অন্তরীক্ষে পর পর উড়ে যাচ্ছে আতশবাজির রোশনাই। নীচে স্টাম্প নিয়ে দুলে দুলে ডান্ডিয়া নাচছেন রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলি। ভাংড়া ধরে ফেলেছেন হর্ষিত রানা, হার্দিক পাণ্ড্য, আরও একটা কে যেন। বাউন্ডারির দড়ির পাশে স্টার স্পোর্টসের মাইক্রোফোনের সামনে খপাখপ বিজয়ীরা ধরা পড়ছেন আর ম্যাচ-পরবর্তী ছোট ছোট তাৎক্ষণিক সাক্ষাৎকার হচ্ছে। দুবাইয়ের স্টেডিয়াম ভেসে যাচ্ছে কবীর খান কৃত এবং রণবীর সিংহ অভিনীত তিরাশির বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয় নিয়ে তৈরি ছবির ‘লহরা দো’ গানে। গ্যালারির দিকে দিকে হিল্লোল উঠেছে ভারতের জাতীয় পতাকার।
ভিআইপি বক্স থেকে তুরতুর করে নেমে এসে অনুষ্কা শর্মা বাঁধা পড়লেন বিরাটের বাহুডোরে। রোহিতের কোমর জড়িয়ে ঝুলে পড়ল তাঁর ফুটফুটে কন্যা। স্ত্রী রিভাভা এসে রবীন্দ্র জাডেজার মাথার উস্কোখুস্কো চুলটা আরও একটু ঘেঁটে দিলেন। গম্ভীর গৌতমের মুখেও তৃপ্তির বিরল অভিব্যক্তি। জয় শাহের কান এঁটো করা হাসি আর থামতেই চাইছে না।
দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল, ১৬০ কোটির দেশে ক্রিকেট বিপণনের আয়ু আরও খানিক বেড়ে গেল। আরও জমিয়ে বসল ভারতীয় ক্রিকেটের বাজার। দাদাগিরি আরও বাড়ল বিসিসিআইয়ের। আরও উৎসাহ বেড়ে গেল আসন্ন আইপিএল নিয়ে। এই উপমহাদেশে ক্রিকেট অনেক দিন ধরেই ধর্মের মর্যাদা পেয়েছে। এর পরে যাপনের লিফ্টেও উঠে পড়ল।
কিন্তু তিনি? তিনি কোথায় গেলেন?
কিছু পরে তাঁকে আবিষ্কার করা গেল। পিছনের কোলাহল ফেলে রেখে ধীর পায়ে উঠে যাচ্ছেন ড্রেসিংরুমের সিঁড়ি বেয়ে। ঢোকার মুখে কয়েক লহমা থমকে দাঁড়িয়ে উপরের গ্যালারিতে ছুড়ে দিলেন ট্রফি জেতানো, ঘামে ভেজা দস্তানা দুটো। তার পরে আবার ঢুকে গেলেন কাচের আবডালে। খানিক ক্ষণ আগে তাঁকে সাইমন ডুল প্রশ্ন করেছেন, ‘‘তোমায় দেখে কিন্তু খুব শান্ত মনে হচ্ছিল।’’ তিনি বলেছেন, ‘‘ওর’ম মনে হয়। কিন্তু ভিতরে ভিতরে কী হচ্ছিল, ক্যামেরার সামনে বলতে পারব না। ভয়ে নাড়িভুঁড়ি পেটের ভিতর ঢুকে গিয়েছিল। ম্যাচটা জিতে শেষ করতে পেরে আমি তৃপ্ত।’’
যেটা আগে এক বার বলেছিলেন, সে দিন বলেননি, ‘‘আমায় দেখে খুব শান্ত আর স্থিতধী মনে হয়। কিন্তু ভিতরে একটা গনগনে আগুন আছে। আমি বিশদে ব্যাখ্যা করে বোঝাতে পারব না। কিন্তু ওটা সমস্ত পেশাদারের মধ্যে জ্বলতে থাকে।’’
ডান্ডিয়া নেই। ভাংড়া নেই। নাচ নেই। গান নেই। অথচ ঘাড়-ছাপানো লম্বা চুল আছে। দু’হাত এবং শরীর ভর্তি জরদ্গব সব ট্যাটু (তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রী জানিয়েছেন, ট্যাটুর সংখ্যা মোট ৭৫। তার মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় পোষ্য সারমেয় ‘সিম্বা’ আর একটা বাতিঘরের ট্যাটু। কারণ, ওই বাতিঘর তাঁর ছোটবেলার প্রতীক) আছে। চলাফেরায় নিজের মতো করে বিবৃতি পেশ করা আছে। আধুনিক এবং কোটিপতি পেশাদার ক্রিকেটারের যা যা থাকা উচিত, সবই আছে। যেমন, স্রেফ ঘটনাচক্রে জীবনে প্রথম বার ভারতীয় অধিনায়ক হয়ে যখন ইন্ডিয়া ব্লেজ়ার পরে বিদেশের মাটিতে টেস্ট ম্যাচে টস করতে গেলেন, নিজেকেই নিজে বলেছিলেন, ‘‘ইন্ডিয়া ব্লেজ়ার পরে নিজেকে দেখতে কিন্তু ভালই লাগছে। অবশ্য ভাল তো লাগারই কথা। হাজার হোক, এই জায়গাটায় আসার জন্য বহু পরিশ্রম করেছি।’’ স্বগতোক্তি থেকে কি অহংয়ের গন্ধ বেরোচ্ছে?
আরও পড়ুন:
হয়তো তাই। হয়তো নয়। কিন্তু কান্নায়ুর লোকেশ রাহুল তবু কোথাও যেন অন্যদের চেয়ে আলাদা। তাঁর মধ্যে বৈভবের নির্ঘোষ নেই। যাপনে অনাবশ্যক চিৎকৃত উপস্থিতি নেই। সম্ভবত তাঁর মধ্যবিত্ত পারিবারিক মূল্যবোধের কারণেই। তখন চার বছর ইন্ডিয়া খেলা হয়ে গিয়েছে। তবু তিনি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় চাকরি পাওয়ায় হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছিলেন অধ্যাপিকা মা। কারণ, ছেলে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি পেয়েছে। ভাল বেতন পাবে। এ বার পুত্রের জীবন খানিক থিতু হল। যে মা মাত্র কয়েক বছর আগেও তাঁকে উপদেশ দিয়েছেন, ‘‘দূরমাধ্যমে হলেও লেখাপড়াটা শেষ করো। তিরিশটা তো মাত্র পরীক্ষা। বসে পড়ো।’’
মায়ের মতো বাবাও অধ্যাপক। আত্মীয়-পরিজনদের মধ্যে কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার। সেই পরিবারের ছেলে চলে গেল কিনা ক্রিকেট খেলতে! শুধু তা-ই নয়, ক্রিকেট খেলার সুবিধা হবে বলে ম্যাঙ্গালোর ছেড়ে কমার্স নিয়ে পড়তে চলে গেল বেঙ্গালুরু। কৃতী পড়ুয়াদের পরিবারের ছেলে পড়তে গেল কমার্স! যা কিনা তথাকথিত ‘ম্লেচ্ছ’ বিষয়। মধ্যবিত্ত পরিবারে এই ধরনের সন্তান পুরোপুরি বখে-যাওয়া এবং প্রায় কুলাঙ্গার বলেই পরিচিত হয়ে থাকে। নয়ই বা কেন? ছেলে যখন বাড়ি ফিরল, পিঠজোড়া বিশাল ট্যাটু। মা জড়িয়ে ধরার পর পুত্র ব্যথায় ককিয়ে উঠেছিল। কারণ, পিঠস্থানে টাটকা ট্যাটুর ক্ষত এবং তজ্জনিত জ্বালা তখনও জুড়োয়নি। জামা খুলিয়ে দেখেটেখে মা ধমক দিয়েছিলেন, ‘‘এ সব কী আঁকিয়েছ! এখনই গিয়ে সাবান দিয়ে ধুয়ে এসো!’’ ও জিনিস যে জলে ধুলে যাবে না, সেটা মাকে বোঝাতে রাহুলের কালঘাম ছুটে গিয়েছিল। কারণ, ‘পার্মানেন্ট ট্যাটু’ কী বস্তু, সে সম্পর্কে ম্যাঙ্গালোরের অধ্যাপিকার কোনও ধারণাই ছিল না। কারণ, ছোটবেলা থেকে তিনি তাঁর সন্তানকে শিখিয়েছিলেন, ‘‘তোমার যেটা ভাল লাগে, সেটা করো। কিন্তু যেটা করবে, মন দিয়ে, পরিশ্রম করে করবে। আর তোমার নামে যেন কখনও কেউ নালিশ না করে।’’
সম্ভবত সেটাই রাহুলের ছোটবেলার প্রতীকী ‘বাতিঘর’। মধ্যবিত্ত শিকড় এবং তৎসহ মূল্যবোধ। যা তাঁর পা মাটিতে এবং মাথা কাঁধের উপর রাখতে শিখিয়েছে। নইলে প্রথম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে এক দিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি, আইপিএলে ১৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি, দেশের অধিনায়কত্ব (অধিনায়ক বিরাট শেষ মুহূর্তে চোটের জন্য টেস্ট ম্যাচটা খেলবেন না বলে ঠিক করায়) এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতানোর অন্যতম কারিগর হওয়া সত্ত্বেও তিনি ট্রফি জেতার পরে টিমের ঝিঙ্কাচিকা ব্রিগেডের সঙ্গে নাচতে চলে না গিয়ে বরং শ্যাম্পেনের ফোয়ারা থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা মহম্মদ শামিকে উদ্যাপনের বৃত্তে টেনে নিয়ে আসেন!
লোকেশ রাহুলকে দেখে আসলে খুব আশ্চর্য লাগে। তাঁর গরিমা চাই না। দূরদৃষ্টি চাই। তবে লোকেশ রাহুলকে দেখে আবার ততটা আশ্চর্যও লাগে না, যখন তিনি ঘোষণা করেন, তাঁর ‘আদর্শ’ রাহুল শরদ দ্রাবিড়। আগের বাক্যের দ্বিতীয় রাহুল প্রথম রাহুলের কর্নাটকের হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি দেখে নির্বাচকদের বলেছিলেন, ‘‘এই ছেলেটার দিকে নজর রাখুন। আমি ওর খেলা দেখেছি। ওর ট্যালেন্ট আছে। এই ছেলে একদিন ইন্ডিয়া খেলবে।’’
রোহিত শর্মার ভারতীয় দলে লোকেশ রাহুলের ভূমিকা, যাকে ইংরেজিতে বলে ‘হাইপার ফ্লেক্সিব্ল’। তাঁর আদর্শ দ্রাবিড় রাহুলের মতোই। এতটাই নমনীয় যে, কহতব্য নয়। ওপেনার থেকে আট নম্বর পর্যন্ত তাঁর ব্যাটিং অর্ডার বদলেছে (দ্রাবিড় রাহুলকে অবশ্য সেটা করতে হয়নি। অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায় উইকেটকিপিংটা করতে হয়েছিল)। একদা ‘ওপেনার রাহুল’ এখন ‘ফিনিশার রাহুল’ হয়ে গিয়েছেন। অধিনায়কের ইচ্ছায় উইকেটরক্ষা করছেন (খারাপ তো করছেনই না। উল্টে তাঁর ব্যাটিংয়ে ঋষভ পন্থসুলভ অবিমৃশ্যকারিতা দেখা যাচ্ছে না)। কিন্তু কখনও ‘না’ বলেননি। কেন বলেননি? কারণ, তিনি বলেছেন, ‘‘আমি কখনও ‘না’ বলতেই চাইনি। কারণ, আপনি জানেন না, ওই একটা ‘না’ বললে কী হবে। হয়তো আপনি আর কোনও দিন ‘হ্যাঁ’ বলারই সুযোগ পাবেন না। চূড়ান্ত পর্যায়ে খেলা সব সময়েই কঠিন। প্রত্যাশার চাপ, বহির্জগৎ থেকে ভেসে আসা বিভিন্ন ধরনের শব্দ, উপদেশ, প্রার্থনা— সব আত্মস্থ করে নিতে হয়। আমিও নিয়েছি। ক্রিকেট থেকেই শিক্ষা পেয়েছি যে, সব কিছু কখনও তোমার নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। ফলে যেটা তোমার কাছে এসেছে, সেটা নিয়ে নাও। কখনও ‘না’ বোলো না।’’
আরও পড়ুন:
মা শাহরুখ খানের ভক্ত। সেই কারণেই শাহরুখের জনপ্রিয় চরিত্রের নামে নাম রেখেছিলেন বলে ছেলের কাছে দাবি করেছিলেন। রাহুল পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, শাহরুখের ‘রাহুল’ অবতার তাঁর জন্ম তথা নামকরণের দু’বছর পরে আবির্ভূত হয়েছিল! মাকে গিয়ে চেপে ধরায় তিনি হুঁ-হাঁ কিছু একটা বলে কাটিয়ে দেন। তবে ক্রিকেটভক্ত বাবা পুত্রের নাম রাখতে চেয়েছিলেন সুনীল গাওস্করের পুত্রের নামে। সমস্যা হল, তিনি ‘রোহন’ শুনতে গিয়ে ‘রাহুল’ শুনেছিলেন। ছেলের নাম রাহুলই দিয়ে দেন। তবে বত্রিশের যুবকের রসবোধ ভরপুর। নইলে কি আর নামকরণের ইতিহাস বলতে গিয়ে বলেন, ‘‘রাহুল নামটার সঙ্গে আমার কিন্তু একটা যোগসূত্র আছে! আমার ম্যানেজারের নাম রাহুল। আমার ফোটোশুট যিনি করেন তাঁর নাম রাহুল। আমার স্টাইলিস্টের নামও রাহুল।’’
আবার সেই রাহুলই লখনউয়ের মাঠে আইপিএলের ম্যাচে গোহারা হেরে যাওয়ার পর উত্তেজিত ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি মালিকের সামনে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এবং পরে শান্ত গলায় বলেন, ‘‘ম্যাচের পর মাঠে সকলে যা দেখেছিলেন, সেটা খুব কাঙ্ক্ষিত নয়। ক্রিকেট মাঠে এই ধরনের দৃশ্য তৈরি না হওয়াই ভাল। ওই ঘটনার প্রভাব গোটা টিমের উপর পড়ে।’’
সেই ঘটনার পরে ক্যাপ্টেনকে ডেকে নৈশভোজ খাইয়ে ব্যাপারটায় একটা মধুরেণ সমাপয়েৎ সুলভ প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বটে সঞ্জীব গোয়েন্কা। কিন্তু একেবারেই আশ্চর্য নয় যে, লখনউ সুপার জায়ান্টস রাহুলকে আর রাখেনি। দলের মালিক বলেছেন, ‘‘দলটা গড়ার সময় আমরা যৌথ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জাহির খান, জাস্টিন ল্যাঙ্গার, দলের অ্যানালিস্ট আর সিইও বসে নিজেরা কথা বলে নিয়েছে। যদিও খুব বেশি আলোচনা করতে হয়নি। আমরা চেয়েছি এমন ক্রিকেটার নিতে, যাদের জেতার মানসিকতা আছে। যারা নিজস্ব উচ্চাকাঙ্ক্ষার চেয়ে দলের স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দেবে।’’
আরও পড়ুন:
ইঙ্গিত খুব স্পষ্ট। যেমন স্পষ্ট দিল্লির টিমে যোগ দেওয়ার পর (অধিনায়কত্ব অবশ্য অক্ষর পটেলকে ছেড়ে দিয়েছেন রাহুল) লখনউয়ের প্রাক্তন অধিনায়কের বক্তব্য, ‘‘আমি টাটকা একটা শুরু চেয়েছিলাম। জীবনে কখনও কখনও আপনাকে কিছু পিছুটান ছেড়ে সরে গিয়ে নিজের জন্য ভালটা খুঁজে নিতে হয়। নিজের সামনে বিকল্পগুলো দেখে মনে হয়েছিল, এমন একটা দলে খেলতে চাই, যেখানে আমার খানিকটা স্বাধীনতা থাকবে। দলের আবহাওয়াটা একটু হালকা আর ফুরফুরে হবে।’’
এটাই কি সেই গনগনে আগুন, যেটা পেশাদারেরা ছাইচাপা দিয়ে রাখেন? লোকেশ রাহুল কি আসলে পেশাদার ক্রিকেটারের মোড়কে এক দার্শনিক?
হতেও পারে। যে সমস্ত দেশে ক্রিকেটসফরে গিয়েছেন, স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে একটা করে ট্যাটু করিয়েছেন পায়ে। উৎসাহী এক প্রশ্নকর্তা জানতে চেয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে নিশ্চয়ই ক্যাঙারুর ট্যাটু করিয়েছিলেন?
‘‘নাহ্, কম্পাস! অস্ট্রেলিয়া সফরেই টিম থেকে সাসপেন্ড হয়েছিলাম। দ্যাট ওয়াজ় আ ওয়েক আপ কল। তার আগে কোনও দিন কোথাও সাসপেন্ড হইনি। স্কুলে না, কলেজেও নয়। কর্ণ জোহরের শোয়ে হাবিজাবি বলার জন্য জীবনে প্রথম বার সাসপেন্ড হতে হয়েছিল। ওই সাসপেনশনটা আমায় শিখিয়েছিল, জীবনে চলার জন্য সবচেয়ে জরুরি সঠিক দিক্নির্দেশ। তাই কম্পাস।’’
রাহুল! নাম তো মনে থাকবেই। জীবনের বাতিঘর দেখানো কম্পাসটাও মনে রেখে দেব।