এই করোনাভাইরাসের সময়ে চুনী গোস্বামী ও পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়ের চলে যাওয়াটা আরও বেশি দুর্ভাগ্যের, কারণ যাঁদের বিদায় দিতে অসংখ্য মানুষের সমাগম হত, তাঁরা প্রায় বিনা অভিবাদনেই চলে গেলেন। যদিও ঘরের ভিতরে থেকেই তাঁদের প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সকলেই, তবু তাঁদের শেষযাত্রাটা কি আরও সমারোহে পালিত হলে ভাল হত না?
আমার সঙ্গে দু’জনেরই পরিচয় ক্যালকাটা ক্লাবে। আমি এখন গান-বাজনার জগতের লোক, তবে ছাত্রজীবনে চুটিয়ে ফুটবল খেলেছি। তা বলে এঁদের সঙ্গে কখনও চাক্ষুষ আলাপ হবে, কল্পনা করিনি। একটা গল্প বলি, যার নায়ক চুনীদা।
তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি, কারও কৃপায় ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের চ্যারিটি ম্যাচের একটা টিকিট জুটে গিয়েছিল। আমাদের স্কুল ছুটি হত বিকেল সওয়া চারটেয়। তখন বেরোলে তো মাঠে পৌঁছবার আগেই ম্যাচ শেষ হয়ে যাবে। অগত্যা পালানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। কাজটা সহজ ছিল না, রক্ষণশীল বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুল। ধরা পড়লে প্রচুর প্রহার অনিবার্য। তবু টিফিনের পর পাঁচিল টপকে সোজা ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান মাঠ। টিকিট দেখিয়ে ভিতরে ঢুকেই গ্যালারিতে বসতে যাব, এমন সময় বজ্রপাত! আমাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টারমশাই উমাপতিবাবু। উনি পায়ে পায়ে এগিয়ে এসে আমার চুলের মুঠিটা ধরলেন। ভয়ে আমি প্রায় আধমরা। তখন রাশভারী জবরদস্ত উমাপতি স্যর আমার কানের কাছে মুখ এনে বললেন, ‘‘যা দেখলি, কাউকে বলবি না ঘুণাক্ষরেও। আমিও তোকে দেখিনি, বুঝলি? এ কথা মনে থাকে যেন। চল, এ বার চুনীর খেলা দেখি।’’ বুঝলাম, শুধু আমার মতো অল্পবয়সি ছাত্রই নয়, চুনীর খেলার টানে অমন ডাকসাইটে মাস্টারও স্কুল পালিয়ে মাঠে যেতেন।
আলাপ হওয়ার পর এই গল্পটা চুনীদাকে বলেছিলাম, উনি বার বার শুনতে চাইতেন। আর ওঁর মুখটা হাসিতে ভরে উঠত, যা ভোলা যাবে না কখনও।
রঞ্জন প্রসাদ, কলকাতা-৪০
আধারের সংযোগ
কর্মচারী ভবিষ্য নিধি প্রকল্পের (ইপিএফ) অধীন যে সব কর্মী গত জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাসে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন, তাঁরা অনেকেই এখনও ইপিএফ প্রকল্পে গচ্ছিত প্রাপ্য টাকা হাতে পাননি। এই প্রকল্পে অবসরের পরে ইপিএফ ক্লেমের টাকা পেতে গেলে এখন অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন করতে হয়। এই ফর্ম পূরণ করতে গেলে আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল ফোন নম্বর সংযোজন করতে হয়। কিন্তু লকডাউন শুরু হওয়ার ফলে আধার কার্ডের কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে, তাই বহু শ্রমিক কর্মচারী এই সংযোজন করতে পারছেন না।
তুষার ভট্টাচার্য
বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ
গাইডলাইন
কর্মক্ষেত্রে একটি নিয়ম অবশ্যই চালু হওয়া দরকার: কোনও কর্মী (বা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য) যদি করোনা-আক্রান্ত হন, তবে অবিলম্বে কর্মীকে হোম কোয়রান্টিনে চলে যেতে হবে এবং তাঁকে সবেতন ছুটি মঞ্জুর করা হবে, তাঁর প্রাপ্য অন্যান্য ছুটি কাটছাঁট না করেই। এ প্রসঙ্গে দফতরগুলির সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন দরকার। না হলে, করোনা গোপন করে কাজে যাওয়ার প্রবণতা বাড়বে, সংক্রমণও বাড়বে।
সৌগত কাঞ্জিলাল
রামপুর, বাঁকুড়া
স্বগৃহই ভাল
কোয়রান্টিন কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত খাদ্য ও জলের অভাবে বিক্ষোভে শামিল হচ্ছেন শ্রমিকরা। আবার কোথাও স্থানীয় মানুষজন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার কাছাকাছি কোয়রান্টিন কেন্দ্র গড়ে তোলায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এ অবস্থায় ভিন্ রাজ্য থেকে আগত শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষা করে তাঁদের স্বগৃহে নিভৃতবাসই একমাত্র উপায়। স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে তাঁদের উপর নজরদারি চালানো এবং ১৪ দিন পরে তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষাও জরুরি।
নরেন্দ্র মারিক
রায়পাড়া, ডোমজুড়
খেয়াঘাট
বেলুড় বি কে পাল টেম্পল রোডে জগন্নাথ ঘাট নামে একটি খেয়াঘাট ছিল। আগে হাতে দাঁড় টানা নৌকা পারাপার করত। পরে নৌকাগুলো যন্ত্রচালিত হয়। কিন্তু যন্ত্রচালিত নৌকা নিরাপদ নয় বলে, প্রসাশন তা বন্ধ করে দেয়। জগন্নাথ ঘাট অথবা পাশের শিমুলতলা ঘাট থেকে সরকারি লঞ্চ কলকাতার কাশীপুর পর্যন্ত চলাচলের ব্যবস্থা করা হলে, বহু যাত্রী উপকৃত হবেন।
দুর্গাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, হাওড়া
পেনশন পাইনি
আমার প্রয়াত স্বামী কালীপদ চক্রবর্তী এক জন পেনশনপ্রাপ্ত স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। পারিবারিক পেনশনটি গত ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে বন্ধ (বা, চালু হচ্ছে না)। ব্যাঙ্ক শাখায় কথা বলে, আমার সমস্ত কাগজ তথা প্রমাণপত্র জমা করি (একাধিক বার)। দিল্লিতে পাঠাই, ব্যাঙ্কের প্রধান শাখা কলকাতায়ও জমা দিই। পেনশন চালু হতে কেন এত দেরি হচ্ছে, জানতে চেয়ে রেজিস্টার্ড চিঠি পাঠানো ও ইমেল করা হয় একাধিক বার। আমার বয়স প্রায় আশি, ওষুধের উপর বেঁচে।
শোভনা চক্রবর্তী, কাঁচরাপাড়া
কংক্রিট বাঁধ
অধিকাংশ নদীবাঁধ পড়ে রয়েছে চূড়ান্ত অবহেলায়। কোনও মতে জোড়াতালি দিয়ে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বছরের পর বছর। কখনও বাঁশ-কড়ি-বরগার পাইলিং করে, কখনও বালি-পাথরের বস্তা ফেলে, কখনও গাছের গুঁড়ি মাটি চাপা দিয়ে। বাঁধগুলিকে কংক্রিট দিয়ে গড়তে হবে। তা হলে বহু বছর তার গায়ে আঁচড় পড়বে না। যেমনটা করা হয়েছে নেদারল্যান্ডস, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াতে। তবে কংক্রিট মানে হতে হবে খাঁটি কংক্রিটই। অদক্ষ সরকার, অসৎ ঠিকাদার, দুর্নীতিগ্রস্ত স্থানীয় নেতা মিলে ‘গোলমেলে কংক্রিট’ তৈরি হলে চলবে না।
বিভূতিভূষণ রায়, ডহরথুবা, উত্তর ২৪ পরগনা
সুন্দরবনে
প্রথমত সুন্দরবনের সব নদীবাঁধ কংক্রিটের করতে হবে। এতে নদীর লোনা জল চাষের জমিতে ঢুকতে পারবে না। দ্বিতীয়ত এই ঝড় দেখিয়ে দিয়েছে যে সুন্দরবনে মাটির ঘর খড়ের চাল টালির চাল বা অ্যাসবেস্টসের চাল চলবে না। বাড়ি করতে হবে ইট দিয়ে সিমেন্টের গাঁথনি দিয়ে এবং মাথার উপর থাকবে ঢালাই ছাদ। তৃতীয়ত এখানে প্রচুর গাছ লাগাতে হবে। চতুর্থত মাছ চাষের আধুনিকীকরণ চাই।
সঞ্জয় চৌধুরী, ইন্দা, খড়গপুর
স্মৃতিস্তম্ভ
হুগলি জেলার ভান্ডারহাটি গ্রামের বাসিন্দা আমার প্রপিতামহী স্বর্গীয়া বিধুমনি আঢ্য ১৮৯৪ সালে জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার জন্য নিজ স্বর্ণালঙ্কার বিক্রয় করে ভান্ডারহাটি বাজার থেকে হরিপাল রেল স্টেশন পর্যন্ত দীর্ঘ সাত মাইল রাস্তা তৈরি করেছিলেন। তৎকালীন ইংরেজ সরকার তাঁর মহৎ কীর্তিকে সম্মান জানাতে ভান্ডারহাটি বাজারে এবং হরিপাল রেল স্টেশনে বিধুমনি দেবীর নাম লেখা (বিধুমনি আঢ্য রোড) দুটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করেন। দুঃখের সঙ্গে জানাই, বর্তমানে কিছু ব্যবসায়ী ওই স্মৃতিস্তম্ভগুলিকে আড়াল করে ব্যবসা করে যাচ্ছেন।
স্বপন কুমার আঢ্য, ভান্ডারহাটি, হুগলি
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy