দিল্লি ডায়েরি।
দিল্লির রাজনৈতিক জীবনে একদা সতীর্থ হলেও, পরে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারণে মায়াবতীই প্রধান শত্রু হয়ে উঠেছিলেন মুলায়মের। লখনউ গেস্ট হাউসে মায়াবতীর বৈঠক চলাকালীন সেখানে সমাজবাদী পার্টির লোকজন গিয়ে অশান্তি করে। সেই গেস্ট হাউস কাণ্ডের পর দু’জনের মধ্যে তিক্ততা দেখা দেয়। সেই বরফ নাকি অনেকটাই গলে লখনউ-দিল্লি বিমানযাত্রায়। সম্প্রতি মুলায়ম সিংহ যাদবের মৃত্যুর পরে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন এক শীর্ষ এসপি নেতা।
তাঁর দাবি, দুই নেতা-নেত্রীর মধ্যে বিরোধিতা তখন চরমে। মুখ দেখাদেখি বন্ধ। রাজধানীর বিমানে মুলায়ম আগেই উঠে পড়েছিলেন। পরে ওঠেন মায়াবতী। মায়াবতীকে তাঁর কাছাকাছি বসতে দেখে মুলায়ম সেই যে খবরের কাগজ মেলে ধরলেন, সেই কাগজ ভাঁজ হল বিমান দিল্লি অবতরণের পরে। কিন্তু নামার সময় বিপত্তি। নামতে গিয়ে মুলায়ম-মায়াবতী এক সঙ্গে উঠে দাঁড়ান। কে আগে আর কে পরে যাবেন তা নিয়ে ইতস্তত করছেন উভয় পক্ষই। শেষে মুলায়মকে দেখে মায়াবতী বলে ওঠেন, “আপনি প্রবীণ মানুষ। আপনি আগে যান।” মুলায়ম সঙ্গে সঙ্গে বলেন, “তা কী করে হয়, আপনি আমার বোন। বোনকে ছেড়ে কী ভাবে দাদা যেতে পারে। আপনি আগে যান, পিছনে আমি আসছি।” যুক্তি মেনে নেন মায়াবতী। অনেকেই মনে করেন, প্রায় এক দশক বন্ধ থাকার পরে বিমানের ওই কথাবার্তাই কিছুটা হলেও দু’জনের সম্পর্ককে সহজ করেছিল। যার জেরে পরবর্তী সময়ে মুলায়ম-মায়াবতীর দলকে ফের একজোট হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে দেখা যায়।
প্রথম প্রেম ফুটবল
তাঁর প্রথম প্রেম ফুটবল, এবং এখনও তাঁর সেই পুরনো ‘টাচ’ হারাননি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। সম্প্রতি ক্রীড়া ও তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের অনুরোধে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন রিজিজু। ভারতে অনুষ্ঠিতব্য অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার প্রচারের জন্য বানানো হয়েছে এই ভিডিয়ো। নিজের বাংলোর পিছনের জমিতে পঞ্চাশ বছরের রিজিজু সেই ভিডিয়োতে তাঁর ফুটবল দক্ষতা ও ফিটনেসের কিছু ঝলক দেখিয়েছেন।দেখা যাচ্ছে, তিনি বলে হালকা টোকা মেরে উপরে তুলে সেটা কপালে নিলেন! ফুটবলের পরিভাষায় একেই বলে ‘রেনবো ফ্লিক’! ফুটবল ছাড়াও যে তিনি ব্যাডমিন্টন এবং অ্যাথলেটিক্স-এ গভীর ভাবে আগ্রহী, সে কথাও লেখা রয়েছে রিজিজুর সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলে।
স্পেকট্রাম ও আত্মারাম!
টেলিকম বিলের খসড়ায় স্পেকট্রামকে আত্মার সঙ্গে তুলনায় অনেকেই নড়েচড়ে বসেছেন। ব্যাপারখানা কী? খোঁজ করতে দেখা গেল ক’দিন আগেই টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব একটি আলোচনাচক্রে এই ব্যাখাটি দিয়ে রেখেছিলেন। তাঁর কাছে যখন বিশেষজ্ঞরা জানতে চান, স্পেকট্রামকেসম্পদ হিসাবে কী ভাবে দেখা যায়, তিনি আত্মার প্রসঙ্গ পাড়েন! মন্ত্রিমশাইয়ের ব্যাখ্যা, আত্মার মতোই স্পেকট্রাম ব্যবহারে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না, সে সর্বত্র বিরাজমান, তার কোনও শারীরিক রূপ নেই এবং সে অবিনশ্বর! বিলের খসড়ায় স্পেকট্রাম প্রসঙ্গে সেই একই কথা রয়েছে!
কাছের মানুষ রাষ্ট্রপতি
তখন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাও বলার মতো কথা খুঁজে পাচ্ছেন না! বলবেনই বা কী করে! সামনে দাঁড়িয়ে প্রায় তিনশো মহিলার সঙ্গে দফায় দফায় সাঁওতালি ভাষায় অনর্গল সুখদুঃখের গল্প করে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আগরতলায় দুর্গাবাড়ি টি এস্টেট-এর নারীকর্মীদের তাঁদের মাতৃভাষার মাধ্যমে এ ভাবেই সম্প্রতি আপন করে নিলেন মুর্মু। মহিলাদের কাছে জানতে চাইলেন, তাঁরা তাঁদের সন্তানদের (বিশেষ করে মেয়েদের) স্কুলে পাঠাচ্ছেন কি না। অনেকেই যখন জবাবে, ‘হ্যাঁ’ বললেন, রাষ্ট্রপতি তাঁদের নারীশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাঁদের সামাজিক এবং পেশাগত ক্ষেত্রের বিভিন্ন অভাব অভিযোগের কথা শুনে মুর্মু মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন, সেগুলি খতিয়ে দেখতে হবে।
পাকিস্তানের ক্রিম!
বেদম চমকে গিয়েছেন পীযূষ গয়াল। তিনি নিজে উপভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য এবং গণবণ্টন মন্ত্রী। আর তাঁর বাড়িতেই অযাচিত ভাবে ‘মেড ইন পাকিস্তান’ শেভিং ক্রিম! মন্ত্রিমশাইয়ের পরিবার মুদির দোকানে মাসকাবারি জিনিসের অর্ডার দেয়। তাতে অন্য সব বস্তুর সঙ্গে আসে একটি রহস্যময় ক্রিম, যার উৎপাদন কোন দেশে হয়েছে, সেটি ঊহ্য! নজর পড়তে তাঁরা খোঁজখবর নিয়ে দেখেন শেভিং ক্রিমটি পাকিস্তানের। পীযূষ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। মন্ত্রকের কর্তাদের জানিয়েছেন খোঁজখবর নিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy