যিনি রাজ্য চালান, তিনি শাটারও টেপেন! দিল্লির কস্তুরবা গাঁধী মার্গে নতুন মহারাষ্ট্র সদনের দেওয়ালে কোথাও রাজগড় কেল্লা, কোথাও জয়দুর্গ। কোথাও আরব সাগরের মাঝে দ্বীপের মধ্যে সিন্ধুদুর্গ কেল্লা। কোনও দিকে লোনার হ্রদ। সব ছবিই হেলিকপ্টার থেকে তোলা।
ফোটোগ্রাফারের নাম উদ্ধব ঠাকরে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিতে মহারাষ্ট্র সরকারের অতিথিশালায় মুখ্যমন্ত্রীর তোলা মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গার ছবি। উদ্ধব বহু দিন ধরেই ক্যামেরা কাঁধে দেশেবিদেশে ঘুরে বেড়ান। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে সুন্দরবনেও গিয়েছেন বাঘমামাদের ছবি তুলতে।
পুত্র আদিত্যরও ছবি তোলার শখ। ইনস্টগ্রামেও উদ্ধব প্রায়ই আইফোনে তোলা ছবি শেয়ার করেন। এখন মহারাষ্ট্র সদনও মুখ্যমন্ত্রীর তোলা ছবির স্থায়ী প্রদর্শনী হয়ে উঠেছে।
স্বামীর লোকশিক্ষা
দিল্লির হিন্দু কলেজ থেকে অঙ্কে স্নাতক। তার পর কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে স্ট্যাটিস্টিক্সে মাস্টার্স ডিগ্রি। হার্ভার্ড থেকে অর্থনীতিতে পিএইচ ডি। সুব্রহ্মণ্যম স্বামী জনতা পার্টি থেকে বিজেপিতে এসে নাম লিখিয়েছেন বহু দিন। পাঁচ বছর আগে তাঁকে রাজ্যসভায় মনোনীত করে আনার পরে প্রবল জল্পনা তৈরি হয়েছিল, নরেন্দ্র মোদী কি তাঁকে অর্থমন্ত্রী করবেন? এত দিনে সে জল্পনা জলে ভেসে গিয়েছে। কিন্তু সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর মনে যে দেশের অর্থমন্ত্রী হওয়ার বাসনা রয়েছে, তা তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানেন। কিন্তু শিকে ছেঁড়ার আশা বিশেষ নেই। ইদানীং বেশ কয়েক বার প্রধানমন্ত্রী তথা মোদী সরকারের সমালোচনাও করেছেন। অর্থমন্ত্রী হওয়ার আশা কি তিনি ছেড়ে দিলেন? তবে অর্থমন্ত্রী না হলেও, স্বামী এ বার অর্থনীতির ক্লাস নিতে শুরু করছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিরাট হিন্দুস্থান সঙ্গম-এর আয়োজনে অনলাইনে অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় ধরে ধরে ক্লাস শুরু করছেন স্বামী। আমজনতা থেকে রাজনীতিবিদ, সকলের জন্যই তাঁর ক্লাস খোলা।
গানের ডোজ়
তিনি মুখ খুললেই বিতর্ক, এ সকলের জানা। কিন্তু তিনি মুখ খুললে যে মান্না দে-র গানও, তা ক’জন জানে! হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ তাঁর উল্টোপাল্টা মন্তব্যের জন্য বিখ্যাত। বিজেপির এই নেতা কখনও গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণার দাবি করেন। কখনও আবার কংগ্রেস নেতাদের ‘আংরেজো কি অউলাদ’ বলে গাল পাড়েন। মুখ্যমন্ত্রী হতে চাইলেও হতে পারেননি। সম্প্রতি করোনায় ভুগে সুস্থ হয়ে উঠে বন্ধুবান্ধবদের বাড়িতে আড্ডায় ডেকেছিলেন। সেখানেই গান ধরলেন, ‘কসমে, ওয়াদে, পেয়ার, ওয়াফা সব বাতেঁ হ্যায়, বাতোঁ কা কেয়া!’ গান শুনে হাততালি থামে না। বিতর্কিত মন্তব্যও থামেনি। করোনার টিকার এক ডোজ় নিয়ে বলেছেন, শরীরে যথেষ্ট অ্যান্টিবডি রয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ় না নিলেও চলবে।
বিবাহ অভিযান
কংগ্রেসের মধ্যে কোঁদল চলছে। তারই মধ্যে কংগ্রেসের নেতাদের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানও চলছে। কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র, হালফিলে রাহুল গাঁধীর শিবিরে গুরুত্বপূর্ণ মুখ হয়ে উঠেছেন রণদীপ সুরজেওয়ালা। তাঁর বড় ছেলে অর্জুনের বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। সুরজেওয়ালা এখন এআইসিসি-তে কর্নাটকের দায়িত্বে আছেন। বিয়েতে সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়াও এসেছিলেন। আবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহের নাতনি সেহরিন্দর কউরের বিয়ে হল দিল্লির ব্যবসায়ী দেভিন নারাঙ্গের পুত্র আদিত্যর সঙ্গে। সেখানে হুল্লোড় করতে দেখা গেল অভিনেতা সেফ আলি খানের পুত্র ইব্রাহিম আলি খানকে। আর মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র? তিনি নাতনি, জামাইয়ের পাশে বসে পঞ্জাবি বিয়ের গান ধরলেন। তাঁকে দেখে মুচকি হাসলেন স্ত্রী, কংগ্রেসের নেত্রী পরণীত কউর।
তামিলে তারিফ
ভোট কড়া নাড়লে, রাজপুতেও তামিল বলে! বিধানসভা নির্বাচনের মুখে উত্তরপ্রদেশের রাজপুত বংশীয় নেতা রাজনাথ সিংহ তামিলনাড়ুর জনসভায় বক্তৃতা শুরু করলেন, ‘ভারাক্কম’ (তামিল সম্বোধন) বলে। তামিলে যুদ্ধের ডাক দিলেন (‘ভেত্রিভেল ভিরাভেল’)। মনে করালেন ভারতীয় নৌসেনা গঠনে চোল রাজবংশের ভূমিকা, বললেন তামিল সংস্কৃতি ভারতীয় সংস্কৃতির ‘আম্মা’। জনতাকে তাঁর প্রশ্ন, বিজেপির বিরোধী দল ‘নাল্লাভারা’ না ‘কেট্টাভারা’ (কমল হাসনের নায়কন-এর সংলাপ। অর্থ, ‘ভাল না খারাপ?’)? বিজেপির তামিল শাখা রাজনাথের বক্তৃতায় আপ্লুত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy