প্রায় তিন মাস আগে পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণের জন্য আমি ডায়মন্ড হারবার পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় তথ্য-সহ দরখাস্ত জমা দিই। এর পর এক মাসে পুলিশ ভেরিফিকেশন না হওয়ায় আমি ডিরেক্টরেট অব ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (ডিআইবি) অফিসে যাই। সেখানে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের কাছে আমাকে ধমক খেতে হয় এই কারণে যে আমি তাঁদের ‘কল’ ধরিনি। যদিও আমার যুক্তি ছিল যে, চার পাশে এত প্রতারণার ফলে অজানা কল বলেই আমি সেটি ধরিনি। উনি পর দিন সব ‘অরিজিনাল ডকুমেন্ট’ নিয়ে যেতে বলেন, যার মধ্যে প্রায় ষাট বছর আগে পাশ করা উচ্চ মাধ্যমিক শংসাপত্রও ছিল। পর দিন তিনটেয় গিয়ে দেখি, অফিস বন্ধ। তৃতীয় দিনে উনি কাগজপত্রগুলি নেন এবং বলেন, সে দিনই পাঠিয়ে দেবেন।
কিন্তু তার এক মাস পর পাসপোর্ট না আসায় আমি কলকাতা ‘আরপিও’-তে ইমেল করি। তারও এক সপ্তাহ পর জানানো হয়, ‘বার্থ সার্টিফিকেট’-সহ ওই অফিসে যেতে, অনলাইন ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ নিয়ে। কিন্তু আমার কোনও বার্থ-সার্টিফিকেট নেই যে-হেতু আমার জন্ম বাড়িতে। তা ছাড়া আগে দু’বারই ওই জন্মের শংসাপত্র ছাড়াই পাসপোর্ট পেয়ে গিয়েছিলাম। যা-ই হোক, বাকি তথ্য-সহ অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে গিয়ে দেখি, ওদের ওয়েবসাইট বন্ধ। গত কয়েক দিন ধরে একই অবস্থা। এ বার কী করব? টাকা দিয়ে যথাযথ দরখাস্ত করা সত্ত্বেও বৃদ্ধ মানুষকে এ ভাবে হয়রান করা কেন? বিষয়টির দ্রুত সমাধানের আশায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বলীন্দ্র কুমার বৈদ্য, ডায়মন্ড হারবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
জলাশয় উদ্ধার
শিয়াখালা পঞ্চায়েত অধীনে তেঁতুলতলায় সরকারি জলাশয় ভরাট করে স্থায়ী নির্মাণ করা হচ্ছে। রাজ্য জুড়ে বহু জায়গাতে মাঝেমধ্যেই প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে সরকারি জমি উদ্ধারের কাজে নামছে, জবরদখল উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু এই সরকারি জলাশয়টি উদ্ধার করতে কোনও রকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। স্থানীয় পঞ্চায়েত, বিডিও অফিস, এসডিও অফিস, এমনকি ডিএম অফিসও এই বিষয়টির ব্যাপারে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। চোখের সামনে এই সরকারি জলাশয়টা বুজিয়ে দখল করা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। আমি এই বিষয়ে উচ্চ স্তরে ইমেলও পাঠিয়েছি। কিন্তু কোনও উত্তর পাইনি। আমার একান্ত অনুরোধ, শিয়াখালার এই সরকারি জলাশয়টিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্ধার করার ব্যবস্থা করা হোক।
আকাশ দাস, শিয়াখালা, হুগলি
বাস পরিষেবা
হাওড়া জেলার গড়চুমুক ও গাদিয়াড়া দু’টি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। এগুলি কলকাতার খুব কাছে অবস্থিত। সারা বছরই অনেক মানুষ এখানে বেড়াতে আসেন। এ ছাড়াও উলুবেড়িয়া থেকে গাদিয়াড়ার মধ্যে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস-সহ অনেক প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ট্রেনিং কলেজ প্রভৃতি অবস্থিত। এই সব অফিসের কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রীদের বাসে করেই এই পথে যাতায়াত করতে হয়। তাই এঁদের যাতায়াতের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সকালে স্কুল ও অফিস টাইমে এবং বিকালে ছুটির সময় কিছু বাস চালানোর ব্যবস্থা করলে সকলেই উপকৃত হবেন। এ বিষয়ে পরিবহণ দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
পুলক কাঞ্জি, সাঁকরাইল, হাওড়া
ফুটপাত পরিষ্কার
দিনের পর দিন অবরুদ্ধ আছে যাদবপুর মেন হস্টেল থেকে ইডিএফ মোড়ের সিগন্যাল পর্যন্ত ফুটপাত। ঝুপড়ি তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে বহু জায়গা আবর্জনা। মানুষকে এরই মধ্যে চলাফেরা করতে হয়। সেখানেও অটো, বাসের স্ট্যান্ড। সব কাটিয়েই চলন্ত গাড়ির গা ঘেঁষে চলাফেরা করা ছাড়া উপায় নেই পথচারীদের কাছে। যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নাগরিকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তাই ফুটপাতটি দখলমুক্ত করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
তপন বিশ্বাস, কলকাতা-৪০
বঞ্চিত শিশুরা
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনশিক্ষা প্রসার দফতরের অধীনে এই মুহূর্তে আমাদের রাজ্যে বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের জন্য ৭৪টি বিশেষ বিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে প্রায় পঞ্চাশটির মতো আবাসিক। ২০১৬ সালে আবাসিক বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুদের জন্য মাসিক বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১৬০০ টাকা। এর মধ্যে ১১৪০ টাকা চার বেলার আহার এবং ৪৬০ টাকা বিদ্যুৎ, গ্যাস, ওষুধ, লন্ড্রি খরচ ইত্যাদির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল।
২০১৬ সালের পর থেকে গত আট বছরে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি হয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। কিন্তু এই শিশুদের জন্য বরাদ্দ এক পয়সাও বৃদ্ধি করা হয়নি। ২০১৮ সালে পুজো কমিটিগুলির অনুদান ছিল দশ হাজার টাকা। ছ’বছরের মধ্যে এই বরাদ্দ আট গুণের বেশি হয়ে পঁচাশি হাজার টাকা করা হয়েছে। আগামী বছর এই বরাদ্দ এক লক্ষ টাকা হবে সেটাও অগ্রিম ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ, এই বিশেষ ভাবে সক্ষম শিশুগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে সরকারি আনুকূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হলে শিশুগুলি আরও একটু ভাল ভাবে বাঁচতে পারবে।
অজয় দাস, উলুবেড়িয়া, হাওড়া
নিয়ম ভেঙে
শুনেছি হাওড়া-যাদবপুর ৮বি-র দিকে যাওয়া এগজ়িকিউটিভ ওয়ান বা ই-ওয়ান বাসের নিয়ম, যতগুলো সিট তত জনই প্যাসেঞ্জার। এই বাসের ভাড়াও অন্য সরকারি বাসের চেয়ে বেশি। বর্তমানে বেলা সামান্য গড়ালেই নিয়ম পাল্টে যাচ্ছে। সময়ে তো ছাড়েই না, নিয়ম ভেঙে গোটা রাস্তা সিট সংখ্যার চেয়ে বেশি লোক তোলে। অপরিসর প্যাসেজে লোকের ভিড়ে নামা দায় হয়। বড়বাজার, ক্যানিং থেকে গাঁটরি, মোটও তুলছে যথেচ্ছ। স্টপ ছাড়াও দাঁড়াচ্ছে। অভিযোগে কোনও লাভ হয় না। জোটে সরকারি কন্ডাক্টরের দুর্ব্যবহার। লেক ডিপো থেকে আসা গ্যারিসনের নতুন বাসগুলো এই কাজ বেশি করছে। বেশি ভাড়া দিয়ে নিয়ম ভেঙে যাত্রী দাঁড়িয়ে যাবেন কেন? বিশেষ ক্ষেত্র, যেমন ভোট বা গঙ্গাসাগর মেলায় বাস কমে গেলে বিশেষ নোটিস জারি করে ই-ওয়ান’এ যাত্রী দাঁড়িয়ে যান। কিন্তু অন্য সময় কেন তা হবে? কন্ডাক্টর সটান বলে দেন— আমরা চুক্তিভিত্তিক বা জব কার্ডে কাজ করি। যাঁরা পার্মানেন্ট, তাঁরা ও-সব নিয়ম মানেন। একই প্রতিষ্ঠানে দুই নিয়ম? অথচ, হাওড়া বা যাদবপুর ডিপোর বাস অতিরিক্ত এক জনকেও নেয় না। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, এর সমাধান করুন।
অরিত্র মুখোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর, হুগলি
মেট্রো সম্প্রসারণ
গঙ্গার পশ্চিম পাড়ে হাওড়া বর্তমানে মেট্রোয় সংযুক্ত। কিন্তু হাওড়ার সন্নিকটে উত্তরে ব্যান্ডেল থেকে দক্ষিণে বাগনান পর্যন্ত অনেকগুলো জনবহুল শহর বর্তমান, যেগুলো মেট্রোর মাধ্যমে সংযুক্ত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। তাই মেট্রো কর্তৃপক্ষের নিকট আমার অনুরোধ, ব্যান্ডেল থেকে বাগনান পর্যন্ত মেট্রো সম্প্রসারণ হোক।
নির্মাল্য রায়, আমতা, হাওড়া
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy