—প্রতীকী ছবি।
মানুষ যাতে এ বার থেকে একটু কম ভাড়ায় গাড়ি চড়তে পারেন, সে জন্য সরকার ‘যাত্রী সাথী’ নামক একটি নতুন অ্যাপ ক্যাব চালু করেছে (“পুজোর মুখে সূচনা ‘যাত্রী সাথী’-র”, ১৬-১০)। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি যে বিশেষ পাল্টায়নি, সেই সূত্রেই এই পত্র। কিছু দিন আগে আমার স্বামী আমাকে নিয়ে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য ওই অ্যাপের মাধ্যমে একটি গাড়ি বুক করার চেষ্টা করেন। ভাড়া দেখা গেল ৪০৫ টাকা। ওই ভাড়াতেই গাড়ি বুক করা হল। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছে ড্রাইভার চাইলেন ৪৬৪ টাকা। তাঁর মোবাইলে ওই টাকাই দেখা গেল। এ বার আমার স্বামীর মোবাইলে দেখা গেল মেসেজ এসেছে যে, ৪০৫ টাকা ভাড়াটি আপডেট করে ৪৬৪ টাকা করা হল যে-হেতু আমাদের নাকি ৩.৪৬ কিলোমিটার বেশি যাত্রা করতে হয়েছে। আমরা লোকেশন ‘অন’ করে গাড়ি বুক করেছিলাম, রাস্তাও একেবারেই খালি ছিল সাতসকালে। তাই রুট পাল্টায়নি একটুও। তা ছাড়া যাত্রী তো আর রুট বদল করতে পারে না। যা রুট ঠিক করার অ্যাপই করে। যা-ই হোক, ড্রাইভারের দাবি মতো আমাদের ৪৬৪ টাকাই দিতে হল।
এই শিক্ষা পাওয়ার পর বাড়ি ফেরার পথে অন্য একটি অ্যাপের মাধ্যমে গাড়ি বুক করলাম, ভাড়া পড়ল ৪০৪ টাকা । এ বার অবশ্য বাড়ি ফিরতে কোনও অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়নি। পরে আমার স্বামী ‘যাত্রী সাথী’ অ্যাপে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। দেখা গেল যে, সেই অভিযোগটিই মুছে গিয়েছে, আর দেখা যাচ্ছে না। এর পর উনি ইমেল করে বিস্তারিত জানিয়ে অতিরিক্ত টাকা ফেরত চান। ইমেল চালাচালির সময় অ্যাপ-এর পক্ষ থেকে কেউ এক জন নাম না প্রকাশ করে উত্তর দেন যে, প্রথমে বুকিংয়ের সময় নাকি আনুমানিক দূরত্ব অনুসারে ভাড়া চাওয়া হয়েছিল। পরে আসল দূরত্ব বেশি হয়, তাই ভাড়া বেড়ে যায়। তা ছাড়া দুটো রুট ছিল— তার মধ্যে যেটার দৈর্ঘ্য বেশি, সেই পথে গাড়ি গিয়েছিল বলে দূরত্ব আর ভাড়া বেশি পড়েছিল।
প্রশ্ন হল, তা হলে লোকেশন ‘অন’ করে গাড়ি বুক করলেও এই অ্যাপ কি পথের সঠিক দৈর্ঘ্য হিসাব করতে পারে না? বুক করার সময়েই রুট ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা। অন্তত তা-ই হয় অন্য সব অ্যাপে। এই অ্যাপটি কি তা হলে অন্য কিছু করে? বুকিং হয়ে যাওয়ার পরেও যদি গাড়ি রুট আর ভাড়া বদল করতে পারে, তা হলে কোন ভরসায় যাত্রী এ গাড়ি বুক করবেন? যাত্রীর সঙ্গে এক ভাড়ায় চুক্তি হওয়ার পর সেই চুক্তি ভঙ্গ করে বাড়তি টাকা নেওয়া যায় কি? যেখানে রুট ঠিক করে অ্যাপ, সেখানে বুক করার পর অযথা রুট বাড়লে, সেটা যাত্রীর দায় কি? এ ভাবে যাত্রীদের প্রতারিত করা কেন? অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে অ্যাপ কর্তৃপক্ষ কোনও উত্তর দিচ্ছে না। বোঝাই যাচ্ছে যে, কেউ এতে অবশ্যই লাভবান হচ্ছেন যাত্রীর পকেট কেটে। তাই সাধু সাবধান। এ বিষয়ে প্রশাসনের কি কিছুই করার নেই?
ঝুমা বসু, কলকাতা-৮৩
নোট বদল
এক সময় সরকার দেশে বহু মূল্যবান দু’হাজার টাকার নোট চালু করেছিল। পরবর্তী সময়ে ঘোষণা করা হয় ওই নোট বাতিল না করে আস্তে আস্তে বাজার থেকে তুলে নেওয়া হবে। তার জন্য দুর্গাপুজোর আগে ব্যাঙ্কগুলোর কাছে নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, দেশে এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে ব্যাঙ্কের কোনও শাখা নেই। সেখানে অনেক মানুষের কাছে এক বা একাধিক দু’হাজারি নোট থাকলেও সেগুলি তাঁরা পাল্টাতে পারছেন না। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ দফতরের কাছে আবেদন, আর এক বার ব্যাঙ্কগুলি এবং পোস্ট অফিসগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হোক মানুষকে দু’হাজারি নোট বদলের সুযোগ করে দিতে।
স্বপন কুমার আঢ্য, ভান্ডারহাটি, হুগলি
যাত্রী-দুর্ভোগ
হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনে অবস্থিত ভদ্রেশ্বর স্টেশন। এই স্টেশনের পূর্ব দিকে স্টেশন রোড থেকে টিকিট কাউন্টার যাওয়ার রাস্তার দু’ধারে গ্যারাজ মালিকরা এমন ভাবে মোটর সাইকেল রেখে দেন যে, একটি ছোট চার চাকার গাড়ি গেলে সাইকেল, রিকশা তো দূরের কথা, কোনও মানুষ হেঁটে যাওয়ার মতো জায়গা থাকে না। এর ফলে ট্রেন-যাত্রীদের মাঝে-মাঝে যানজটে পড়ে টিকিট কাটতে দেরি হয়ে যায়। অনেকে তাঁদের নির্ধারিত ট্রেনও ধরতে পারেন না। তাই গ্যারাজ মালিকের কাছে অনুরোধ, রাস্তার দু’ধার জুড়ে মোটর সাইকেল যেন না রাখেন। আর, রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, এই বিষয়ে তাঁরাও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
কালী শঙ্কর মিত্র, ভদ্রেশ্বর, হুগলি
নির্দিষ্ট ছাড়
আজ রাজ্যের প্রায় প্রতিটি মানুষের কোনও না কোনও রোগব্যাধি লেগেই আছে। তা নিয়ন্ত্রণ করতে তাঁদের চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ খেতে হয়। তবে, সেই সব ওষুধ কিনতে গেলে দেখা যায় বাড়ির কাছের দোকান যে পরিমাণ ছাড় দিচ্ছে, আর কিছুটা দূরে তার থেকে একটু বেশি ছাড় দিচ্ছে। এমনিতেই এখন মানুষের সঞ্চয়ের হার অনেকটাই কমে গিয়েছে। ফলে প্রয়োজনীয় বা জীবনদায়ী ওষুধের জন্য অনেকে সামনের দোকান ছেড়ে দূরের দোকানে যান একটু বেশি ছাড় পাবেন এবং কিছুটা অর্থ বাঁচাবেন বলে। সরকারের যে বিভাগ ওষুধের দাম নির্ধারণ করে তাদের কাছে অনুরোধ, যদি প্রত্যেকটি দোকানকে মোট ওষুধের উপর একটি নির্দিষ্ট ছাড় দেওয়ার নিয়ম করে দেওয়া হয়, তা হলে আমার মতো অনেককে অযথা ছোটাছুটি করতে হয় না।
সুদীপ্ত দে, কলকাতা-১০২
অপরিষ্কার
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার যাদবপুর রেলওয়ে স্টেশনটির পরিবেশ এখন ভয়াবহ। প্ল্যাটফর্ম দুটো সব সময় ভাল ভাবে পরিষ্কার রাখা হয় না। রেলট্র্যাক জুড়ে থাকে জঞ্জাল আর আবর্জনার সারি। কাছেই সুকান্ত সেতুর নীচেও আবর্জনার পাহাড়। স্টেশন চত্বর এবং আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার কোনও সদিচ্ছা স্টেশন মাস্টারের আছে বলে মনে হয় না। তবে কি প্রধানমন্ত্রীর ‘স্বচ্ছ ভারত’ গড়ার পরিকল্পনা খাতায়-কলমেই থেকে যাবে? এই পরিবেশদূষণ এবং দৃশ্যদূষণ থেকে বরাবরের জন্য মুক্তি চাই।
অসিত কর্মকার, কলকাতা-৭৫
পেনশনের অর্থ
ইপিএফ-এর আওতাধীন অবসরপ্রাপ্ত গ্রাহকরা মাসান্তে হাজার-বারোশো টাকা পেনশন পান। সন্তানদের কথা বাদ দিলেও, স্বামী-স্ত্রী দু’জনের সংসার চলবে কেমন করে? তা ছাড়া, বয়স বাড়লে রোগব্যাধি তাড়া করে বেড়ায়। অনেকেরই জমানো টাকা শেষ হয়ে যায় সন্তানের পড়াশোনা, মেয়ের বিয়ে, বাড়িঘর মেরামতের মতো হরেক কারণে। এখন বাজার যা অগ্নিমূল্য তাতে পেনশনের টাকা তো সপ্তাহ পেরোলেই শেষ হয়ে যায়। তাই অনুরোধ, কেন্দ্রীয় সরকার যদি ইপিএফ গ্রাহকদের পেনশনের অর্থ কিছুটা বাড়ায়, তবে তাঁরা শেষের ক’টা দিন কিছুটা নিশ্চিন্তে জীবন কাটাতে পারেন।
স্বপন কুমার ঘোষ, আন্দুল, হাওড়া
বাধা ই-রিকশা
কোন্নগর ক্রিপার রোড ও স্টেশন রোডের সংযোগস্থলে ই-রিকশাগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে। এতে স্টেশন যেতে সাইকেল আরোহী ও পথচারীদের অসুবিধায় পড়তে হয়। স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মৃণাল অধিকারী, কোন্নগর, হুগলি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy