Advertisement
০১ ডিসেম্বর ২০২৪
Delhi Diary

দিল্লি ডায়েরি: মেলায় ছক্কা হাঁকাল বাঙালির চা-শিঙাড়া

এ বার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং চা, বালুচরি শাড়ি, শান্তিনিকেতনের চর্মজাত পণ্য, পটচিত্র, ছৌ মুখোশ, গোবিন্দভোগ থেকে তুলাইপাঞ্জি চালের মতো নানা পণ্যের সম্ভার বিক্রি হয়েছে।

দিল্লি ডায়েরি।

দিল্লি ডায়েরি। —ফাইল চিত্র।

প্রেমাংশু চৌধুরী, অগ্নি রায়
শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:১১
Share: Save:

প্রগতি ময়দানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পশ্চিমবঙ্গের স্টলে এক শিখ যুবক হাঁপাতে হাঁপাতে হাজির। রাজ্যের স্টলে বাংলার মিষ্টি, শিঙাড়া বিক্রি হচ্ছিল। সেখানে তিনি শিঙাড়া খেতে চান। কিন্তু শিঙাড়া যে শেষ! একটাও ‘বঙ্গালি সমোসা’ নেই? হতাশ শিখ যুবক জানালেন, তিনি বিশ কিলোমিটার দূর থেকে এসেছেন শুধু শিঙাড়া খেতে। শুধু শিঙাড়া নয়। এ বার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং চা, বালুচরি শাড়ি, শান্তিনিকেতনের চর্মজাত পণ্য, পটচিত্র, ছৌ মুখোশ, গোবিন্দভোগ থেকে তুলাইপাঞ্জি চালের মতো নানা পণ্যের সম্ভার বিক্রি হয়েছে। এই দু’সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গের প্যাভিলিয়ন থেকে ৮২ লক্ষ টাকার বেশি পণ্য বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী শশী পাঁজা। স্টলের বিজ্ঞাপনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো নানা জনমুখী প্রকল্পেরও প্রচার চলেছে। মেলায় পশ্চিমবঙ্গের স্টল বিশেষ প্রশংসাপদকও পেয়েছে।

চাহিদা: প্রগতি ময়দানে পশ্চিমবঙ্গের স্টলে ক্রেতাদের ভিড়।

চাহিদা: প্রগতি ময়দানে পশ্চিমবঙ্গের স্টলে ক্রেতাদের ভিড়।

সংলাপ বিভ্রাট

ভোজপুরি সংলাপের জেরে বিবাদ বিজেপি আর সমাজবাদী পার্টির মধ্যে! সম্প্রতি এমনটাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আম্বেডকর নগরের একটি হোর্ডিংকে ঘিরে। সেখানে উপনির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী ধর্মরাজ নিষাদ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ছবি রয়েছে। সঙ্গে ভোজপুরিতে লেখা— “ইয়াতো আবকি জিতায়া দ, ইয়াতো টিকটি-প লেটায়ে দ।” অর্থাৎ, হয় আমাকে জিতিয়ে দাও নয়তো টিকিটেই মৃত্যুশয্যায় তুলে দাও! জেলার খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পড়েছিল এই হোর্ডিং, সঙ্গত কারণেই এক রাতের মধ্যেই হইচই পড়ে। বিজেপি নেতারা মৃত্যুর অনুষঙ্গে রুষ্ট হন। নামিয়ে ফেলা হয় ওই বোর্ড। বিজেপি দোষ দেয়— এ নির্ঘাত এসপি-র কাণ্ড। অন্য দিকে, অখিলেশ যাদবের দল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এ সব ভোজপুরি বিভ্রাট নয়, বিজেপি যে ভোট পেতে কতটা মরিয়া, তারই প্রমাণ!

আরও এক বার...

দু’জনে অভিন্নহৃদয় বন্ধু ছিলেন। শোনা যায়, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কিছু বললে তা ফেলতে পারতেন না রাহুল গান্ধী। রাজনীতির আবর্তে জ্যোতিরাদিত্য কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে মোদী সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন। সংসদে দাঁড়িয়ে গান্ধী পরিবারকে নিশানা করেন। তাঁর দল ছাড়ায় মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকারের পতন হয়েছিল। রাহুল গান্ধী সে সময় হতাশায় বলে ফেলেছিলেন, “জ্যোতিরাদিত্য আমার শোয়ার ঘর পর্যন্ত চলে আসতে পারত!” সেই ঘটনার চার বছর পরে সংবিধান দিবসে সংসদের অনুষ্ঠানে দেখা হল রাহুল, জ্যোতিরাদিত্যের। দু’জনে হাত মেলালেন। রাহুল জ্যোতিরাদিত্যের হাত ধরে চলতেও শুরু করে দিয়েছিলেন। সেই ছবি নিয়ে জোর চর্চা হল রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু চর্চাই সার। জ্যোতিরাদিত্যর ‘ঘর ওয়াপসি’র জল্পনায় জল ঢেলে দিল কংগ্রেস, বিজেপি— দুই শিবিরই।

হলুদ সাইকেল

এক সময় মনসুখ মাণ্ডবিয়া, অর্জুন রাম মেঘওয়ালের মতো বিজেপি সাংসদরা সাইকেল চেপে সংসদে আসতেন। দিল্লির রাস্তায় তাঁরা এ দিক-ও দিক সাইকেল চেপে ঘুরেও বেড়াতেন। দু’জনেই এখন মোদী সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী। তাই তাঁরা এখন গাড়ি চেপে, নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘোরেন। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সাইকেল চেপে সংসদে আসছেন তেলুগু দেশমের সাংসদ আপ্পালা নায়ডু কালিশেট্টি। ভিজ়িয়ানগরমের এই সাংসদ হলুদ রং করা সাইকেল নিয়ে সংসদে হাজির হয়ে জানিয়েছেন, দিল্লির দূষণের সমস্যার দিকে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তাঁর এই উদ্যোগ। নতুন সংসদ ভবনের মকর দ্বারের সামনে হলুদ সাইকেল রেখে ভিতরে যাওয়ার সময় তিনি অবশ্য সাইকেলে তালা দিয়ে যেতে ভুলছেন না!

বার্তা: সংসদের বাইরে হলুদ সাইকেল।

বার্তা: সংসদের বাইরে হলুদ সাইকেল।

রামের তিরে ‘ওটিটি’

রামমাহাত্ম্য থেকেই যায়! রামানন্দ সাগরের সিরিয়ালের কল্যাণে গোটা দেশ এক সময় তাঁকে রাম হিসাবে শ্রদ্ধার নজরে দেখত। তিনি মিরাটের বিজেপি সাংসদ অরুণ গোভিল। লোকসভায় তাঁর প্রথম প্রশ্নেই সংস্কারী চেতনাকে তুলে ধরেছেন। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে গোভিল জানতে চান, সমাজমাধ্যমে অশ্লীল লেখা ও ছবি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সরকার কী পদক্ষেপ করছে। এ কথাও তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এমন অনেক বিদেশি ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্ম’ রয়েছে, যেখানে প্রদর্শিত অনেক কিছুই পরিবারের সঙ্গে বসে দেখা যায় না। রাম নামে খ্যাত গোভিলের মতে, এই বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন আনা প্রয়োজন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy