E-Paper

দিল্লি ডায়েরি: রাজ্যজয় করতে যাওয়া কি মুখের কথা?

ছাত্র-রাজনীতি করে উঠে আসা সুরজেওয়ালা প্রথম হরিয়ানভি হিসাবে যুব কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি হয়েছিলেন।

An image of Delhi Diary

দিল্লি ডায়েরি। ফাইল ছবি।

প্রেমাংশু চৌধুরী, অগ্নি রায় এবং অনমিত্র সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৩ ০৬:২১
Share
Save

হরিয়ানার ভূমিপুত্রকে যদি আলুর পরোটা ও লস্যির বদলে রোজ ধোসা, ইডলি খেতে হয়, তা হলে জীবনের কী হাল হয়? হাড়ে হাড়ে টের পেলেন রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। রাহুল গান্ধীর আস্থাভাজন এই নেতা কর্নাটকের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে গত ছ’মাস দক্ষিণ ভারতে মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। সাদা মাখন দিয়ে আলুর পরোটার বদলে তাঁকে রোজ কর্নাটকের নেতাদের সঙ্গে ইডলি-সম্বর দিয়ে পেট ভরাতে হয়েছে। একেবারে দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে রফা পর্যন্ত। তার সুফলও পেয়েছেন সুরজেওয়ালা। শুধু রাজ্যজয় নয়, কর্নাটকের ভারপ্রাপ্ত নেতা হিসাবে সুরজেওয়ালার সবচেয়ে বড় সাফল্য, দলের দুই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা সিদ্দারামাইয়া ও ডি কে শিবকুমারের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতে না দেওয়া। ছাত্র-রাজনীতি করে উঠে আসা সুরজেওয়ালা প্রথম হরিয়ানভি হিসাবে যুব কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি হয়েছিলেন। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালাকে দু’বার বিধানসভা ভোটে হারিয়েছেন। এত দিন নির্বাচনের ‘মাস্টার প্ল্যানার’ হিসাবে তাঁর পরিচিতি জাঠ বলয়েই সীমাবদ্ধ ছিল। এ বার সেই সুনাম দক্ষিণ ভারতেও ছড়িয়ে পড়ল।

জয়ী: রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার সঙ্গে ডি কে শিবকুমার ও সিদ্দারামাইয়া।

জয়ী: রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার সঙ্গে ডি কে শিবকুমার ও সিদ্দারামাইয়া। ছবি: পিটিআই।

ফ্যাশন নয়, সুরক্ষা

দেশকে রক্ষা করা এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ থাকাই সেনার কর্তব্য। বাড়তি ফ্যাশনের কোনও সুযোগই সেখানে নেই। ২০১৮ সালে এক বার এ কথা সেনাবাহিনীর পোশাক-পরিচ্ছদ সংক্রান্ত নির্দেশাবলিতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিয়ম মানা হচ্ছে না দেখে এই মাসে ফের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। বলা হয়েছে, কর্তব্যরত কোনও সেনার কান বা শরীরের কোনও অঙ্গে ফুটো করে গয়না পরা চলবে না। দাঁত বাঁধানো চলবে না সোনাদানায়। শরীরের কোথাও উল্কি করা নিষেধ। হাতে বা অন্য কোথাও পুঁতির মালা বা ওই জাতীয় কোনও গয়নাও পরা যাবে না। সব সেনা কম্যান্ডারদের এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে, যাতে বাহিনীর সবাই তা অক্ষরে অক্ষরে মানছেন কি না, সে দিকে নজর থাকে।

কর্তব্যপরায়ণ

চিন্তা বাড়ল আইন মন্ত্রকের কর্তাদের। কিরেন রিজিজু আইন মন্ত্রক থেকে সরে গিয়েছেন। এসেছেন নতুন মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। তিনি নিজেও আমলা ছিলেন। সরকারি কাজকর্ম কী ভাবে চলে, তা তিনি ভালই জানেন। চিন্তার কারণ হল, তিনি ছুটি নেন না। এ-যাবৎ সংসদের কোনও অধিবেশনে এক দিনও অনুপস্থিত না-থাকার রেকর্ড তাঁর ঝুলিতে। সংসদ চলাকালীন রাজস্থানের বাড়িতে পরিবারের কারও বিয়ে থাকলেও তিনি যান না। মাথায় পাগড়ি পরে সাইকেলে চেপেই তিনি অফিস চলে আসেন। সন্ধ্যার পরেও অনেক সময় সাইকেলে চেপে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। আইনমন্ত্রীর গাড়ি রাখার জায়গায় এখন মাঝেমাঝেই অর্জুন রাম মেঘওয়ালের সাইকেল দেখা যাবে। নিরাপত্তারক্ষীদেরও সে কথা জানিয়েদেওয়া হয়েছে।

রাজধানী: সেন্ট্রাল ভিস্তা।

রাজধানী: সেন্ট্রাল ভিস্তা। ফাইল ছবি।

ত্বকের যত্ন নিন

মাস দুয়েক আগের ঘটনা। দোলের দিন কী ভাবে ত্বক বাঁচিয়ে রং খেলা যায়, তা নিয়ে বক্তব্য জোগাড়ে এক সাংবাদিকের যাওয়ার কথা ছিল সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ শেহনাজ় হুসেনের কাছে। নাম বিভ্রাটের কারণে অনভিজ্ঞ সাংবাদিক পৌঁছে যান বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ় হুসেনের কাছে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শাহনওয়াজ় হুসেন ‘মিডিয়া ফ্রেন্ডলি’ বলেই পরিচিত। যে কোনও বিষয়েই বক্তব্য পেশ করায় পারদর্শী তিনি। এ ক্ষেত্রেও ওই সাংবাদিককে নিরাশ করেননি তিনি। কী ভাবে নিরাপদে ত্বক বাঁচিয়ে রং খেলা উচিত, তা নিয়েও তিনি দিব্য ‘বাইট’ দিয়েছিলেন।

কী ফল লভিনু...

ইন্ডিয়া গেটের আশেপাশে জাম গাছের ছড়াছড়ি। সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে যখন রাজপথের দু’পাশের এলাকা প্রধানমন্ত্রীর পছন্দমাফিক সাজানো শুরু হল, তখন এই জাম গাছগুলি উপড়ে ফেলা হবে, সেই ভয়ে মামলা-মকদ্দমা পর্যন্ত হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত রাজপথের দু’পাশে জাম গাছেরা টিকে আছে। কিন্তু, এ বার অন্য বিপত্তি। সে সব গাছের ফল পাড়ার লোক মিলছে না। কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতর সম্প্রতি কর্তব্যপথের সমস্ত জাম গাছের ফল বিক্রি করতে নিলামের ডাক দিয়েছিল। শর্ত ছিল, গাছের ক্ষতি না করে ফল পেড়ে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু সেই কর্তব্যে কেউই আগ্রহ দেখায়নি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Delhi Diary Rahul Gandhi Karnataka Assembly Election Congress DK Shivakumar indian politics

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।