সম্প্রতি বিজেপি সদর দফতরে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে বিনিয়োগ টানার গল্প করলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। কিছু দিন আগেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে গিয়েছিলেন তিনি, একটি আর্থিক সম্মেলনে যোগ দিতে। সম্মেলনে তাঁর পাশেই বসেছিলেন তুরস্কের অর্থমন্ত্রী। বসে থাকতে থাকতেই মাথায় হঠাৎ একটি বুদ্ধি খেলে যায় গয়ালের। তিনি সম্মেলনের পর একটি নোটপ্যাডে মন্ত্রীর সময় চাওয়ার অনুরোধ করে দু’লাইন লিখে, তাঁর হাতে গুঁজে দেন। বৈঠক শেষে তুরস্কের মন্ত্রীর সচিব এসে আমন্ত্রণ জানান ভারতীয় মন্ত্রীকে। তার পর, মিনিট দশেক কথা হয় দু’জনের। গয়াল তাঁকে বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে তুরস্কে যে গমের সঙ্কট তৈরি হয়েছে, তাতে পাশে থাকতে চায় ভারত। তুরস্কের অর্থমন্ত্রী সেই প্রস্তাব লুফে নেন। ভারত থেকে গম আমদানির ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে তিনি একটি প্রতিনিধি দলও পাঠিয়েছেন। পীযূষের দাবি, ইউপিএ সরকারের সময় থেকে চেষ্টা চলছে তুরস্কে গম রফতানির, এত দিনে সেই জট ছাড়ল। তাও একটি মাত্র কাগজের টুকরোর সৌজন্যে!
মোদীর নয়নমণি
নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে তিন আমলার উপরে ভরসা করেছিলেন। পি কে মিশ্র, অনিল মুকিম ও অরবিন্দ কুমার শর্মা ওরফে এ কে শর্মা। এই ত্রয়ীর মধ্যে শর্মার উপরে পড়েছিল শিল্পায়নের ভার। ভাইব্র্যান্ট গুজরাত শিল্প সম্মেলনের আয়োজন থেকে বিনিয়োগ আনতে নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ সফর— পাশে এক জনই, শর্মা। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়ে দিল্লিতে এলেন। তাঁর সঙ্গে এলেন পি কে মিশ্র ও এ কে শর্মা। বারাণসী থেকে লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের সময়ও মোদীর ভরসা ছিলেন সেই শর্মা। তিনি যে আদতে উত্তরপ্রদেশের। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে তাঁর কাজ ছিল পরিকাঠামো তৈরির কাজে নজরদারি রাখা। পি কে মিশ্র এখন প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। অনিল মুকিম গুজরাতের মুখ্যসচিব হয়েছেন। আর এ কে শর্মা আগাম অবসর নিয়ে উত্তরপ্রদেশে বিজেপির সহ সভাপতি হয়েছিলেন। এ বার তিনি যোগী সরকারের মন্ত্রী হলেন। মন্ত্রক পেলেন নগরোন্নয়ন ও বিদ্যুৎ দফতর। লখনউয়ের গুঞ্জন, শুধু নগরোন্নয়ন নয়, নরেন্দ্র মোদীর ‘নয়ন’ হয়েও কাজ করবেন এই শর্মা।
জেঠমলানীর ভুল
নরেন্দ্র মোদীর হয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছিলেন। সেটা ছিল ২০০২-এর গুজরাত হিংসার মামলা। সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় তিনি আবার অমিত শাহের আইনজীবী। তিনি রাম জেঠমলানীর পুত্র মহেশ জেঠমলানী। তাঁকে রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদ করে নিয়ে আসায় তাই কেউই অবাক হননি। সংসদের সদ্য শেষ হওয়া বাজেট অধিবেশনে মহেশকে খোদ পি চিদম্বরমের সঙ্গে বাগ্যুদ্ধে নামতে দেখা গেল। বিষয় অপরাধী শনাক্তকরণ বিল। দুই বাঘা আইনজীবীকে সংসদে সওয়াল করতে দেখে মনে হল, তাঁরা যেন সুপ্রিম কোর্টেই লড়াইয়ে নেমেছেন। মহেশ জেঠমলানীর নিজেরও সম্ভবত তাই মনে হচ্ছিল। তাই ভুল করে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে ‘মাই লর্ড’ বলে বসলেন। তার পরেই ভুল শুধরে বলেন, পুরনো স্বভাব সহজে যায় না!
ভোর থেকেই কাজ
কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব কাজপাগল লোক। তাঁর মন্ত্রকের কর্মীরা জানেন, সকালে ন’টায় অফিসে আসেন মন্ত্রী। দফতর ছাড়েন রাতে। সহকর্মীদেরও এ ভাবে কাজে উৎসাহিত করতে লিডারশিপ গুরু রবিন শর্মার বই, দ্য ফাইভ এএম ক্লাব সবাইকে উপহার দিয়েছেন মন্ত্রী। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে কাজ এগিয়ে রাখলে কী ভাবে এগিয়ে থাকা যায়, তারই পরামর্শ রয়েছে বইটিতে। দ্য মঙ্ক হু সোল্ড হিজ় ফেরারি— এই বেস্টসেলারের লেখকও রবিন শর্মা।
বাঁদরের উৎপাত
সকাল থেকেই সাউথ অ্যাভিনিউয়ে তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতার ফ্ল্যাটের সামনে খাকি উর্দির ভিড়। উৎসুকরা জানতে চাইছেন, বিজেপি সমর্থকদের হামলা হল না কি! জানা গেল, বাঁদর এসেছে। সাউথ ব্লকের ভিভিআইপি বাসিন্দারা অতিষ্ঠ বাঁদরের উৎপাতে। অনেক সাংসদই ছাদ ঢেকেছেন জাল দিয়ে। আগের সন্ধ্যায় এমনই জালে পা জড়িয়ে যায় খুদে এক বাঁদরের। রাতভর তাকে জালমুক্ত করার প্রচেষ্টা করে যায় বাঁদরকুল। সকালে খবর যায় দমকলে। বনরক্ষী বাহিনী এসে জাল কেটে উদ্ধার করে খুদেটিকে। হাঁপ ছাড়ে সব পক্ষই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy