দিল্লি ডায়েরি। —ফাইল চিত্র।
এক সময় তাঁকে বলা হত, আরএসএস-এর রিজ়ার্ভ বেঞ্চে বসে থাকা প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার। আবার কংগ্রেসের অনেক নেতা বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তিনিই একমাত্র নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভিন্ন মত প্রকাশ করতে পারেন। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী হিসাবে নিতিন গডকড়ী জাতীয় সড়ক তৈরির অনেক রেকর্ড ভেঙে ফেলেছেন। তাঁকে তাই ‘হাইওয়ে ম্যান’ বলেও ডাকা হয়। যদিও, ইদানীং তাঁর সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের কাজ নিয়ে সিএজি-র রিপোর্টে অবশ্য একটু চাপে রয়েছেন তিনি। তবে, এ বার তাঁর জীবনকাহিনি আসতে চলেছে সিনেমার পর্দায়। চলতি মাসের শেষেই গডকড়ী নামে তাঁর মরাঠি ‘বায়োপিক’ মুক্তি পেতে চলেছে। গত লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিক মুক্তি পেয়েছিল। তাতে মোদীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন বিবেক ওবেরয়। গডকড়ী ছবির টিজ়ার মুক্তি পেলেও নিতিন গডকড়ীর ভূমিকায় কে অভিনয় করছেন, তা এখনও গোপন রাখা হয়েছে। তবে ছবিতে গডকড়ীর রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবনের গল্পও থাকবে বলে প্রযোজক-পরিচালকদের দাবি।
বিজয়ার জনসংযোগ
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সদর দফতর নাগপুরে বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানে এই বছর বড় চমক অপেক্ষা করছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে দেখা যাবে বলিউডের তারকা গায়ক শঙ্কর মহাদেবনকে। গত বছর প্রধান অতিথি হিসাবে সঙ্ঘ পরিবার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল পর্বতারোহী সন্তোষ যাদবকে। বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠানমঞ্চকে বরাবরই আরএসএস সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বার্তা দেওয়ার কাজে ব্যবহার করে এসেছে। যে কারণে ২০১৭ সালে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দলিত সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধি। জানা যাচ্ছে, এ বছর শঙ্কর মহাদেবনকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সঙ্ঘ পরিবার আসলে এই যুগের জনপ্রিয় গণসংস্কৃতির সঙ্গে সংযুক্ত হতে চাইছে।
গিরিরাজের বিক্রম
গিরিরাজ সিংহ বিজেপিতে বরাবরই নরেন্দ্র মোদীর কট্টর সমর্থক বলে পরিচিত। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে যখন নরেন্দ্র মোদী বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন কি না, তা নিয়েই বিতর্ক চলছে, তখন গিরিরাজ মোদীর পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই বিহারের গিরিরাজ অধুনা বঙ্গের রাজনীতিতে পরিচিত নাম। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী হিসাবে তিনিই একশো দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে সিবিআই তদন্তের হুমকি দিয়েছেন। তৃণমূল নেতারা তাঁর সঙ্গেই দেখা করতে এসেছিলেন দিল্লিতে। কিন্তু দেখা না করে তিনি চলে গিয়েছিলেন বিহারের বেগুসরাইতে। সেখান থেকেই আবারও তৃণমূলকে নিশানা করেছেন। সেই সঙ্গে সরকারি কাজের প্রচারের জন্য ইউটিউবারদের সঙ্গেও একটি বৈঠক করে এসেছেন। এক ঢিলে অনেক পাখি মারা একেই বলে।
‘যদি জানতেম’
রাজ্যসভায় গুলাম নবি আজ়াদের মেয়াদ শেষে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা হন। সে সময় কেউই ভাবতে পারেননি যে, তিনি এক দিন কংগ্রেস সভাপতির আসনে বসবেন। কিন্তু সেই ঘটনাটিই ঘটেছে। গান্ধী পরিবারের বাইরে বহু বছর পরে ফের কেউ কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছেন। কিন্তু তাতে কংগ্রেসেরই এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও সাংসদ বিপাকে। কারণ রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা থাকাকালীন খড়্গে তাঁকে ফোন করলে তিনি ফোন কেটে দিয়ে মেসেজ করতেন ‘প্লিজ় টেক্সট মি’। খড়্গে বিরক্ত হতেন। শোনা যাচ্ছে, এখন সেই অপরাধে তাঁর শাস্তি হতে পারে ভেবে ওই নেতা ভয়ে রয়েছেন। তাঁর হাত থেকে দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হতে পারে ভেবে গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজনের তালিকায় টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
কঠিন তপস্যা
গত লোকসভা নির্বাচনে মাত্র ১% ভোটে হেরেছিলেন পুরী লোকসভা কেন্দ্র থেকে। বিজেপির সম্বিত পাত্র, পেশায় চিকিৎসক হলেও, ভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপির মুখপাত্র হিসাবেই পরিচিত। রাজনৈতিক জীবন দিল্লিতে শুরু হলেও, লোকসভা জিততে নিজের রাজ্যই বেছেছেন। এ বার জয় নিশ্চিত করতে দু’বছর ধরে পড়ে রয়েছেন পুরীতে। কমে গিয়েছে দলীয় মুখপাত্র হিসাবে সংবাদমাধ্যমে মুখ দেখানো। দলের নির্দেশ পেলে সাংবাদিক সম্মেলন করতে দিল্লি উড়ে এসে কাজ শেষেই ফিরে যাচ্ছেন পুরী। ফের নেমে পড়ছেন প্রচারে। আপাতত জগন্নাথক্ষেত্রেই মোক্ষলাভ চাইছেন সম্বিত।
স্বাস্থ্যসম্মত বৈঠক
ব্র্যান ফ্লেকস তৈরি হয় গম, যব ইত্যাদির গোটা শস্যদানা থেকে। তাই সেটি কর্ন ফ্লেকসের চেয়েও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। ক’দিন আগে জাতীয় ও রাজ্য রাজনীতিতে সাড়া ফেলে দিয়েছিল বিরোধী দলের দুই তরুণ নেতার ভোরবেলার বৈঠক। তাঁদের ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, সাতসকালে স্বাস্থ্যসচেতন দুই নেতা বৈঠকের মাঝে প্রাতরাশ সেরেছেন দুধ ও ব্র্যান ফ্লেকস দিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy