সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে চিরশ্রী মজুমদারের ‘মেমদের মতো গড়ের মাঠে বেড়াতে যাবি?’ (২৩-১১) শীর্ষক লেখাটিতে বলা হয়েছে, ‘‘কুলমন্ত্র গ্রহণ না করার জন্য কেশবের উপরে বাড়ির লোক জুলুম করছিল। কেশব সস্ত্রীক দেবেন্দ্রনাথের আশ্রয়ে এলেন।’’ ঘটনা হল, জ্যাঠামশাই হরিমোহন তাঁর দুই ছেলের সঙ্গে কুলগুরুর কাছে কেশবের দীক্ষার সাড়ম্বর ব্যবস্থা করার পর, সব কিছু যখন প্রস্তুত, দীক্ষার দিন সকালে কেশবকে আর দেখা গেল না! তিনি লুকিয়ে পালিয়ে ঠাকুরবাড়িতে আশ্রয় নিলেন। দেবেন্দ্রনাথের পরামর্শ চাইলে, উনি নিজের মত না চাপিয়ে ব্যাপারটা কেশবেরই উপরে ছেড়ে দিয়েছিলেন। কেশব গিয়েছিলেন একাই এবং রাতে ফিরে এসেছিলেন। অন্নজল ত্যাগ করা কেশবজননী সারদাসুন্দরী স্বস্তি পেয়েছিলেন এই ভেবে, যাক বাবা, ছেলে অন্তত খ্রিস্টান হচ্ছে না— ব্রাহ্ম তাও সই!
সে কালে স্ত্রীকে নিয়ে প্রকাশ্যে পথে বেরোনো তো সহজ ছিল না! স্ত্রী জগন্মোহিনীকে নিয়ে ঠাকুরবাড়ি গিয়েছিলেন কেশবচন্দ্র, ১৮৬২ সালের ১৩ এপ্রিল, যখন দেবেন্দ্রনাথ এক অনুষ্ঠানে তাঁকে ব্রাহ্মসমাজের আচার্য হিসেবে বরণ করে নেন। প্রকাশ্যে স্বামীর সঙ্গে কুলবধূর পথে বেরোনোর অপরাধে ফেরার আর উপায় ছিল না, কেশবের গোঁড়া বৈষ্ণব পরিবারের দরজা বন্ধ হয়েছিল। পরম আদরে ঠাকুরবাড়িতে ছিলেন তাঁরা। কেশবের একটি ফোড়া বিষাক্ত হয়ে গিয়েছিল, তার উপযুক্ত চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেছিলেন দেবেন্দ্রনাথ। কিন্তু ছেলের অসুস্থতার সংবাদে আর ধৈর্য ধরতে পারেননি কেশবের মা, সস্ত্রীক কেশবকে ফিরিয়ে নিয়ে যান তিনি, প্রায় মাস চারেক পর।
অরবিন্দ পুরকাইত
গোকর্ণী, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
খালি হাতে
যে রাজ্যে নারীদের এত উন্নয়ন ঘটানোর চেষ্টা চলছে, সেখানে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা এত অবহেলিত। আমি অবসর প্রাপ্ত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। গত ৩১-৭-২০১৯ তারিখে অবসর নিয়েছি। নিঃসন্তান বিধবা, ছোট্ট একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই ছাড়া আর কিছুই নেই। আজ ২-৩ মাস কোনও ভাতা পাই না। দিন চালানো খুবই কষ্টসাধ্য। আজ ৩৪ বছর কাজের পর, সম্পূর্ণ খালি হাতে অবসর নিলাম। এটা কতটা কষ্টকর এবং লজ্জাজনক, ভাষায় বোঝানো যাবে না। শিল্পীরা শিল্পীভাতা পান, কৃষক সহায়তা প্রকল্প চালু হয়েছে, অসংগঠিত শ্রমিকরাও ভাতা পান। তা ছাড়া, অনেক কেন্দ্র তো ফাঁকা আছে। সেই সব জায়গায় তো আমাদের পুনরায় কিছু ভাতা দিয়ে নিয়োগ করা যায়।
অনুপমা বন্দ্যোপাধ্যায়
সোনারুনদি, মুর্শিদাবাদ
ছিটকিনি নেই
গত ১৬ অক্টোবর আমরা ৬ জন প্রবীণ ব্যক্তি (৩ জন মহিলা-সহ) বাঁকুড়া থেকে রাঁচীর উদ্দেশে রওনা দিই খড়্গপুর-রাঁচী মেমু ট্রেনে। রেল কর্তৃপক্ষ শৌচালয়ের সুবিধাযুক্ত কোচের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু কোনও শৌচালয়েই, ভিতর থেকে বন্ধ করার ব্যবস্থা ছিল না। গোদের উপর বিষফোড়ার মতো, জল এবং আলোও ছিল না। চিন্তা করুন, ফিরতি পথে ট্রেনটির জল ও আলোবিহীন শৌচালয় নিয়ে রাত ১০টা ৪০ মিনিট বা তার পরে খড়্গপুর পৌঁছনোর কথা। জানি না, শৌচালয়ের ভিতরের দিকে ছিটকিনি লাগানো, রেলের বিবেচনায় অপ্রয়োজনীয় খরচ কি না।
অশোক কুমার গুঁই
কেন্দুয়াডিহি, বাঁকুড়া
সাবওয়ে
হাওড়ার সাবওয়ের সিঁড়িতে বসে থাকেন হকারেরা। দু’দিকে দেওয়ালে পানের পিক ও গুটখা ফেলে দিয়ে যান অগণিত মানুষ। বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ মানুষেরা দেওয়াল বা রেলিং ধরে নামতে বা উঠতে অত্যন্ত অসুবিধা বোধ করেন। একসঙ্গে দু’চারটে ট্রেন এলে তখন প্রবল ভিড় ও হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। সাবওয়ের সিঁড়ির যে কোনও এক পাশে স্বয়ংক্রিয় সিঁড়ি বসানোর ব্যবস্থা হলে, উপকার হবে।
অভিজিৎ দাস
হাওড়া
পুকুর নেই
উত্তরপাড়া কোতরং পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৫২ কাঠার জলাশয় ছিল, যা বুজিয়ে ফেলেছে প্রোমোটার। এখন সেটি মশার অাঁতুড়ঘর। চতুর্দিকে আবর্জনা।
বাদল সেন
ভদ্রকালী, হুগলি
কলেজের সামনে
‘নির্মাণ সামগ্রী ও বেআইনি পার্কিংয়ে নাকাল পথচারীরা’ (২১-১১) সংবাদ প্রসঙ্গে জানাই, আমার কর্মস্থল দমদম মতিঝিল রবীন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের সামনে সারা বছরই বালি আর পাথরকুচি স্তূপ করে রাখা থাকে। তার উপরে অবৈধ পার্কিং, কলেজে ঢোকা-বেরোনোর রাস্তাকে অনেক সময় আটকে রাখে। সারা দিন ধরে রাস্তায় বালি আর পাথর ওঠানো-নামানোর ফলে যে ধুলো ওড়ে আর শব্দ হয়, তাতে গোটা কলেজ দূষণের শিকার।
শুভব্রত ভট্টাচার্য
কলকাতা-৫৭
পার্কোম্যাট
কলকাতার মতো শহরে রাস্তা বাড়ানো প্রায় অসম্ভব। পথচারীর সংখ্যার চেয়েও হুহু করে বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। চওড়া রাস্তা হোক বা সরু গলি, দু’পাশে গাড়ি পার্কিং থাকবেই। রডন স্ট্রিটের পার্কোম্যাটের মতো আরও পার্কোম্যাট প্রয়োজন। বিশেষ করে ব্যস্ত পাইকারি ব্যবসার জায়গায়। খোঁজ করে দেখা হোক, কর্পোরেশন বা সিআইটি-র কোনও জায়গা খালি বা জবরদখল অবস্থায় পড়ে আছে কি না। ছোট জায়গায় পার্কোম্যাট বানানোর জন্য ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা হোক।
অঞ্জন কুমার শেঠ
কলকাতা-১৩৬
বৈষম্য
জন্মলগ্ন থেকে আমরা দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলাম। কোনও এক সময় অযৌক্তিক ভাবে এই হাউজ়িং এস্টেট পুরসভার ১৯ এবং ২০ নং ওয়ার্ডে আধাআধি ভাগ করা হয়। ফলে কালিন্দী অ্যাপার্টমেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং কালীদহ (কালিন্দী) প্লট-ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন — দুই সংগঠনেরই নিত্যনৈমিত্তিক কাজে অসুবিধা হয়। পুর পরিষেবার বৈষম্য ঘটে। সমস্যা সমাধানের জন্য দুজন পুরপিতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়।
শেখর কুমার ভট্টাচার্য
কলকাতা-৮৯
সাফাই অসম্পূর্ণ
চন্দননগরের জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ ভাবে হচ্ছে না। প্রতিটি ওয়ার্ডে সকালে সাফাই-গাড়ি আসে বটে, কিন্তু সেগুলো তো শুধুই বড় এবং মেজো রাস্তার আবর্জনা তুলে নিয়ে যায়। সেজো, ন’ এবং ছোট রাস্তার পাশে অনেকগুলো জায়গা আছে, যেখান থেকে ময়লা তুলে আনা হয় না। কিছু দিন পর স্থানীয় বাসিন্দারা সেগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেন। একে তো ময়লা জমে দূষণ, তার পর প্লাস্টিক পোড়ানোর দূষণ। দুই দূষণে জেরবার শহরবাসী। এ ছাড়া রয়েছে কুকুরের উৎপাত। ওরা ডাস্টবিন থেকে আবর্জনা টেনে এনে রাস্তায় প্রাতরাশ সারে। তাই প্রস্তাব, বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ বাধ্যতামূলক হোক। পাড়ায় পাড়ায় ঢাকনা দেওয়া ভ্যাটের সংখ্যা বৃদ্ধি হোক। বাড়ির সামনে আবর্জনা থাকলেই বাসিন্দা এবং কাউন্সিলর, দু’জনকেই জরিমানা করা হোক। পরিবেশ দূষণের বিপক্ষে নিয়মিত মাইকে প্রচার হোক। একই সঙ্গে পরিবেশ পর্যবেক্ষকের নিয়মিত নজরদারি চলুক।
শিপ্রা ভৌমিক
চন্দননগর, হুগলি
চিঠিপত্র পাঠানোর ঠিকানা
সম্পাদক সমীপেষু,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০০০১।
ইমেল: letters@abp.in
যোগাযোগের নম্বর থাকলে ভাল হয়। চিঠির শেষে পুরো ডাক-ঠিকানা উল্লেখ করুন, ইমেল-এ পাঠানো হলেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy