—প্রতীকী ছবি।
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলোয় ছুটি থাকায় ওই তারিখে ম্যাচিয়োর হওয়া একটি স্থায়ী-আমানতের টাকা আগের দিন ভাঙিয়ে নিতে স্থানীয় একটি ব্যাঙ্কে যাই। প্রি-ম্যাচিয়োর হওয়ার ভয়ে ব্যাঙ্ক-ম্যানেজার ও আরও এক জন কর্মীকে জিজ্ঞাসা করে তবেই তিন বছরের মেয়াদি-আমানত এক বছরে পরিবর্তিত করার লক্ষ্যে ম্যাচিয়োরের টাকা সেভিংস অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করি। কয়েক দিন পর পাসবুক আপডেট করে জানতে পারি, ২২১৪ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। সময়মতো ১৫এইচ জমা দিয়ে এবং ব্যাঙ্কের কথায় আশ্বস্ত হয়ে সেই মতো কাজ করা সত্ত্বেও জমা টাকার সুদ থেকে টাকা কেটে নেওয়ার এই দায়ভার কার?
অভিযোগ জানানোর পর ম্যানেজারের বক্তব্য ছিল, ওই টাকা পেনাল্টি বাবদ কাটা হয়েছে। অথচ, পেনাল্টি যাতে না হয় তার জন্য আগেই ব্যাঙ্কে কথা বলে নিয়েছিলাম। প্রশ্ন হল, গ্রাহকের সঙ্গে ব্যাঙ্কের এই দ্বিচারিতা কেন? অনাদায়ি ঋণ, বকেয়া ঋণ ও পুঁজি জোগাড়ে ‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে মুনাফা ছাড়াল ১ লক্ষ কোটি’, যার মধ্যে গত বছরের তুলনায় এ বছর মুনাফা লাভে শীর্ষে আছে ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্র (১২৬ শতাংশ), ইউকো ব্যাঙ্ক (১০০ শতাংশ), ব্যাঙ্ক অব বরোদা (৯৪ শতাংশ)! খুব বেশি পিছিয়ে নেই বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিও। বন্ধন ব্যাঙ্ক ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১২৬ কোটি থেকে ২০৯৫ কোটি টাকা নিট মুনাফা বাড়িয়েছে (ব্যাঙ্কের মুনাফা, ২৮-৫)!
করোনাকালের আর্থিক মন্দা কাটাতে এবং বৃহৎ পুঁজিপতিদের আর্থিক কেলেঙ্কারির ক্ষতে প্রলেপ দিতে ব্যাঙ্ক ঘুরে দাঁড়াতে চায়। কিন্তু যে কোনও ছুতোয় গ্রাহকের টাকা কাটা কি তার উপায় হতে পারে?
অমরেশ পাল, ব্যান্ডেল, হুগলি
সচেতন যাত্রী
গত বছর অফিসের কাজে একটি বিমানে কাঠমান্ডু থেকে কলকাতা আসছিলাম। বিমানের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, প্রতিটি যাত্রীকে মধ্যাহ্নভোজ এবং বিদেশি পানীয় দেওয়ার কথা। কিন্তু বিমানে শুধুমাত্র দেওয়া হয়েছিল একটি ভেজ স্যান্ডউইচ আর টেট্রা প্যাকে ফলের জুস। প্রসঙ্গক্রমে জানিয়ে রাখি, বিমানটির কলকাতায় অবতরণের সময় ছিল দুপুরে, মধ্যাহ্নভোজের সময়। আমি ১৮ এপ্রিল, ২০২২-এ লিখিত ভাবে সংস্থার চেয়ারম্যানকে অভিযোগ করলে, তার উত্তরে এক আধিকারিক আমাকে লিখিত ভাবে নিঃশর্ত দুঃখ প্রকাশ করেন এবং জানান যে, ওঁরা বিষয়টা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন। আগামী দিনে আর এই রকম যাত্রী হয়রানি বা অবহেলা হবে না।
ঘটনাচক্রে গত বছর ২২ জুন অফিসের কাজে ওই একই বিমানে কাঠমান্ডু থেকে কলকাতা ফেরার সময় সেই একই খাবার পরিবেশন করা হলে, আমি-সহ আরও কয়েক জন যাত্রী বিমান সেবিকাদের কাছে উক্ত খাবার নিতে আপত্তি জানিয়ে বিমানের মধ্যেই প্রতিবাদ করি। কিন্তু তাতে কোনও ফল হয়নি। বাধ্য হয়ে ২৩ জুন কলকাতায় ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হই। মামলার নিষ্পত্তি গত ১৫ মে হয়। মাননীয় বিচারকগণ বিমান সংস্থাকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আমার বিমান ভাড়া বাবদ ১০,৭০৭ টাকা এবং মামলা খরচের জন্য ৫০০০ টাকা দেওয়ার লিখিত নির্দেশ দেন।
চিঠির মাধ্যমে বিমানযাত্রীদের জানাতে চাই, কোনও ভ্রমণের আগেই তাঁরা যেন সংশ্লিষ্ট উড়ান সংস্থার ওয়েবসাইট দেখে নেন, কী কী পরিষেবা সংস্থাটি তাঁদের দিতে বাধ্য।
উৎপল রায়, কলকাতা-৪৫
বিদ্যুৎ বিভ্রাট
ইদানীং খুব লোডশেডিং-এর সমস্যা দেখা দিয়েছে আমাদের এলাকায়। একে তো মাঝেমধ্যেই প্রচণ্ড গরম পড়ছে, তারই মধ্যে লোডশেডিং-এর সমস্যায় জেরবার মানুষ। আগে রাতের বেলায় বিদ্যুৎ চলে যেত। এখন দিনেও বিদ্যুৎ থাকছে না। অনেক সময় টানা তিন-চার ঘণ্টা লোডশেডিং চলছে। এতে কাজের ক্ষতি হচ্ছে। সিইএসসি অফিসে ফোন করে বা লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাই অনুরোধ, এই সমস্যা সমাধানে দ্রুত কোনও পদক্ষেপ করা হোক, যাতে মানুষ গরমে একটু নিশ্চিন্তে জীবনযাপন করতে পারে।
জয়ন্ত দাস, কলকাতা-৫০
রেলিং চাই
হাওড়া স্টেশন রাজ্যের অন্যতম জনবহুল ও ব্যস্ত রেলওয়ে স্টেশন। প্রতি দিন লক্ষ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। স্টেশনে দু’-তিনটি ট্রেন এক সঙ্গে ঢুকলে বাস্তবিকই জনস্রোতের চেহারা নেয়। স্টেশন থেকে বেরিয়ে সাবওয়েতে ঢোকার মুখে যে বিশাল চওড়া সিঁড়ি আছে, সেখানে প্রবল জনস্রোতের মাঝে বৃদ্ধ, অসুস্থ ও শিশু কোলে মহিলাদের পক্ষে সুস্থ ভাবে নামা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। বাস ধরতে যাওয়ার তাড়া থাকায়, বিশেষ করে অফিসের সময়, ধাক্কাধাক্কির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। আমার পরিচিত এক বয়স্ক ভদ্রলোক এ রকমই এক ধাক্কাধাক্কির ফলে মাটিতে পড়ে যান এবং কিছু দিন হাসপাতালে কাটানোর পরে মারা যান।
যদি ওই সিঁড়ির মাঝামাঝি জায়গায় যদি একটা লোহার রেলিং করে দেওয়া হয় তবে বৃদ্ধ, অশক্ত ও অসুস্থ যাত্রীদের পক্ষে ওই রেলিং ধরে নামতে সুবিধা হয়। রেল কর্তৃপক্ষকে সহানুভূতির সঙ্গে প্রস্তাবটি বিবেচনা করার অনুরোধ করছি।
সুরজিত কুন্ডু, উত্তরপাড়া, হুগলি
ফুটপাত দখল
তারকেশ্বর বাস স্ট্যান্ড এক জনবহুল স্ট্যান্ড। পাশেই আছে তারকেশ্বর স্টেশন। ওই বাস স্ট্যান্ড থেকে স্টেশনে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে প্রশস্ত ফুটপাত। ট্রেন এবং বাস ধরতে বহু মানুষকে প্রতি দিনই যাতায়াত করতে হয় এই ফুটপাত দিয়ে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, হকার ও দোকানদাররা তাঁদের পণ্য সাজিয়ে ফুটপাতের বেশির ভাগ অংশই দখল করে রাখেন। ফলে পথচারীদের যাতায়াতের পথ পড়ে থাকে সামান্যই। প্রশ্ন হল, কেন প্রতি দিন এই অসুবিধার মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে হবে মানুষকে? বিষয়টি ভাবতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মঞ্জুশ্রী মণ্ডল, তারকেশ্বর, হুগলি
অপরিচ্ছন্ন
হাওড়া সালকিয়ার অন্তর্গত তাঁতিপাড়া বর্তমানে একটি অপরিচ্ছন্ন এলাকায় পরিণত হয়েছে। এবং ততটাই অপরিচ্ছন্ন এখানকার নর্দমাগুলিও। ফ্ল্যাটবাড়ি, উঁচু দোতলা বাড়ি থেকে সমস্ত ময়লা আবর্জনা নর্দমায় ফেলার দরুন সেগুলি এত অপরিষ্কার হয়ে থাকে যে গঙ্গায় জোয়ারের জল এলে তা রাস্তায় উঠে আসে। ফলে চলাচল করা দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। হাওড়া পুরসভার কাছে নিবেদন এই সমস্যার আশু সমাধান করা হোক।
দীপাঞ্জন বাগ, সালকিয়া, হাওড়া
সম্পূর্ণ পরিষেবা
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে সিঙ্গুর ট্রমা কেয়ার চালু হলেও, তার সম্পূর্ণ পরিষেবা এখন সঠিক ভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। দিন-রাত চিকিৎসক থাকলেও চব্বিশ ঘণ্টা রোগী ভর্তি রাখা এখনও হচ্ছে না। ফলে, দুর্ঘটনায় আহত মানুষদের প্রাথমিক চিকিৎসা করেই কলকাতা বা দূরবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হচ্ছে। অনেক দূরে নিয়ে যাওয়ার কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীদের অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ছে। তাই স্বাস্থ্য দফতরের কাছে বিনীত অনুরোধ, অবিলম্বে ট্রমা কেয়ারে সম্পূর্ণ পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করা হোক।
তাপস দাস, সিঙ্গুর, হুগলি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy