প্রচারের এই তীব্র আলো কেন? এটা কি রাজ্যপাল পদের গরিমার সঙ্গে মানানসই? গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সেই প্রথম কোনও বড়লাটকে ভিজিটিং কার্ড দিলাম! যুগপৎ প্রজাতন্ত্র দিবস এবং সরস্বতী পুজোর বিকেল। রাজভবনের লনে সমারোহ সভা বসেছে। বাংলায় হাতেখড়ি হবে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। পরনে ধূসর বন্ধ-গলা। এক-পা পিছনে অতীব হ্যান্ডসাম এডিসি (রাজ্যপালের এডিসি-রা চিরকাল বিপজ্জনক রকমের সুদর্শন এবং স্মার্ট হন। ছোট থেকে দেখছি)।
ছিমছাম মঞ্চের সামনে ঘন সবুজ ঘাসের লনে আসন পাতা। প্রথম সারিতে আরামদায়ক সোফা। তার পরে সাদা ঢাকনি-পরানো খানিক কেজো চেয়ারের সারি। পেল্লাই সাউন্ডবক্স থেকে মিঠে তারযন্ত্রের সুর বেরিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে জানুয়ারি-শেষের বাতাসে। অনুষ্ঠান শুরুর আগে রাজ্যপাল তুরতুর করে ঘুরতে ঘুরতে সভায় আহূত অভ্যাগতদের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন। প্রথা এবং প্রটোকল মাফিক নমস্কার বিনিময়। সৌজন্যসূচক দু’একটা বাক্য। মৃদু হাসি। রাজ্যপালের এক পাশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মুখেও একটা আলগা কিন্তু আন্তরিক হাসি ঝুলছে। অন্য পাশে রাজ্যপালের প্রিন্সিপাল সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। তাঁর হাসিটি চওড়া।
মঞ্চ থেকে বেশ খানিকটা দূরত্বে মোটামুটি পিছনের সারিতেই বসেছিলাম। যেমন ‘ব্যাক বেঞ্চার’ হিসেবে চিরকাল থেকেছি। কিন্তু অন্যদের মতোই সেই আসনের সামনে এসেও থামলেন বড়লাট। তত ক্ষণে আমাদের সারির প্রত্যেকেই উঠে দাঁড়িয়েছেন। হাসি-হাসি মুখে তাকিয়ে জোড়হাতে নমস্কার করলেন রাজ্যপাল। কিন্তু দেখলেন, প্রতি-নমস্কারের জন্য হাতে একটি আপাত-অপ্রত্যাশিত ভিজিটিং কার্ড। বড়লাট কি একটু থমকালেন? সম্ভবত। তবে টসকালেন না। কার্ডটি হাতে নিয়ে কিঞ্চিৎ নিরীক্ষণ করে দাক্ষিণাত্যের টানসমৃদ্ধ উচ্চারণে বললেন, ‘‘আনন্দ্বাজ়ার অনলাইন? আমি কিছু দিন আগে কেরলে গিয়েছিলাম। তখন আপনাদের কাউন্টারপার্ট মালয়ালাম মনোরমা অনলাইনের লোকজন আপনাদের কথা জিজ্ঞাসা করছিলেন।’’
বুঝলাম, নভেম্বরে বাংলার বড়লাটের দায়িত্ব-নেওয়া রাজভবনের নতুন বাসিন্দা সংবাদমাধ্যম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। হাতেখড়ির অবকাশে জানলাম, লাটসাহেব নিজেই চেয়েছিলেন বাংলায় সড়গড় হতে। সরস্বতী পুজোর পুণ্যলগ্নে ‘অ-আ’ লিখে হাতেখড়ি তারই নান্দীমুখ। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। সানন্দে ব্যবস্থা করে দিয়েছে নবান্ন। তখন অবশ্য চারদিকে ‘সুপবন বহিতেছে’। নবান্ন এবং রাজভবন একই বৃন্তে দু’টি কুসুম হয়ে পাপড়ি মেলছে পাশাপাশি।
বাংলার বড়লাটের বয়স আপাতত বাহাত্তর। মানুষটি ঈষৎ খাটো চেহারার। কৃষ্ণবর্ণ। মাথায় ইন্দ্রলুপ্ত। ঠোঁটের উপর জাঁদরেল গোঁফ। পরনে প্রায় সব সময়েই বন্ধ-গলা স্যুট। জানি না, কোনও সমস্যা আছে কি না, কিন্তু চোখে বেশির ভাগ সময়েই বাদামি কাচের রোদচশমা। অনেক সময় রাতেও। একঝলক দেখে পদস্থ আমলাই মনে হয় বটে। রাজভবনের অবমাননা হবে না নিশ্চয়ই যদি সাহস করে লিখে ফেলি, একটু ‘মাই ডিয়ার’-ও মনে হয়। সেটার কারণ সম্ভবত তাঁর পূর্বসূরি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে তাঁর তুলনা। লম্বা এবং চওড়া ধনখড়ের যেমন একটা হুমহুমে উপস্থিতি ছিল, বোস একেবারেই তেমন নন।
কেন্দ্রীয় সরকারে সচিব পর্যায়ে কাজ করেছেন। তার আগে রাজ্য স্তরে মুখ্যসচিব থেকেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদেও থেকেছেন। ইংরেজি, হিন্দি এবং মালয়ালি ভাষায় নয়-নয় করে ৩২টি বই আছে তাঁর। শেষ বইটি রাজভবন থেকে ছাপানো নিয়ে তৃণমূল একটা ফ্যাকড়া তুলেছে বটে। কিন্তু যাঁরা বইটি পড়েছেন, তাঁরা বড়লাটের ইংরেজি ভাষাজ্ঞান, শব্দচয়ন এবং লেখার প্রসাদগুণের সুখ্যাতিই করেছেন। তবে বলতে কি, বড়লাটও তো একদা একই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে স্বয়ং উইনস্টন চার্চিলের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। কিন্তু সে তো পারস্পরিক পৃষ্ঠ কণ্ডুয়ন! পঞ্চায়েত ভোটের আগে সে সব ভোজবাজির মতো মিলিয়ে গিয়েছে। এখন যুযুধান নবান্ন-রাজভবন। এতটাই যে, শাসকদল সরাসরি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ‘সমান্তরাল প্রশাসন’ চালানোর অভিযোগ আনছে। পরস্পরের পিঠ চুলকোনো দূরস্থান, মনে হচ্ছে একে অপরকে বাঘনখ পরে আলিঙ্গন করতে নেমেছেন। যেমন ছত্রপতি শিবাজিকে করতে গিয়েছিলেন আফজল খাঁ। যে নখের ঘায়ে আরাম হওয়া তো দূর! পিঠ ফালাফালা হয়ে যেতে বসেছে।
ঠিক কখন এবং কোন ঘটনায় যে দুই ইমারতের মধ্যে দুস্তর এবং প্রায় অনতিক্রম্য দূরত্ব তৈরি হয়ে গেল, ঠিকঠাক বলা মুশকিল। শাসক পক্ষ বলে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর টানা গোলাবর্ষণের সামনে স্টান্স বদলে ফেলেছেন লাটসাহেব। হতেও পারে। শুভেন্দুও তো আত্মতুষ্টির সুরে মাঝেমধ্যে বলে ওঠেন, ‘‘এ বার উনি ট্র্যাকে ফিরছেন।’’
ফেরা বলে ফেরা! এ হল, যাকে বলে, প্রত্যাবর্তন!
শুরু হয়েছিল নন্দিনীকে প্রিন্সিপাল সচিব পদ থেকে অপসারণ করা দিয়ে। অতঃপর নবান্নের সঙ্গে বিনা আলোচনায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ। একাধিক সংবিধান বিশেষজ্ঞ মনে করেন, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে ‘আচার্য’ রাজ্যপাল তাঁর পদাধিকার বলে যে সমস্ত পদক্ষেপ করেছেন, তা সংসদীয় গণতন্ত্রের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। তাঁদের বক্তব্য, ইউজিসি-র (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) প্রবিধান অনুযায়ী অন্তত ১০ বছর কার্যকাল না হলে কাউকে উপাচার্যের পদে বসানো যায় না। তার সঙ্গে আনুষঙ্গিক আরও কিছু যোগ্যতা লাগে। সেই প্রবিধানে আরও বলা আছে, উপাচার্য নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনও একটা স্তরে হলেও কথা বলতে হবে। তা সর্বোচ্চ স্তরে না-ও হতে পারে। কিন্তু বলতে হবে। দ্বিতীয়ত, সব সময় যে সেই আলোচনা ‘ইতিবাচক’ হবে, তা-ও নয়। কিন্তু বলতে হবে। বর্তমান রাজ্যপাল তা করেননি। অনেকে পাশাপাশিই বলেছেন, রাজ্যপাল উপাচার্যদের নিয়োগ করেছেন রাজভবন থেকে। রাজ্য অর্থ দফতরের কোনও ‘মেমো’ বা ‘অনুমোদন’ ছাড়া। সেটাও তাঁর এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। কেউ কেউ একধাপ এগিয়ে বলছেন, রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি। কিন্তু উনি কেন্দ্রেরই (ইউজিসি) আইন ভাঙলেন। সংসদীয় গণতন্ত্রে রাজ্যপালকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।
শুনে খটকা লেগেছিল। রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরে এত দিন কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন (এমনকি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থেকেও) তিনি কি এতটাই অসতর্ক হবেন? কে জানে!
কিন্তু সে সব বিতর্ক আপাতত পিছনে চলে গিয়েছে। কারণ, পঞ্চায়েত ভোট এসে পড়েছে। এবং সেই ভোটের অব্যবহিত আগে, যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কপ্টার-দুর্বিপাকে গৃহবন্দি, তখন গোটা রাজ্যের সংঘর্ষদীর্ণ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন লাটসাহেব। তিনি কোথায় যাচ্ছেন, কাদের সঙ্গে কথা বলছেন, কী কী বলছেন (এমনকি, মোবাইল ফোনেও)— সমস্ত রাজভবনের তরফে ভিডিয়োবাহিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে চরাচরে। ‘উপদ্রুত’ এলাকার মানুষ তাঁর পায়ে পড়ছেন, চলন্ত ট্রেনে যেতে যেতে বাতানুকূল কামরা থেকেই (তখনও তাঁর চোখে বাদামি কাচের রোদচশমা) তিনি ফোনে ধরছেন পীড়িত মানুষকে, ঝপ করে বাজারে পৌঁছে সব্জির দাম পরখ করছেন, নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলছেন, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করছেন, হিংসা থামানোর জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সময়সীমা বেঁধে দিচ্ছেন। মোদ্দা কথায়— রাজ্যের গোলমেলে এলাকার মানুষের কাছে ‘বিপত্তারণ’ হয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। তাঁর কাজকর্ম সমস্ত ঝপাঝপ ‘রেকর্ডিত’ হচ্ছে আর পৌঁছে যাচ্ছে যেখানে যেখানে পৌঁছনোর দরকার সেখানে।
দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল, উনি যেতেই পারেন। কিন্তু প্রচারের এই তীব্র আলো কেন? এটা কি রাজ্যপালকে মানায়? এটা কি লাটসাহেব পদের গরিমার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ? যদিও বড়লাটের গরিমা প্রায় একটা আতিশয্য হয়েই থেকেছে। যার কার্যকারিতার চেয়ে ঔপচারিকতা বেশি। অনেকটা নৈবেদ্যর উপর কাঁঠালি কলার মতো। কিন্তু তবু তো থেকেছে। এতে লাটসাহেব পদের মর্যাদা বা গরিমা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে কি? যদি গরিমা না-থাকে, তা হলে রাজ্যপাল পদের আর রইল কী!
বিরোধীরা অবশ্য খুশি হচ্ছেন! এই রাজ্যপাল সত্যি সত্যিই ‘ভ্রাম্যমান’। যেখানে গোলমাল হচ্ছে, দৌড়ে যাচ্ছেন। সেই বিপুল ঘোরাঘুরির চোপাটে তাঁর বন্ধ-গলা একটু বিপাকেই পড়েছে সম্ভবত। পোশাকের আনুষ্ঠানিকতা বিসর্জন দিয়ে তিনি কখনও টি-শার্ট আর গল্ফ ক্যাপে, কখনও রাত্রিবাসের উপযোগী ফতুয়ায়। বিরোধী শিবির এতে যারপরনাই খুশি হচ্ছে আর চিড়বিড় করতে করতে শাসক চিঠি লিখছে নির্বাচন কমিশনে। যে, রাজ্যপাল নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করছেন!
রাজ্যপাল কি ঠিক করছেন?
সংবিধান বিশেষজ্ঞদের কথা মানতে গেলে, ভুল করছেন না। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংঘর্ষদীর্ণ এলাকায় যাওয়াটা পুরোপুরি রাজ্যপালের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে। কারণ, জীবনের অধিকার (রাইট টু লাইফ) যে কোনও নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। ফলে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে নাগরিকের জীবনের অধিকার রক্ষার দায়িত্বও রাজ্যপালের। তাই তিনি রাজ্যের যে কোনও ‘উপদ্রুত’ এলাকায় যেতে পারেন। সংশ্লিষ্ট নাগরিকের জীবনের অধিকার রক্ষার জন্য উদ্যোগীও হতে পারেন। যদিও তাঁর কোনও নির্বাহী ক্ষমতা (এগজ়িকিউটিভ পাওয়ার) নেই। অনেকে বলছেন, ঠিকই করছেন রাজ্যপাল। কলকাতা শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি সাহেবি আমলের বিশাল প্রাসাদের জড়ভরত (মতান্তরে, রবারস্ট্যাম্প) বাসিন্দা হয়ে বসে থাকার চেয়ে রাস্তাঘাটে নেমে ‘জনতার রাজ্যপাল’ হওয়া অনেক বেশি কাম্য। সে নিজের সঙ্গে সঙ্গে ‘শান্তিকক্ষ’ নিয়ে ঘোরা হোক বা নিজস্ব সূত্রে খবর জোগাড় করা। এর আগে কোনও রাজ্যপাল সে ভাবে এটা করেননি। ইনি করছেন। তা-ই অনভ্যস্ত চোখে লাগছে।
তার্কিক বাঙালি। ফলে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত থাকবেই। কিন্তু অনস্বীকার্য যে, রাজ্যপাল যা করছেন, সেটা তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতাবলেই। কিন্তু পাশাপাশিই একটা আলোচনাও উঠছে যে, তিনি যা করছেন, তা কতটা নৈতিক, শোভন এবং সমীচীন। সংবিধান যাঁরা লিখেছিলেন, তাঁরা কখনও ভাবেননি, কোনও রাজ্যের রাজ্যপালকে এই স্তরে বা এই পর্যায়ে নেমে রাজ্য শাসনের দৈনন্দিনতাকে দেখতে হবে! যাচাই করতে হবে। সংবিধান যেমন বলছে, মন্ত্রিসভা রাজ্যপালের সন্তুষ্টি (প্লেজ়ার) অনুযায়ী চলবে। বা রাজ্যপাল আনন্দের সঙ্গে (সানন্দে) কোনও মন্ত্রীকে নিয়োগ করছেন। কিন্তু রাজ্যপাল কুপিত হলে কি সেই মন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব চলে যায়? যায় না। সমস্যা হল, রাজ্যপালের পদটা একটা কাল ব্যতিক্রমে পর্যবসিত হয়েছে। অনেকটা হ-য-ব-র-ল’র মতো। ধনখড় বুদ্ধিমান ছিলেন। পেশাগত কারণে তিনি আইন বুঝতেন। ফলে সন্তর্পণে আইনের মধ্যে থেকে যা করার করতেন। এই বড়লাট অতটা বিচক্ষণতা দেখাতে পারছেন কি? বেশির ভাগই জবাব দিতে পারছেন না। আসলে চাইছেন না। কেউ কেউ বলছেন, রাজ্যপাল কেন এত গভীরে যাচ্ছেন, তার কারণটাও তো খুঁজে দেখতে হবে!
শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল, ঠিকই। কিন্তু রাজ্যপাল কতটা গভীরে যেতে পারেন?
‘টাইটানিক’-এর ধ্বংসাবশেষ দেখানোর জন্য অকুতোভয়, অত্যুৎসাহী এবং অনুসন্ধিৎসু লোকজনকে নিয়ে পকেট-সাইজের যে ‘টাইটান’ নেমেছিল সমুদ্রের তলদেশে, সেটা ঠিক কত নীচে গেলে বিস্ফোরণ ঘটবে, কতটা জলের চাপ সে নিতে পারবে, সেটা যেমন কেউ জানত না, তেমনই একটি রাজ্যের রাজ্যপাল কতটা গভীরে গেলে দীর্ঘ দিনের লালিত সিস্টেম (সেটা খারাপ বা ভাল যেমনই হোক) তার অভিঘাত সহ্য করতে পারবে, তারও একটা ণত্ব-ষত্ব জ্ঞান কি থাকা উচিত নয়?
মনে হচ্ছিল, পশ্চিমবঙ্গের সাপেক্ষে ‘টাইটান’-কে কি একটা জাগতিক উদাহরণ হিসেবে দেখা যায়? না কি দেখা উচিত নয়? যদি মনে হয়, যা কিছু রয়-সয়, তার সীমা আমরা অতিক্রম করে যাচ্ছি? যদি শঙ্কা জাগে, এই সিস্টেমের এতটা অভিঘাত নেওয়ার ক্ষমতা আছে তো?
বরাবরের মতো এখনও ‘ব্যাক বেঞ্চার’ হয়েই দেখছি। শুধু পেল্লাই সাউন্ডবক্স থেকে কোনও মিঠে তারযন্ত্রের সুর বেরিয়ে বাতাসে আর উড়ে বেড়াচ্ছে না! রাজভবনের সবুজ ঘাসে-ছাওয়া লনে পড়ে আছে বাদামি কাচের রোদচশমা আর তার ভিতর দিয়ে দেখা একটি নির্বাচন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy