দিল্লি ডায়েরি। —ফাইল চিত্র।
উদ্ধব ঠাকরেকে কি বিজেপি নিজের দিকে টানতে চাইছে? এক কোটিপতি শিল্পপতি নাকি এ বিষয়ে উদ্ধবের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন। মহারাষ্ট্রে এনডিএ-র আসনসংখ্যা কমলে উদ্ধবকে নিয়ে এসে তা পূরণের চেষ্টা হতে পারে বলে গুজব। মহারাষ্ট্রে বিজেপি দীর্ঘ দিন শিবসেনার সঙ্গে জোটে ছিল। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে বিজেপি-শিবসেনার বিবাদের সুযোগে উদ্ধবকে কংগ্রেস-এনসিপির জোটে নিয়ে এসে চমক দিয়েছিলেন শরদ পওয়ার। বিজেপি জবাবে উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ও শরদ পওয়ারের এনসিপি, দুই দলেই ফাটল ধরিয়েছে। তাতে মূল ভূমিকা নিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীস। উদ্ধব মুখ্যমন্ত্রীর গদি হারালেও মানুষের সহানুভূতি তাঁর সঙ্গে বলে বিজেপির আশঙ্কা। কিন্তু উদ্ধবের রাগ দেবেন্দ্রর উপরে। দিল্লিতে গুজব, ওই কোটিপতি শিল্পপতি উদ্ধবকে আশ্বাস দিয়েছেন, প্রয়োজনে দেবেন্দ্রকে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিল্লিতে নিয়ে যেতে পারে বিজেপি। সবাই অবশ্য এ নিয়ে ‘স্পিকটি নট’!
‘রিঙ্কিয়া কে পাপা’
উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিজেপি সাংসদ, অভিনেতা মনোজ তিওয়ারির ‘হাস দেলি রিঙ্কিয়া কে পাপা’ ভোজপুরি গানটি এতই জনপ্রিয় যে, এই সাংসদেরই নাম ‘রিঙ্কিয়া কে পাপা’ (রিঙ্কির বাবা) হয়ে গিয়েছে। দিল্লির প্রতিটি সভায় জনগণের চাহিদায় বাধ্য হয়ে গেয়েছেন সেটি। বিরোধী নেতা ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল উত্তর-পূর্ব দিল্লির ভজনপুরা এলাকার প্রচারসভায় আগাগোড়া ‘রিঙ্কিয়া কে পাপা’ সম্বোধন করেই বিজেপির এই নেতাকে হারাতে ও ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী কংগ্রেসের কানহাইয়া কুমারকে সমর্থনের আবেদন করেছেন। মনোজ বলছেন, “আমার গান গাওয়া সার্থক।”
উত্তপ্ত ভোট
উত্তর ভারত প্রবল তাপপ্রবাহের শিকার। দিল্লির পারদ ৫২ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে। পিছিয়ে নেই বারাণসীও, সেখানে তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রির উপরে। অথচ, ১ জুন শেষ দফার ভোট হল বারাণসী-সহ ওই রাজ্যের ১৩টি কেন্দ্রে। গরমের কারণে ভোটদানের হার ক্রমশ কমছে দেখে, ভোটদানের সময় বিকেলের দিকে অন্তত এক থেকে দু’ঘণ্টা বাড়াতে নির্বাচন কমিশনকে আবেদন জানায় উত্তরপ্রদেশ বিজেপি নেতৃত্ব। আগামী দিনে লোকসভা ভোট বছরের অন্য সময়ে করা যায় কি না, সেই প্রস্তাবও কমিশনকে দেওয়ার কথা ভাবছে শাসক দল।
পাহাড়, বাঙালি, কঙ্গনা
বাঙালি পাহাড় ভালবাসে। এক বঙ্গসন্তান এখন রাজনীতিতে পাহাড় বিশেষজ্ঞ, থুড়ি পাহাড়ি রাজ্য বিশেষজ্ঞ। কলকাতার ছেলে রণজিৎ মুখোপাধ্যায় কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। সমাজমাধ্যমের দায়িত্ব সামলানোর পরে কংগ্রেস তাঁকে একের পর এক পাহাড়ি রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে চলেছে। কখনও নাগাল্যান্ড, কখনও সিকিম। লোকসভা ভোটের মধ্যে তাঁকে হিমাচল প্রদেশের লাহুল-স্পিতিতে পাঠানো হয়েছে। হিমাচলের মান্ডি আসনে বিজেপির কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহের ছেলে বিক্রমাদিত্য সিংহের জোর লড়াই। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার নির্দেশে কংগ্রেস সর্বশক্তি দিয়েছে। তাই মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত লাহুল-স্পিতি বিধানসভা কেন্দ্রে এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক হিসেবে রণজিৎকে পাঠানো হয়েছে। দেখা যাক, বিক্রমাদিত্যের বিক্রম হিমাচলের ভূমিকন্যা কঙ্গনাকে হারাতে পারে কি না।
সে নাম ঢেকে যাবে
আকবর রোডে কংগ্রেসের সদর দফতরে বিভিন্ন পদাধিকারীদের ঘরের সামনে কালো বোর্ডে নাম লেখা থাকে। জনসংযোগ বিভাগে যাঁরা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্বে, তাঁদের ঘরের বাইরের বোর্ডে একগুচ্ছ নাম। সেখানে রোহন গুপ্ত ও রাধিকা খেরার নামের উপরে এখন সাদা কাগজ সাঁটা। দুই তরুণ কংগ্রেস কর্মী নির্বাচনের মরসুমে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। রোহন কংগ্রেসের সমাজমাধ্যম বিভাগের প্রধান ছিলেন। তাঁকে গুজরাত থেকে প্রার্থী করা হলেও সরে দাঁড়ান। রাধিকাকে জনসংযোগের দায়িত্ব নিয়ে ছত্তীসগঢ়ে পাঠানো হয়। এঁদের নামের উপরে সাদা কাগজ সাঁটা হলে প্রশ্ন উঠছে, ভোটের পরে আরও নামে সাদা কাগজ সাঁটতে হবে না তো!
অতিথিদেবো ভব
লোকসভা নির্বাচন দেখতে ২৩ দেশের বিদেশি প্রতিনিধিকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ৭৫ জন বিদেশি প্রতিনিধি মহারাষ্ট্র, গোয়া, গুজরাত, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশের ভোটের সাক্ষী থাকলেন। তাৎপর্যপূর্ণ হল, কর্নাটক বাদে সবই বিজেপি-শাসিত রাজ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy