দিল্লি ডায়েরি। ফাইল চিত্র।
শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের ঘরে জমায়েত হয়েছেন বিরোধী দলের সংসদীয় নেতারা। দীর্ঘ দিন পর তাতে যোগ দিয়েছে তৃণমূল। হাজির লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা প্রসঙ্গে খড়্গে সুদীপের কাছে জানতে চাইলেন, মহামতি গোখলে কলকাতায় কত দিন থাকতেন, মহারাষ্ট্রেই বা কত দিন? সুদীপ জানান, এই দু’জায়গাতেই ভাগ করে থাকতেন বটে, কিন্তু তিনি বাংলা নিয়ে যা বলে গিয়েছেন, সেটাই এখনও সবার অনুসরণ করা উচিত! এর পর সেই প্রবাদ বাক্যটি বলে ওঠেন সুদীপ। ‘আজ বাংলা যা ভাবে, ভারত তা ভাববে আগামী কাল।’ বৈঠকের পর রসিকতা করে সুদীপ খড়্গেকে ধন্যবাদ জানান, এ রকম একটি লোপ্পা বল তাঁকে দেওয়ার জন্য!
ইংরেজি বলেন না
তিনি হিন্দি বলেন। মরাঠি বলেন। ইংরেজি বলেন না। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের উদ্ধব ঠাকরের সরকার ফেলে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে সরকার গড়ে উপমুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসতে রাজি হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র। বাজেটের প্রস্তুতি নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে দিল্লি এসেছিলেন। বেরিয়ে মরাঠি সাংবাদিকদের সঙ্গে মরাঠিতে কথা বললেন। দিল্লির সাংবাদিকদের সঙ্গে হিন্দিতে। কিন্তু ইংরেজিতে বলার অনুরোধ করতেই দেবেন্দ্র জানিয়ে দিলেন, তিনি ইংরেজি বলেনই না!
নামের সুরভি
নয়াদিল্লি আন্তর্জাতিক সালিশি কেন্দ্রের নাম পাল্টে ভারত আন্তর্জাতিক সালিশি কেন্দ্র রাখার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে রাজ্যসভায়। যে-হেতু দিল্লিতে সালিশি কেন্দ্র একাধিক রয়েছে, তাই নাম বিভ্রাট এড়ানোর জন্যই এই বিল। সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের প্রশ্ন, ২০১৯ সালের আইনের নাম কেন তিন বছর লাগল পাল্টাতে? তার পর শেক্সপিয়রের উদ্ধৃতি দিলেন, “নামে কী আসে যায়! গোলাপ ফুলকে অন্য নামে ডাকলেও তার সুরভি একই থাকে!” সুখেন্দুশেখরবাবুর লক্ষ্য ছিলেন আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।
অর্থ থেকে স্বরাষ্ট্রে?
সংসদে আলোচনা হচ্ছিল বাজেটে অতিরিক্ত বরাদ্দ ঘিরে। বক্তা তৃণমূলের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। সারের অপ্রতুলতা, একশো দিনের কাজে কেন্দ্রীয় অনুদান না আসা নিয়ে বারংবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বদলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন অপরূপা। হস্তক্ষেপ করেন ডেপুটি স্পিকার রমা দেবী। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নন, অর্থমন্ত্রী হবে। তত ক্ষণে হাসতে শুরু করেছে গোটা লোকসভা। মুচকি হাসছেন নির্মলা সীতারামনও। ভুল বুঝতে পারেন অপরূপাও। ‘সরি, সরি, সরি’ বলে অপরূপা বলে ওঠেন, এখন অর্থমন্ত্রী আছেন, অথর্মন্ত্রীর পরে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও হতে পারেন। হেসে ওঠেন অন্য সাংসদেরা।
রিঙ্কিয়া কে পাপা
তিনি প্রথমে অভিনেতা। তার পর গায়ক। এর পর সঙ্গীত পরিচালক। সব শেষে রাজনীতিক। নিজের পরিচয় এমন ভাবেই দিয়ে থাকেন মনোজ তিওয়ারি। ভোজপুরি সিনেমার গায়ক-নায়ক বহু দিন ধরেই রাজনীতিতে। এক সময় দিল্লিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন। এখন উত্তর-পূর্ব দিল্লির সাংসদ। দিল্লিতে বিহার ও উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দাদের ভোট টানতে তিনিই ভরসা বিজেপির। এ বার দিল্লি পুরসভা ভোটে জয়ের জন্য বিজেপি এই গায়ক-নায়কের জনপ্রিয়তার উপরে অনেকখানি ভরসা করেছিল। বিজেপি আম আদমি পার্টির কাছে হারলেও মনোজের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। ভোটের ফলের দিন আম আদমি পার্টির দফতরে দেখা গেল, বিরাট স্ক্রিনে মনোজের ‘রিঙ্কিয়া কে পাপা’ গানের মিউজ়িক ভিডিয়ো চলছে। আম আদমি পার্টির সমর্থকরা তার সঙ্গেই উদ্দাম আনন্দনৃত্য করছেন। ভোটের ফলের পরেই মনোজের ঘরে কন্যাসন্তান এসেছে। গায়ক নায়ক নেতা সত্যিই ‘পাপা’ হয়েছেন।
মাঠে এ বার নামো সাথি
তীব্র দলীয় কোন্দলে ভুগছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তার মধ্যে বিতর্ক বাড়িয়েছে তারিখ রাজনীতি। যাকে কেন্দ্র করে আলাদা করে ঝামেলা বেধেছে শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষের। এরই মধ্যে সংসদের সেন্ট্রাল হলে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা বাংলার এক কংগ্রেস সাংসদের। দিলীপকে দেখেই তিনি বলে ওঠেন, “আরে তুমি মাঠে নামো। তুমি এখানে কেন? তোমার মেঠো কথাই বাংলার মানুষের মনের কথা। তৃণমূলের মতো দলকে টক্কর দেওয়ার জন্য তুমিই যোগ্য ব্যক্তি।” হেসে দিলীপ বলেন, দল যা চাইবে সেই ভাবে কাজ করব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy