ওনাম উৎসবে বৃন্দা ও প্রকাশ কারাট। —নিজস্ব চিত্র।
কেরল সরকারের নয়াদিল্লির অতিথিশালা ‘কেরালা হাউস’-এ ওনাম উৎসবের সময় ‘সাদ্যা’ বা বিশেষ মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন হয়। কলাপাতায় পাত পেড়ে খাওয়ানো হয়। এ বছরও হাজার দেড়েক মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন কেরালা হাউসে। কিন্তু গোল বেধেছে অন্যত্র। হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি অতিথি হাজির হয়েছিলেন। তাই শেষ বেলায় অনেকেরই কলাপাতা খালি থেকে গিয়েছে। কেরলে এখন বাম সরকার। অথচ দিল্লির কেরালা হাউস থেকে খালি পেটে ফিরতে হয়েছে প্রধান শাসক দল সিপিআই সাংসদ পি সন্তোষ কুমারকে। কেরালা হাউস থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল, ওনাম উৎসবে সন্তোষ কুমার যোগ দিয়েছিলেন। সিপিআই সাংসদ চটে গিয়ে বলেছেন, সাদ্যাই জুটল না, এ কেমন যোগদান? তিরুঅনন্তপুরম থেকে খোঁজখবর শুরু হওয়ায় কেরালা হাউসের কর্তাদের আবার ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে। এক ওনাম ঘিরে এমন তুলকালাম হবে কে জানত!
নিরামিষে নেই ডেরেক
দণ্ডসংহিতায় পরিবর্তন আনতে তিনটি বিল লোকসভায় এনেই আলোচনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। বিল নিয়ে তিন দিন আলোচনা হয় সংসদের অ্যানেক্স ভবনে। প্রথম দিনের বৈঠকে মধ্যাহ্নভোজনের কক্ষে ঢুকেই বেরিয়ে আসেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা কমিটি সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়েন। কারণ, আমিষ পদ নেই। বিষয়টি জানিয়েছেন স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, বিজেপি সাংসদ ব্রিজলালকে। সাংবাদিকেরা জানালেন, অ্যানেক্স ভবনের ক্যান্টিনে নিরামিষ-আমিষ সব মিলছে। ‘পর দিন এমন হলে ক্যান্টিনেই ঢুঁ মারব’, বলে বাইরে খেতে গেলেন ডেরেক।
সাইকেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সোমবারের সকাল। দিল্লির এমস-এ সাইকেল চালিয়ে ঢুকে পড়লেন এক ব্যক্তি। এক ব্যারিকেডের মুখে তাঁকে আটকে দেন নিরাপত্তারক্ষী। কিন্তু ভাল করে আরোহীর মুখ দেখতেই থতমত সেই কর্মী। লোকটিকে দেখতে যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়ার মতো। লোকলস্কর ছাড়া একাই সাইকেলে করে হাসপাতালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী! খবর পেতেই ছুটে আসেন এমস-এর ডিরেক্টর। বেশ কিছু বিভাগ ঘুরে দেখে, প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে ফের সাইকেলেই হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে যান মাণ্ডবিয়া।
বিবাহ অভিযান
চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যপর্যটনকে প্রাধান্য দিচ্ছিল কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক। এ বারে তাদের নজরে বিবাহ পর্যটনের বড় বাজার। দেশের ২৫টি গন্তব্যের তালিকা তৈরি করে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী জি কিশন রেড্ডি জানিয়েছেন, তাঁরা সব তদারকির দায়িত্ব নেবেন। হিমালয়ে এবং সমুদ্রসৈকতে বিবাহ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত এই বছরের গোড়ায় প্রধানমন্ত্রী ধর্মীয় পর্যটনের পাশাপাশি বিবাহ পর্যটনের পক্ষেও সওয়াল করেছিলেন।
সিন্ধিয়ার অসম্মান?
গোয়ালিয়রের মহারাজকে কি মহারণে নামানো হচ্ছে, আবার মানহানিও করা হচ্ছে? তিনি, অর্থাৎ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে মন্ত্রী হয়েছেন। তাঁকে সংসদের ভিতরে বাইরে কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে মাঠে নামাচ্ছে বিজেপি। কংগ্রেস আমলে কী হয়েছিল, কী হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। ভুলছেন, সে সময় হয় বাবা মাধবরাও, বা নিজেই কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। বিজেপি অবশ্য তাঁকে ভুলতে দিতে নারাজ যে, তিনি ২০১৯-এ নিজের ঘরের মাঠ গুনা-য় বিজেপির কাছে হেরেছিলেন। সম্প্রতি গুনার বিজেপি সাংসদ কে পি যাদব গোয়ালিয়রে বলেছেন, তিনি ৭০ হাজার ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে লোকসভায় জিতেছিলেন। সিন্ধিয়া তখন মঞ্চে। একদা তাঁরই অনুচর যাদব কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। সিন্ধিয়া প্রথমে তাঁর কাছে হেরেছিলেন। এখন বিজেপিতে গিয়ে সেই হারের জন্য অপমানও সহ্য করতে হচ্ছে।
নাচিবি ঘিরি ঘিরি
গান্ধীনগরে জি২০ স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের দীর্ঘ বৈঠকের শেষে ছিল খানাপিনা আর নাচগানের আসর। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রবীণ আধিকারিকেরা ‘গরবা’-র তালে পা মেলালেন। সঙ্গতে এগিয়ে এলেন বেশ কিছু বিদেশি অভ্যাগত। মঞ্চে নাচতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পওয়ার এবং এস পি সিংহ বাঘেলকে। ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব সুধাংশু পন্থও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া নাচে যোগ দেননি। তবে দর্শকাসন থেকে ক্রমাগত উৎসাহ দিয়েছেন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy