কেরল জয় করে দিল্লি এলেন পিনারাই বিজয়ন
কেরলে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলায়। সেই নিয়ম ভেঙে সিপিএমের পিনারাই বিজয়ন দ্বিতীয় বার মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে ফিরেছেন। রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে সম্প্রতি রাজধানী এসেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কুড়ি মিনিটের বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী তাঁকে জানিয়েছেন যে, রাজনৈতিক যুদ্ধের মধ্যেও উন্নয়নের কথা মাথায় রাখতে হয়। পিনারাইও মোদীকে জানালেন, ভোটের দ্বৈরথ শেষ, এ বার ‘কাজের’ কথা হোক। কোভিডের দূরত্ববিধি সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী কেরলের একটি শাল পরিয়ে মোদীকে সংবর্ধিত করতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী সানন্দে তা গ্রহণ করেন।
ভোটে জয়ের পরে প্রথম বার রাজধানীতে আসায় পিনারাইকেও কেরল হাউসে সংবর্ধনা দিল তাঁর দল, সিপিএমের দিল্লি রাজ্য কমিটি। হাজির ছিলেন প্রকাশ কারাট। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তপন সেন, হান্নান মোল্লার মতো বাংলার নেতারাও। দিল্লির হিংসায় আক্রান্তদের পরিবারের জন্য কেরলে সিপিএম চাঁদা সংগ্রহ করেছিল। বৃন্দা কারাটের উদ্যোগে সেই অর্থ আক্রান্তদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। আক্রান্তদের পরিবারের তরফেও অনেকে পিনারাইকে শ্রদ্ধা জানাতে এলেন। তবে সভার শেষে কমরেডদের আড্ডায় একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খেল। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভবিষ্যতে আবার কি কোনও সিপিএমের মুখ্যমন্ত্রীকে দিল্লিতে এসে বিজয় সংবর্ধনা নিতে দেখা যাবে? সেই উত্তরের শূন্যস্থান পূরণ হল না। বিধানসভার আসন সংখ্যার মতো তা শূন্যই রইল!
বিদ্যা দদাতি বিনয়ম্
সুপ্রিম কোর্ট, হাই কোর্টে কখনও কখনও বিচারপতিদের এজলাসে হাজির হতে কিঞ্চিৎ দেরি হয়। আইনজীবী, মামলাকারীরা অপেক্ষা করে থাকেন। কিন্তু বিচারপতিরা নিজেদের আসনে দেরি করে বসলেও তার কোনও ব্যাখ্যা দেন না। সুপ্রিম কোর্টেও হালফিলে কোনও বিচারপতি দেরি করে এলেও তার ব্যাখ্যা দিতে দেখা যায়নি। ব্যতিক্রম বিচারপতি ধনঞ্জয় যশবন্ত চন্দ্রচূড়। যখনই কোনও কারণে তাঁর এজলাসে বসতে দেরি হয়, তিনি নিজেই আইনজীবীদের কারণ ব্যাখ্যা করেন। দুঃখপ্রকাশও করেন। বিচারপতির এমন অমায়িক আচরণে বাঘা বাঘা আইনজীবীরাও অস্বস্তিতে পড়ে যান। এই সপ্তাহেই এক দিন দশ মিনিট দেরি হওয়ায় তিনি এসেই বললেন, তিনি বেঞ্চের অন্য বিচারপতির সঙ্গে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত মামলাগুলো নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তাতেই দেরি!
হুজুরের হুকুমে
সযত্ন লালিত বপুর কোনও কৌলীন্যই থাকল না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে! নতুন সিবিআই অধিকর্তা সুবোধ জয়সওয়াল এসেই অধস্তন কর্তাদের ঘাম ঝরাতে শুরু করিয়েছেন। পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন এক ইনস্পেক্টরের বিরাট ভুঁড়ি! ওই বেচারার ‘অপরাধ’-এ সবার ফিটনেস বাড়ানোর নির্দেশ জারি করেছেন! তিনি যে কড়া ধাতের মানুষ, তা দায়িত্ব নেওয়ার সময়ই বোঝা গিয়েছিল। হাজার অনুরোধেও ছবি তোলার সময় মাস্ক নামাননি। বলেছেন, কোভিড প্রোটোকলের বাইরে কোনও কাজ করবেন না।
দুই রাজ্য, এক থালি
নয়াদিল্লিতে সব রাজ্যেরই একটি করে সরকারি অতিথিশালা রয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রী-আমলারা দিল্লিতে এলে এই সব অতিথিশালাতেই থাকেন। রাজ্যের অনেক মানুষও দিল্লিতে এসে হোটেলে না থেকে এখানেই মাথা গোঁজেন। কারণ, সেখানে রাজ্যের খাবার মেলে। দিল্লিতে ঠাঁই নেওয়া ভিন্রাজ্যের বাসিন্দারাও নিজের রাজ্যের খাবারের সন্ধানে এই সব অতিথিশালার ক্যান্টিনে ভিড় জমান। এর মধ্যে খাবারের দিক থেকে সবচেয়ে জনপ্রিয় অশোক রোডের অন্ধ্র ভবনের ক্যান্টিন। রাজ্য ভাগ হয়ে এখন তা অন্ধ্র ও তেলঙ্গানা ভবন। কিন্তু হায়দরাবাদি বিরিয়ানি বা অন্ধ্র থালির জন্য ক্যান্টিনের বাইরের লাইনে ভাটা পড়েনি। কোভিডের প্রথম ঢেউ, দ্বিতীয় ঢেউ সামলে ফের ক্যান্টিন দরজা খুলেছে। সংসদের বাদল অধিবেশনের ঠিক আগে। খাদ্যরসিক দিল্লিবাসী তো বটেই, দিল্লিতে এসে অন্ধ্র-তেলঙ্গানার সাংসদদের মুখেও বিরিয়ানি, থুড়ি, হাসি ফুটেছে।
রাষ্ট্রপতি ও সৌরশক্তি
সৌরশক্তিতে বলীয়ান হল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের জন্মভিটে। কানপুর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে কোবিন্দের গ্রাম পরৌঙ্খ। উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং একটি বেসরকারি সংস্থার যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি গোটা গ্রাম সৌরশক্তির অধীনে এল। রাষ্ট্রপতির বড় ভাই রামস্বরূপের উপস্থিতিতে তাঁদের পিতৃপুরুষের বাড়ি ‘মিলন কেন্দ্র’-এর ছাদে ৫ কিলোওয়াটের একটা প্ল্যান্ট বসানোর কাজ শেষ হল। উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রপতি স্বয়ং।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy