‘গাড়ি বা মানুষ, পথ নেই কারও’ (২-৯) প্রকাশিত খবর যা সাধারণের চোখে পড়ে, পড়লাম। যে সমস্ত নামকরা পুজো গলিতে হয়, প্রচণ্ড চাপের জনস্রোত দু’পাশে বাঁশ খুঁটির বেড়া তার পাশে থিমের চমক দেওয়া কাজ, তার ওপরে আছে সারি সারি বাড়ি উদয়অস্ত বন্দি অবস্থায় জনবসতি। তাঁদের নিজের বাড়িতে প্রবেশ প্রস্থানের ওপর থাকে অলিখিত কার্ফু। সকাল বেলাটা কার্ফু শিথিল থাকে। বাইরের কাজকম্ম সেরে বাড়িমুখো হতে হয়। এখন চতুর্থী থেকেই অষ্টপ্রহর দর্শনার্থীদের ভিড়। বন্দিদশার দিন বেড়েই চলেছে। দু’এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয়া, তৃতীয়া থেকেই ভিড় শুরু হয়ে যাবে। বন্দি অবস্থায় কেউ যদি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বা কোনও অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনার শিকার হন, তা হলে ওই বিপদগ্ৰস্ত পরিবার; বিশেষত বৃদ্ধবৃদ্ধারাই বাসিন্দা, এমন পরিবার এই জনস্রোতে দিশেহারা হয়ে পড়তে বাধ্য। এক-এক পাড়া বা গলির এক-এক রকমের ভৌগোলিক অবস্থান। তাই প্রত্যেক পুজো কমিটির উচিত নিজ এলাকার জনগণের জন্য দু’তিনটে কার্যকর ফোন নম্বর দিয়ে রাখা, যাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পুলিশ প্রশাসন ও পুজো কমিটির সহযোগিতায় কোনও অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনার মোকাবিলা করা যায়।
অঞ্জন কুমার শেঠ
কলকাতা-১৩৬
ক্রেতা ও আইন
‘ঠকে গেলাম’ (১৯-৮) চিঠিতে ‘একজন বৃদ্ধা, অসুস্থ মহিলা’ ফ্ল্যাট কেনার জন্য ধাপে ধাপে ‘মোট ১৩ লক্ষ ২১ হাজার’ টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট বা দেওয়া টাকা কোনওটাই না পাওয়ার যে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়েছেন, তা পড়ে সকলেই মর্মাহত হবেন। কিন্তু ফ্ল্যাট কিনতে গিয়ে নানা ভাবে বঞ্চনার কাহিনি অজস্র। সম্প্রতি ফ্ল্যাট বিক্রির চাহিদা কমে যাওয়ার জন্য অনেকে নোটবন্দি, জিএসটি, আর সম্প্রতি আর্থিক মন্দার কথা বলছেন, কিন্তু এক শ্রেণির প্রোমোটারের অতি লোভও যে এর জন্য দায়ী, তা ভেবে দেখার সময় হয়েছে। দশ বছর আগে ফ্ল্যাটের পুরো দাম ধাপে ধাপে দিয়েও দিল্লির এক নামী প্রোমোটার কয়েক হাজার ক্রেতার হাতে আজও ফ্ল্যাট তুলে দেয়নি। প্রোমোটারদের একটা বড় অংশ ক্রেতাদের কাছ থেকে এক প্রোজেক্টের জন্য পাওয়া অর্থ অন্য প্রোজেক্টে বিনিয়োগ করছিল, ফলে বহু প্রোজেক্টই আংশিক তৈরি হয়ে পড়ে ছিল। ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এর জন্য ‘রেরা’ (রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটি) নামে আইন প্রণয়ন করে এবং সব রাজ্যকে এই আইন প্রণয়ন করতে বলে। কিন্তু অধিকাংশ রাজ্য ক্রেতা নয়, প্রোমোটারকে সুবিধা দিতে আইনে সংশোধনী এনে চালু করে। যেমন, রেরা-তে ছিল, চুক্তিতে ক্রেতার হাতে ফ্ল্যাট তুলে দেওয়ার নির্ধারিত সময়ের সর্বাধিক দু’বছর দেরি করা যেতে পারে যদি এই দেরির পিছনে ভূমিকম্প, বন্যা এই রকম গুরুতর কারণ থাকে এবং দেরির জন্য ক্রেতাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, আর এই রাজ্যে তৈরি হয়েছে ‘হিরা’ (হাউজ়িং ইন্ডাস্ট্রি রেগুলেটরি অ্যাক্ট) যেখানে দেরির বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে প্রোমোটারের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর কনজ়িউমার ফোরামে গেলে প্রোমোটারের এক কথা হাতে টাকা নেই, কবে সম্পূর্ণ ফ্ল্যাট ক্রেতার হাতে তুলে দেওয়া হবে তারও কোনও ইঙ্গিত নেই। কালো তালিকা করা হচ্ছে, জেলেও যেতে হচ্ছে। এই সব করতে বছর দশেক চলে গেলে ক্রেতার কী ভালটা হবে?
অসিত কুমার রায়
ভদ্রেশ্বর, হুগলি
আবার
আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘আবার’ শব্দটির ব্যবহার দেখতে পাচ্ছি না। এর বদলে ‘ফের’ শব্দটির ব্যবহার দেখছি। শুনতে একদম ভাল লাগছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘আবার’ শব্দটি ব্যবহার করলে ভাল শোনায়।
মিলন মাইতি
বাসুদেবপুর, পূর্ব মেদিনীপুর
নতুন প্ল্যাটফর্ম
শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় টালিগঞ্জ স্টেশনটিতে একটিমাত্র প্ল্যাটফর্ম ছিল। সম্প্রতি নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে এবং শিয়ালদহগামী ট্রেন সেই প্ল্যাটফর্মেই দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু প্রথম দিন যাতায়াত করতে গিয়ে মানুষের দুর্ভোগ চোখে পড়ল। টালিগঞ্জ এবং লেক গার্ডেন্স স্টেশন দু’টির মাঝের দূরত্ব খুবই কম। টালিগঞ্জের নতুন যে প্ল্যাটফর্মটি করা হয়েছে সেটি টালিগঞ্জের আদি প্ল্যাটফর্মের মুখোমুখি না করে আদি প্ল্যাটফর্ম থেকে অনেকটা দূরে করা হয়েছে, যেটি শুরু হচ্ছে আদি প্ল্যাটফর্মের প্রায় মাঝামাঝি থেকে শেষ হচ্ছে লেক গার্ডেন্স স্টেশন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। শিয়ালদহগামী ট্রেন থেকে যাঁরা টালিগঞ্জে নামছেন তাঁদেরকে আদি প্ল্যাটফর্মে এসে রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো বা সড়কপথের বাহন ধরতে হচ্ছে। নতুন প্ল্যাটফর্মের শুরুর প্রান্তে কোনও ওভারব্রিজ নেই। ফলে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলকেই রেল লাইন ধরে হেঁটে আসতে হচ্ছে আদি প্ল্যাটফর্মটিতে। লাইন জুড়ে তারের কুণ্ডলী, কোথাও বা খোলা তার, বৃষ্টির পর সেগুলির উপর দিয়ে হেঁটেই কচিকাঁচারা স্কুল যাচ্ছে। স্টোন চিপস বিছানো উঁচু নিচু পথ পেরোতে গিয়ে বেসামাল হয়ে পড়ছেন বয়স্করা। সেই লাইন দিয়েই এসে পড়ছে ইঞ্জিন, মালগাড়ি। কোনও ওভারব্রিজই কি নেই? আছে। যে ওভারব্রিজটি আছে সেটি নতুন প্ল্যাটফর্মের একেবারে শেষ প্রান্তে (লেক গার্ডেন্স স্টেশন লাগোয়া)। ওভারব্রিজে উঠলে গুলিয়েও যেতে পারে যে এই সিঁড়ি দিয়ে নামলে টালিগঞ্জ স্টেশনে নাকি লেক গার্ডেন্সে! রেল কর্তৃপক্ষকে বিষয়গুলি যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
পারমিতা মুখোপাধ্যায়
আকড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
অসত্য বক্তব্য
‘পশু ক্লিনিকে নৈশ-পরিষেবা বন্ধে প্রশ্ন’ (২৮-৮) শীর্ষক সংবাদে আমরা পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী চিকিৎসা ও প্রাণী বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপকেরা মর্মাহত এবং অসম্মানিত। উক্ত সংবাদে বলা হয়েছে যে এই বিষয়ে উপাচার্য বলেছেন তাঁকে অন্ধকারে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক পশু-চিকিৎসালয়ের রাত্রিকালীন পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছেন। এই বক্তব্য অসত্য। প্রায় বছর দেড়েক ধরে তাঁর কাছে এই পরিবেষা দেওয়ার বিকল্প ব্যবস্থা করার জন্য আমরা বার বার অনুরোধ করি।
প্রসঙ্গত, এই রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ বিভাগের অধীনে থাকা কোনও পশু চিকিৎসালয়ে নৈশকালীন পরিষেবা দেওয়া হয় না। এ জাতীয় পরিষেবা পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জায়গায় চালু হোক, অবোলা জীবেরা পরিষেবা পাক, এ বিষয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন সংক্রান্ত ভিসিআই নির্দেশিত এমএসভিই-তে নন-ক্লিনিক্যাল বিষয়ের অধ্যাপকদের দিয়ে ওই জাতীয় পরিষেবার কোনও সুযোগ নেই। এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রাণী-চিকিৎসা অনুষদের ডিন-এর কাছে প্রতিবাদ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে নিযুক্ত অধ্যাপকেরা সরাসরি কোনও জনসেবামূলক (বিশেষ করে নৈশকালীন) কাজের জন্য নিযুক্ত হন না। পঠনপাঠন ও চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণমূলক কাজের জন্যই নিযুক্ত হন। তা ছাড়া হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষকেরা নন-প্র্যাকটিসিং ভাতা পান যার সঙ্গে নৈশকালীন জরুরি পরিষেবার কোনও সম্পর্ক নেই।
শক্তিপদ প্রধান ও অরুণকুমার মণ্ডল
পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিবেদকের উত্তর: প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ৩০ জন শিক্ষক গত তিন বছর ধরে পশু ক্লিনিকের রাতের পরিষেবা দিয়ে আসছিলেন। তাঁদের একাংশের আন্দোলনে পশু ক্লিনিকের রাতের পরিষেবা গত ১ অগস্ট থেকে বন্ধ হয়ে যায়। তিন বছর ধরে চলতে থাকা অবোলা প্রাণীদের চিকিৎসায় রাতের পরিষেবা কেন বন্ধ করা হল, সেই প্রশ্নই প্রতিবেদনে রাখা হয়েছিল। কারও ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই প্রতিবেদন লেখা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy