Advertisement
E-Paper

সম্পাদক সমীপেষু: অসামান্য জুটি

এই গানগুলো সেই সময় সকলকে এতটাই প্রভাবিত করেছিল যে, ট্রেনে ভিখারিরা ভিক্ষা করতেন ‘চরণ ধরিতে দিও গো’ শুনিয়ে।

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:০১
Share
Save

তাপস পালের প্রথম ছবি 'দাদার কীর্তি' (১৯৮০)-র সুরকার ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। আর তাপসের লিপ-এ প্রথম প্লেব্যাক গেয়েছিলেন হেমন্তই। ‘চরণ ধরিতে দিও গো’ ও ‘এই করেছ ভাল নিঠুর হে’— দুটি রবীন্দ্রসঙ্গীত। ছবি এবং গান অভাবনীয় সাফল্য পায়। তখন তাপস পালের বয়স মাত্র ২২ বছর। আর হেমন্তের ৬০! কিন্তু এক বারের জন্য মনে হয়নি, তাপসের কন্ঠে হেমন্ত বেমানান। সেই জন্যই তো হেমন্তকে বলা হয় চিরবসন্তের প্রতীক। এই গানগুলো সেই সময় সকলকে এতটাই প্রভাবিত করেছিল যে, ট্রেনে ভিখারিরা ভিক্ষা করতেন ‘চরণ ধরিতে দিও গো’ শুনিয়ে।

তার পর তাপসের নেপথ্যকন্ঠে হেমন্ত গেয়েছিলেন ‘আমার লেজও নেই শিংও নেই’ ( অজান্তে), ‘তোমার কাছে এ বর মাগি’, রবীন্দ্রসঙ্গীত, সঙ্গে হৈমন্তী শুক্লা (ভালোবাসা ভালোবাসা), ‘যাকে ভেবে কথার কুসুম’ ( সুরের সাথী ), ‘এ তো ভালবাসা নয়’ ( আগমন ) প্রভৃতি বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য গান। জুটির শেষ গান ১৯৯৫ সালে ‘বৌমনি’ ছবিতে, ‘যাঁর ঘর নেই তাঁর পথ আছে’। সুরকার পার্থপ্রতিম চৌধুরি।

‘দাদার কীর্তি’ ছাড়াও তাপস অভিনীত ‘রাজেশ্বরী’ (১৯৮৪), ‘অজান্তে’ (১৯৮৫), ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ (১৯৮৫), ‘আশীর্বাদ’ (১৯৮৬), ‘পথভোলা’ (১৯৮৬), ‘পরশমণি’ (১৯৮৮), ‘সুরের সাথী’, (১৯৮৮), ‘আগমন’ (১৯৮৮) প্রভৃতি ছবিতে সুর দিয়েছেন হেমন্ত। তাপস-হেমন্ত জুটির মোট গান ১৫টি।

বিশ্বনাথ বিশ্বাস

কলকাতা-১০৫

টাকাটা কোথায়?

আমি ভারতবর্ষের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের এক জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। প্রায় ৩১ বছর কাজ করে ২৮-২-২০১৮ তারিখে অবসর নিই। অবসরের পরে ২৮-৪-১৮ তারিখে ব্যাঙ্ক আমার অর্জিত ছুটি বাবদ বেতন থেকে ১০৩০১০ টাকা ইনকাম ট্যাক্স বাবদ কেটে নেয়। কিন্তু সেই টাকা আমার ইনকাম ট্যাক্স প্যান নম্বরে (২৬এএস) জমা করেনি। প্রায় ২০ মাস হয়ে গেলেও আমার ২০১৮-১৯ সালের রিটার্ন আটকে আছে। ৮০ হাজার টাকা রিফান্ডও আটকে আছে। ব্যাঙ্ক আমাকে মেল করেছিল ৮-৮-২০১৯’এ যে এই টাকা আমার প্যান নম্বরে (২৬এএস) জমা হয়ে যাবে। নভেম্বর ২০১৯-এর মধ্যে জমা হয়ে যাবে বললেও তা হয়নি। আমি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ওম্বুডসম্যানকে জানিয়ে কোনও ফল পেলাম না। টাকাটা আমার হারিয়ে গেল কোথায়? ব্যাঙ্কের চেয়ারপার্সনকেও চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও ফল পেলাম না।

অমিতাভ ভট্টাচার্য

রামপদ কলোনি, পুরুলিয়া

ফোনের অসুবিধে

কলকাতা টেলিফোনের পরিষেবার অবনতির ফলে সারা রাজ্যে ল্যান্ডফোনের সংখ্যা তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য টেলিফোন দফতরের নির্দেশ অনুসারে রাত ৯টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত টেলিফোনের কোনও চার্জ দিতে হবে না অর্থাৎ বিনা পয়সায় ফোন করা যাবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। দুঃখের বিষয়, সম্প্রতি টেলিফোন কর্তৃপক্ষ তাঁদের এই সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন। এখন ল্যান্ডফোনের গ্রাহকেরা রাত সাড়ে দশটা থেকে ভোর ছ’টা পর্যন্ত এই সুযোগ পাবেন। এই সিদ্ধান্তের জন্য গ্রাহকেরা টেলিফোনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রাত সাড়ে দশটার সময় সিনিয়র সিটিজ়েন-সহ অধিকাংশ মানুষ নিদ্রামগ্ন থাকেন।

মানস চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা-১৫৯

ভয়াবহ রাস্তা

বাঁকুড়া-মেদিনীপুর এই দুই জেলার সীমানা ছোঁয়া সারেঙ্গা-গোয়ালতোড়-চন্দ্রাকোনা রোড— প্রায় ৫০-৬০ কিমি রাস্তার হাল চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। এটি একটি ব্যস্ত রাজ্য-সড়ক। রাস্তায় অজস্র গর্ত, প্রচণ্ড ধুলো এবং ঘন ঘন স্পিড-ব্রেকার/ হাম্প। অধিকাংশ হাম্পের উচ্চতা এতটাই যে, সাধারণ সমস্ত গাড়ির নীচে ধাক্কা লাগে। কোনও ভাবেই এড়ানো সম্ভব নয়। এগুলির মাথায় আবার লোহার পাত দিয়ে সুদৃঢ় করা আছে। গাড়ির যে কী ক্ষতি হয়, ভুক্তভোগীরাই বোঝেন।

লক্ষ্মীকান্ত পান্ডা

মাচাতোড়া, বাঁকুড়া

টাকিতে চাঁদা

এই মাসের প্রথমেই গিয়েছিলাম উত্তর ২৪ পরগনার টাকি বেড়াতে। পর্যটকদের গ্রামের ভেতর ঘোরার জন্য টোটোই ভরসা। সইদপুর, জামালপুর গ্রামগুলিতে প্রবেশ করার পর থেকেই টোটোর পথ আগলে গ্রামীণ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অহেতুক দাবি করছেন অর্থসাহায্য।

কোথাও আগামী দোল উৎসবে নাম-সঙ্কীর্তন হবে, তার চাঁদা। কোথায় মন্দির তৈরি হবে, তার জন্য এক দল গৃহস্থ মহিলা টোটো থামিয়ে চাঁদা চাইলেন। কোন পরিবারের মেয়ের এই মাঘ মাসেই বিবাহ, তার জন্য অর্থসাহায্য। পর্যটকদের গাড়ি থামিয়ে, এমন দফায় দফায় অর্থ নেওয়া চলতেই থাকল সমগ্র যাত্রাপথে।

রঞ্জন কুমার কুণ্ডু

রানাঘাট, নদিয়া

খানাখন্দে ভরা

উলুবেড়িয়া-২ ব্লকের বাণীবন গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বৃন্দাবনপুর গ্রামের মান্নাপাড়া থেকে নরুল্লাপাড়া পর্যন্ত, দীর্ঘ ২ কিলোমিটার বিস্তৃত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি কোনও এক অজ্ঞাত কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ চরম দুর্দশাগ্রস্ত। সম্পূর্ণ রাস্তাটিই ইটের। প্রায় এক দশক পূর্বে নির্মিত এই রাস্তাটির কোনও সংস্কার হয়নি বলাই ভাল। ইট উঠে গিয়ে, রাস্তা ভরেছে অসংখ্য খানাখন্দে। এ ছাড়াও ছোট ও মাঝারি পণ্যবাহী ও অন্যান্য গাড়ির দাপটে দু’ধার ধসে রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়েছে ক্রমে। দুর্ঘটনাপ্রবণ এই রাস্তাটি পাকা করার ব্যাপারে এলাকাবাসীর দাবি দীর্ঘদিনের। এ ব্যাপারে একাধিক বার পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হলেও, কেবল সাময়িক আশ্বাস ব্যতীত মেলেনি কোনও সুরাহা।

এই পথেই পড়ে দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয়-সহ একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। ফলে শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে এই রাস্তা ব্যবহার করতে হয় প্রতি দিন। বর্ষায়, বিশেষত এক-দু’পশলা বৃষ্টিতেই রাস্তায় জল জমে পরিস্থিতি হয় দুর্বিষহ।

তন্ময় মান্না

বৃন্দাবনপুর, হাওড়া

লিঙ্ক ট্রেন

কাটোয়া-আজিমগঞ্জ লাইনে ৫৩০০১ আপ হাওড়া-আজিমগঞ্জ প্যাসেঞ্জার কাটোয়া থেকে রাত ৮টায় ছেড়ে যাওয়ার পর, পরবর্তী লোকাল ট্রেন সেই রাত ৯:৫৫ মিনিটে— ৬৩০১৯ আপ কাটোয়া-আজিমগঞ্জ প্যাসেঞ্জার। অর্থাৎ দু’টি ট্রেনের মধ্যে প্রায় ২ ঘণ্টার ব্যবধান। প্রায় ১০ বছরের উপর এই ভাবেই ট্রেন দু’টি চলছে। দু’টি ট্রেনের মাঝে কি নতুন কোনও ট্রেন চালু করা যায় না?

৩৭৯২১ আপ হাওড়া-কাটোয়া লোকাল হাওড়া থেকে ছাড়ে বিকেল ৫:০৫ মিনিটে, কাটোয়া পৌঁছয় ৮:২৫ মিনিটে। এই ট্রেনে বহু প্যাসেঞ্জার থাকেন যাঁরা আজিমগঞ্জ লোকাল ধরেন কিন্তু তাঁদের প্রায় ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় রাত ৯:৫৫ মিনিটে ৬৩০১৯ আপ কাটোয়া-আজিমগঞ্জ প্যাসেঞ্জার ধরার জন্য। তার চেয়ে ৫৩০০১ আপ হাওড়া-আজিমগঞ্জ প্যাসেঞ্জার কাটোয়া থেকে রাত ৮টার পরিবর্তে ৮:২৫’এ ছাড়লে, তাঁদের ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না।

৬৩০১৯ আপ কাটোয়া-আজিমগঞ্জ প্যাসেঞ্জার রাত ৯:৫৫ মিনিটে কাটোয়া ছাড়ার পর, পরবর্তী ট্রেন পর দিন ভোর ৫:৫৫ মিনিটে ৫৩৪৩৫ আপ কাটোয়া-আজিমগঞ্জ প্যাসেঞ্জার। যদি কেউ হাওড়া থেকে রাতে কাটোয়া পৌঁছান, তাঁকে সারা রাত অপেক্ষা করতে হয় ভোরের ট্রেনের জন্য।

সম্পর্ক মণ্ডল

গঙ্গাটিকুরি, পূর্ব বর্ধমান

চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা

সম্পাদক সমীপেষু,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।

ইমেল: letters@abp.in

যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।

Tapas Paul Hemanta Mukherjee

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।