দিল্লি ডায়েরি। ফাইল ছবি।
কিছুটা পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সফল হলেন না কেন্দ্রীয় সরকারের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ যখন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে প্রাথমিকে নিয়োগ-দুর্নীতির দু’টি মামলা সরানোর রায় দিচ্ছে, তখন সরব হয়েছিলেন মেহতা। বলেছিলেন, বিচারপতিদের মাথা নত করতে হচ্ছে, এমন কোনও ভুল বার্তা যেন না যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা থেকে হাই কোর্টের বিচারপতিদের নিশানা করেছিলেন বলেও জানান তিনি। কিন্তু এর পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে তাঁর বিষয়ে নথি চেয়ে নির্দেশ জারি করেন। তা নিয়ে আবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চে শুনানি হয়। সেখানে সলিসিটর জেনারেলের সাহায্য চাওয়া হয়। মেহতাকে তখন বলতেই হয়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওই নির্দেশ জারি না করলেই পারতেন।
আমার হাসি পাচ্ছে না
জার্মানির জনপ্রিয় সাপ্তাহিক পত্রিকা দর স্পিগাল-এ প্রকাশিত একটি কার্টুন দেখে মুখ গোমড়া সাউথ ব্লকের। সে কার্টুনে পাশাপাশি দেখানো হচ্ছে ভারত এবং চিনের দু’টি ট্রেন। ভারতীয় ট্রেন থেকে লোক ঝুলে পড়ছে, আর চিনেরটি দিব্যি ছিমছাম। জনসংখ্যায় চিনকে ভারত টপকানোর পরই প্রকাশিত এই কার্টুন। নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ফিলিপ অ্যাকেরম্যান সম্পর্ক সামলাতে মাঠে নেমেছেন! বলেছেন, দিল্লির মেট্রো এবং রেলব্যবস্থা জার্মানির চেয়েও ভাল। ওই পত্রিকার কার্টুনিস্টকে তিনি নেমন্তন্ন করেছেন এখানে এসে এক বার চড়ে যেতে। রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য, ওই কার্টুন মোটেই মজাদার ঠেকেনি তাঁর কাছে!
মনের কথা
দু’দিন দেরিতে হলেও ‘মন কি বাত’-এর শততম সম্প্রচারে শামিল হল জাপান। বুধবার নয়াদিল্লির জাপান দূতাবাস টুইট করে মোদীর ‘সেঞ্চুরি’তে হর্ষ প্রকাশ করেছে। মোদীর ৮৯তম সম্প্রচারের পর জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজ়ো আবের দেওয়া বার্তাটিকে স্মরণ করা হয়েছে টুইটে। ওই সম্প্রচারে মোদী এশিয়ার বিভিন্ন মঞ্চে রামায়ণ এবং মহাভারত অভিনয় করা জাপানি শিল্পীদের অভিনন্দিত করে ভারত-জাপান সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে তুলে ধরেছিলেন। তখন খুশি হয়ে বার্তা দেন আবে। টুইটের প্রত্যুত্তরে মোদী লিখেছেন, “এত প্রশংসার জন্য এবং আমার বন্ধু প্রয়াত শিনজ়ো আবেকে স্মরণ করার জন্যও ধন্যবাদ জানাই।”
জবাব মিলবে না
অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির ব্যস্ততার শেষ নেই। এক দিকে তিনি রাহুল গান্ধীর হয়ে গুজরাত হাই কোর্টে মামলা লড়ছেন। অন্য দিকে, সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হয়ে। সমলিঙ্গের বিবাহ সংক্রান্ত মামলাতেও তাঁকে দেখা যাচ্ছে। তৃণমূলের হয়ে আদালতে সওয়াল করার জন্য রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ মনু সিঙ্ঘভি অবশ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র হিসাবে এআইসিসি-র সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনও করছেন। রাজ্যসভার আর এক কংগ্রেস সাংসদ সাংবাদিকদের ‘দুষ্টু বুদ্ধি’ দিয়েছিলেন, সমলিঙ্গে বিবাহ বিষয়ে কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে মনু সিঙ্ঘভিকে প্রশ্ন করে তাঁকে বিপাকে ফেলা যেতে পারে! পরে অবশ্য বুঝতে পারলেন, সে পথে সুবিধা হবে না— তিনি এই মামলার আইনজীবী, এই অজুহাতে সিঙ্ঘভি মন্তব্য এড়িয়ে যাবেন।
শতায়ুর মতদান
শতায়ু এক ভোটার অভিনন্দিত হলেন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ফোন করে তাঁকে ধন্যবাদ দিয়ে জানান, এই প্রবীণরাই যুবাশক্তির সামনে অনুপ্রেরণা। কর্নাটকে নির্বাচনের নির্দিষ্ট দিনের আগেই অশীতিপর ভোটাররা ডাক-ব্যালটে ভোটদান শুরু করেছেন। এই রকমই এক জন মহাদেব মালি। বয়স ১০৩ বছর। পরম উৎসাহে প্রিয় দল ও প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন বেলগাভি থেকে। কর্নাটকে এ বার প্রথম ডাক-ব্যালট চালু হল। সে জন্য রাজীব কুমারকে ফোনে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মহাদেব। সেই সঙ্গে বলেছেন, গত বেশ কয়েক বছর ধরে নির্বাচন হলে তিনি হুইলচেয়ারে করে ভোটকেন্দ্রে গিয়েছেন। শুনে চমৎকৃত রাজীব কুমার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy