E-Paper

দিল্লি ডায়েরি: রাজধানী সরগরম, আমলারা ক্লান্ত

প্রায় চল্লিশ দেশের মন্ত্রী-কর্তারা আমন্ত্রিত জি২০-র বৈঠকে। এ বারের বৈঠক হল রাষ্ট্রপতি ভবনে। একই সঙ্গে তিনটি বড় মাপের সাংবাদিক সম্মেলন।

A Photograph of  Delhi Diary

দিল্লি ডায়েরি। ফাইল ছবি।

অগ্নি রায়, প্রেমাংশু চৌধুরী,  অনমিত্র সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৩ ০৫:২৬
Share
Save

গত বেশ কয়েক বছরে বিদেশ মন্ত্রকের এমন তোলপাড় ব্যস্ততা চোখে পড়েনি রাজধানীর। বৃহস্পতিবারের গোটা দিনটা যেমন কাটল। একে প্রায় চল্লিশ দেশের মন্ত্রী-কর্তারা আমন্ত্রিত জি২০-র বৈঠকে। এ বারের বৈঠক হল রাষ্ট্রপতি ভবনে। লাটিয়েন্স-এর দিল্লির রাজপথ যেমন কাট আউট আর ফুলের ফোয়ারায় বিমোহিত, তেমনই বিধ্বস্ত ভিআইপি-দের যাতায়াত-জনিত যানজটে। অন্য দিকে, ইটালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হায়দরাবাদ হাউসে। সন্ধ্যা থেকে শুরু হল তিন দিনের রাইসিনা সংলাপ, সেখানেও প্রধান অতিথি মেলোনি। প্রায় একই সঙ্গে তিনটি বড় মাপের সাংবাদিক সম্মেলন। একটি হায়দরাবাদ হাউসে মোদী-মেলোনির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে। অন্য দু’টি নবনির্মিত সুষমা স্বরাজ ভবনে, জি২০-র বিদেশমন্ত্রীদের সমাবেশ নিয়ে। আমলারা একের পর এক বৈঠক ও দৌড়ঝাঁপে ক্লান্ত। এক আমলা রসিকতা করে অন্য আমলাকে বললেন, “আমি দ্বিপাক্ষিক-বিশারদ, মেলোনির সাংবাদিক বৈঠকে থাকতেই হবে। আপনি বহুপাক্ষিকের লোক। জি২০-তে থাকুন। আমি আর ওখানে যাচ্ছি না!”

একটি কবিতাময় সন্ধ্যা

দিনগত রাজনৈতিক ব্যস্ততাকে পাশে সরিয়ে রেখে এক সন্ধ্যায় কবিতাযাপন করলেন মুখতার আব্বাস নকভি। বিজেপির বর্ষীয়ান নেতার কাব্যপ্রেম অজানা নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কবিমনস্ক আমলাদের আয়োজিত সম্মেলনে অতিথি ছিলেন নকভি। সংস্থাটির নাম ‘এক সোচ সাথিয়া ফাউন্ডেশন’। কোভিডের সময় দুঃস্থদের সহায়তার জন্য তৈরি হয়েছিল এই সংস্থা। এখন নানান সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত।

ব্যস্ততা: দিল্লিতে বিদেশমন্ত্রীদের জি২০ বৈঠক।

ব্যস্ততা: দিল্লিতে বিদেশমন্ত্রীদের জি২০ বৈঠক। ছবি: রয়টার্স।

অভিনন্দন

মেঘালয়ে কংগ্রেসের এক ডজন বিধায়ককে ‘হাইজ্যাক’ করে তৃণমূল নিজেদের দল গড়েছিল। তৃণমূলের আশা ছিল, মুকুল সাংমা এ বার মেঘালয়ে জোড়াফুল ফোটাবেন। সংসদে তৃণমূলের এক সাংসদ তাঁর বন্ধু কংগ্রেস সাংসদকে বলেছিলেন, “আমরাই সরকার গড়তে চলেছি মেঘালয়ে। যদি দু’একটা আসন কম পড়ে, তোমাদের দরকার পড়বে।” ফল প্রকাশের পর দেখা গেল, কংগ্রেস ও তৃণমূল দুই দলই পাঁচটি আসনে আটকে রয়েছে। কংগ্রেসের সেই স্বভাবরসিক সাংসদ তৃণমূলের বন্ধুকে মেসেজ পাঠালেন, “মেঘালয়ে বিপুল আসনে জিতে সরকার গড়তে যাওয়ার জন্য তৃণমূলকে অভিনন্দন।” তৃণমূলের সাংসদ উত্তরে লিখলেন, “তোমার কটাক্ষ মাথা পেতে গ্রহণ করলাম।”

বসবেন কোথায়?

লোকসভায় আসন নিয়ে বেজায় মুশকিলে পড়েছেন সাংসদ অর্জুন সিংহ। ছিলেন বিজেপি সাংসদ। কিন্তু মাস কয়েক আগে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। লোকসভায় তাঁর আসন পাল্টে গিয়েছে। বিরোধী শিবিরের সাংসদদের সঙ্গে বসার ব্যবস্থা হয়েছে ব্যারাকপুরের সাংসদের। কিন্তু তাতেও আপত্তি তাঁর। এ দিকে বসতে পারছেন না শাসক দলের সাংসদদের সঙ্গেও। কী করা যায়, জানতে প্রশ্ন করেছিলেন প্রাক্তন দলের নেতা দিলীপ ঘোষকে। তাঁর সহাস্য পরামর্শ, লোকসভায় বসতে ইচ্ছা না হলে সেন্ট্রাল হলে বসুন।

অভ্যর্থনা: ছত্তীসগঢ়ে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী

অভ্যর্থনা: ছত্তীসগঢ়ে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ফাইল ছবি।

গোলাপ ও কাঁটা

দু’কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা জুড়ে শুধুই গোলাপের পাপড়ি। প্রায় ছ’হাজার কেজি গোলাপ ফুল নাকি ব্যবহার হয়েছিল রায়পুর বিমানবন্দর থেকে শহরে যাওয়ার রাস্তা মুড়ে দিতে। ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে কংগ্রেসের প্লেনারি অধিবেশনে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে এ ভাবেই স্বাগত জানানো হল। কংগ্রেসে প্রিয়ঙ্কার আস্থাভাজন বলে পরিচিত ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল। দাদা ও মায়ের তুলনায় প্রিয়ঙ্কার অভ্যর্থনা জুটল বেশি। তাঁর গাড়ি বেরিয়ে যাওয়ার পরে দুই কংগ্রেস নেতার গাড়ির চাকা গোলাপের পাপড়িতে পিছলে ঠোকাঠুকি হয়ে গেল। গোলাপ থাকলে যে কাঁটাও থাকে!

খিচুড়ি খেতে ভালই

হাপুস-হুপুস করে খিচুড়ি খেলেন বিল গেটস। তাও নিজের হাতে বানানো। নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের পোষণ (পুষ্টি) সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে। গেটসকে শ্রীঅন্ন খিচুড়ি বানানো শেখান মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। রান্না শেষে সেই খিচুড়ি একটি বাটিতে বিলের হাতে তুলে দেন স্মৃতি। নিমেষে বাটি সাফ করে দেন বিল।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Delhi Diary PM Narendra Modi sonia gandhi G20 summit Rashtrapati Bhavan

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।