে এই মূল্যায়ন পদ্ধতির মধ্যে পড়ে ফেল করে যেতে পারে।
বিরুদ্ধ যুক্তি বলবে, ফলাফল পছন্দ না হলে তো বসে পরীক্ষার বন্দোবস্ত আছেই, সেখান থেকে পাশ করে আসুক। ঠিকই, অতিমারির প্রকোপ কমলে সে পরীক্ষা হবে, তার পর তার ফল বেরোবে। তত দিন শিক্ষার্থীটি বরং হতাশ মনে ভাবতে থাকুক যে, তার বন্ধুরা সকলে কলেজে ভর্তি হয়ে গেল, কিন্তু সে পারল না। কারণ, সে পরীক্ষায় পাশ করেও, পাশ করতে পারেনি।
ফাল্গুনী মিত্র
ডোমজুড়, হাওড়া
শুকনো গাছ
হুগলি জেলার ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলির মধ্যে বলরামবাটি অন্যতম। এখানকার বলরামবাটি হাটতলা থেকে যে রাস্তাটি জরুটি-কুলপাই গিয়েছে, তার মাঝে বিজনবিহারী বালিকা বিদ্যালয়ের আগেই শিবরামবাটি এলাকায় রাস্তার ধারে রয়েছে অনেক শিরীষ গাছ। বহু দিন হল গাছগুলি একেবারে শুকিয়ে গিয়েছে। এদের পাশেই আছে এগারো হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তার। ঝড়-বৃষ্টিতে গাছগুলি বৈদ্যুতিক তার এবং রাস্তার উপর পড়ে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ, পথচারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে অবিলম্বে শুকনো গাছগুলি কেটে ফেলার ব্যবস্থা এবং ওই জায়গায় নতুন গাছ লাগানোর উদ্যোগ করা হোক।
তাপস দাস
সিঙ্গুর, হুগলি
অচল টেলিফোন
বিএসএনএল-এর খড়্গপুর টেলিকম ডিস্ট্রিক্ট-এর অন্তর্গত নোনাকুড়ি বাজার টেলিফোন এক্সচেঞ্জ-এর অধীনে আমার একটি ল্যান্ডলাইন টেলিফোন আছে। বর্তমানে টেলিফোনটি সম্পূর্ণ অচল। এক্সচেঞ্জকে বহু বার অনুরোধ করেও কোনও কাজ হয়নি। আমি প্রবীণ নাগরিক। ল্যান্ডলাইনে যোগাযোগ করতেই বেশি স্বচ্ছন্দ। অতিমারিতে আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগে যথেষ্ট অসুবিধা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সবিনয়ে অনুরোধ, টেলিফোনটি অবিলম্বে চালু করার ব্যবস্থা করুন।
চন্দন চক্রবর্তী
তমলুক, পূর্ব মেদিনীপুর
নিকাশি নেই
‘জল জমে পরদিনও, যানজট ভিআইপি রোডে’ (৯-৭) প্রকাশিত প্রতিবেদনটি পড়লাম। মহেঞ্জোদারো, হরপ্পা সভ্যতায় পাকাপাকি নিকাশিব্যবস্থা করেই নগরোন্নয়ন পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ব্রিটিশরা মাটির নীচে ইটের তৈরি পাকাপোক্ত নিকাশি নালার ব্যবস্থা করে রাজপথ তৈরিতে হাত দেয়। আজ উপযুক্ত নিকাশিব্যবস্থা ছাড়াই ঝাঁ চকচকে এক্সপ্রেসওয়ে বানানো হয়েছে। ফলে, ভিআইপি রোডের হলদিরাম থেকে কৈখালি হয়ে এয়ারপোর্ট ও সংলগ্ন চিনারপার্ক, রাজারহাট-গোপালপুর এলাকা বর্ষায় নোংরা জমা জলে ভেসে যায়। বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য লকগেট তৈরির কথা ভাবছে। প্রশ্ন হল, জমা জলের অন্তিম যাত্রা কোথায় হবে? খাল, বিল, নয়নজুলিকে কবর দেওয়ার এটাই ফল। বাগজোলা খালের ধারণক্ষমতাও তো তলানিতে এসে ঠেকেছে।
অঞ্জন কুমার শেঠ
কলকাতা-১৩৬
কঠোর পদক্ষেপ
প্লাস্টিকের বিপদ সম্পর্কে বিভাগে রীতা পালের চিঠির (‘সচেতনতা নেই’, সম্পাদক সমীপেষু, ৫-৭) পরিপ্রেক্ষিতে বলি, প্লাস্টিকের ব্যাগ ও বোতল যেখানে তৈরি হয়, সরকারের উচিত সেই সব কারখানার উৎপাদন বন্ধ করা। মানুষকে সচেতন করতে বহু বছর ধরে একাধিক বিজ্ঞান সংগঠন বার বার সতর্ক করে আসছে। কিন্তু কোনও ফল দেখা যাচ্ছে না, যাবেও না। যেমন, দীর্ঘ দিন ধরে ‘তামাক ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর’— এই তথ্য বিভিন্ন ভাবে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তামাকের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। প্লাস্টিকের ব্যবহার হয়তো সম্পূর্ণ বন্ধ করা যাবে না, কিন্তু ক্যারিব্যাগ ও বোতল উৎপাদনকে বন্ধ করতে হবে।
সংগ্ৰাম অগস্তি
কলকাতা-৬০
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy