‘গ্যারান্টি’র কপিরাইট নিয়ে বেজায় ফ্যাসাদে দিল্লিতে কংগ্রেস দল। দলের দাবি, তারাই ভোট প্রচারে গ্যারান্টির আবিষ্কর্তা! কর্নাটক এবং তেলঙ্গানার ভোটে কংগ্রেসই এই মন্ত্র উচ্চারণ করেছিল প্রথম। কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদী সেটাই টুকে দিয়েছেন লোকসভার ভোটে। কিন্তু এ বার যখন দিল্লিতে লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ঘনিয়ে আসছে, আপ ঘোষণা করে বসেছে কেজরীওয়ালের গ্যারান্টি! মোদী এবং কেজরীওয়ালের গ্যারান্টির মধ্যে বিপাকে পড়েছে সনিয়া-রাহুল-মল্লিকার্জুন খড়্গের দল। কংগ্রেস মুখপাত্র জোর গলায় বলছেন গ্যারান্টি নিয়ে মোদীর নকলনবিশির কথা, কিন্তু আপ দিল্লিতে তাঁদের অত্যন্ত স্পর্শকাতর জোটসঙ্গী। বহু বিষয়ে মতভেদ এবং দীর্ঘ লড়াইয়ের পরেও বিজেপিকে হটাতে এই দুই দল জোট বেঁধেছে। ফলে প্রকাশ্যে কিছু বলাও চলে না, আবার আপ-এর স্লোগানকে সমর্থনও করা চলে না। কারণ, তাতে কংগ্রেসের নিজেদের গ্যারান্টি ফিকে দেখাবে। সমস্যা আরও বেড়েছে, কারণ সূত্রের খবর, কংগ্রেসের অন্তত দু’জন প্রার্থী তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় সুবিধা পাওয়ার জন্য নাকি ‘কেজরীওয়াল কি গ্যারান্টি’ স্লোগান তুলতে বাড়াবাড়ি রকমের আগ্রহ দেখিয়েছেন!
মিউজ়িয়ামে মন্ত্রী
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি দফতর খুলে বসেছিলেন রাজধানীর গর্ব, ন্যাশনাল গ্যালারি অব মডার্ন আর্ট-এর ভবনের ভিতরেই। কোনও মিউজ়িয়ামের ভিতরেই মন্ত্রীর অফিস অভূতপূর্ব ঘটনা, দেশে তো বটেই, এমনকি বিশ্বেও এমন নজির বিরল। লেখির অজুহাত ছিল, ২০২১-এ মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের পর তিনি যখন দায়িত্ব পান, তখন শাস্ত্রী ভবনে মন্ত্রকের অফিসে আর আলাদা দফতরের জায়গা ছিল না। তাই এই আজব পন্থা। তবে এ বারে লোকসভার টিকিট পাননি লেখি। তাই তাঁর মন্ত্রিত্বের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই। তাঁর অফিস গুটিয়ে নেওয়ার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে খবর। তাঁর জায়গায় যিনি নতুন আসবেন, তাঁরও মন্ত্রক মিউজ়িয়ামের মধ্যেই রাখা হবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
জোটের ভিতর বাহিরে
শিন্দেপন্থী শিবসেনাকে তিনি ‘নিঃশর্ত সমর্থন’ জানিয়েছিলেন তাঁর জেঠতুতো দাদা উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য। বিভিন্ন জনসভায় উদ্ধবের বিরুদ্ধে গলাও তুলছেন তিনি, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার (এমএনএস) প্রধান রাজ ঠাকরে। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তিনি মুক্ত পুরুষ— শিন্দেপন্থী শিবসেনা-বিজেপি-অজিত পওয়ারের এনসিপি-র জোটে শামিল নন। ফলে তাঁকে এই জোটের সঙ্গে একাত্ম করে দেখা ভুল হবে। ঘটনা হল, সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের কল্যাণ কেন্দ্রে একনাথ শিন্দের পুত্র শ্রীকান্ত শিন্দের হয়ে প্রচার করার জন্য রাজকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন একনাথ শিন্দে। উৎসাহের বশে তিনি বিবৃতিও দিয়ে বসেছিলেন, তাঁদের শিবসেনা, বিজেপি এবং অজিতের এনসিপি-র সঙ্গে রাজ অটুট বন্ধনে জুড়ে রয়েছেন। শিন্দের অস্বস্তি বাড়িয়ে রাজ এর পর বলেন, “আমি বাইরে থেকে ওই জোটকে সমর্থন করছি, ফলে নিজের যা মনে হবে বলব। ওরা এখনও আমার গায়ে ফেভিকল লাগাতে পারেনি।”
অ্যাপেই কেনাকাটা
ভোটার টানতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিত্যনতুন কৌশলের জুড়ি নেই। সেই তালিকায় সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে আরও একটি উপায়। জনপ্রিয় নমো অ্যাপ এ বার বাজারে নিয়ে এসেছে নীল, গেরুয়া এবং সাদা রঙের টিশার্ট ও টুপি। তাতে আবার লেখা রয়েছে স্লোগান— ‘ফির এক বার মোদী সরকার’, ‘মোদী কা পরিবার’, ‘মোদী কি গারন্টী’, ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’! অ্যাপের মাধ্যমে মানুষ এগুলি কিনতে পারবেন। এ ছাড়া কফি মাগ, ব্যাজ, রিস্টব্যান্ডও রয়েছে। তবে জনসভায় সমর্থকরা যে মোদীর মুখোশ পরে আসেন, সেটিকে এখনও অ্যাপে বিক্রয়ের জন্য রাখা হয়নি।
এক হাতে রামমন্দির
রামমন্দিরের ট্যাটু ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিজেপি নেতা ও কর্মীদের মধ্যে। বুকে, হাতে যে যেখানে পারছেন আঁকিয়ে নিচ্ছেন নবনির্মিত অযোধ্যার রামমন্দির। যেমন ঝাঁসির তিন বারের বিধায়ক রবি শর্মা তাঁর ডান হাত জুড়ে একটি বিরাট রামমন্দির আঁকিয়েছেন। প্রচারের মঞ্চ থেকে বললেন, তাঁর স্ত্রীও একই ভাবে মন্দিরের ট্যাটু করেছেন হাতে, যাতে ২২ জানুয়ারির প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিনটিকে তাঁরা যুগলে স্মরণে রাখতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy