। ডান দিকে, যুবরাজ সিংহ। পিটিআই Sourced by the ABP
“জব ইয়ে ঢাই কিলো কা হাত কিসি পে পড়তা হ্যায় না, তো আদমি উঠতা নহি, উঠ যাতা হ্যায়!” সিনেমার পর্দায় এমনই সব মারকাটারি সংলাপের জন্য বিখ্যাত সানি দেওল। বিজেপি তাঁকে পঞ্জাবের গুরুদাসপুর থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করেছিল। ধর্মেন্দ্র-পুত্র জিতেও এসেছিলেন। কিন্তু গত পাঁচ বছরে তিনি এক বারের জন্যও লোকসভায় মুখ খোলেননি। লোকসভার সচিবালয় থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছিল। তিনি কোনও বিষয়ে বলতে চান কি না, জানতে চাওয়া হয়েছিল। সানি তাতেও সাড়াশব্দ করেননি। এমন নীরব সাংসদকে বাদ দিয়ে বিজেপি এ বার গুরুদাসপুর থেকে বিশ্বকাপ জয়ী দলের ক্রিকেটার যুবরাজ সিংহকে প্রার্থী করতে চাইছে বলে জোর খবর। যুবরাজের সতীর্থ ও বন্ধু হরভজন সিংহ আগেই আম আদমি পার্টির হয়ে রাজ্যসভায় সাংসদ হয়েছেন। লোকসভার সচিবালয় বলছে, দু’বছর আগে উপনির্বাচনে জিতে লোকসভায় আসা শত্রুঘ্ন সিন্হাও সংসদে এ বার ‘খামোশ’ থেকেছেন।
অনিলরা কোথায়
অনিলদের কী হবে! সংসদের শেষ অধিবেশনের শেষবেলায় রাজ্যসভায় প্রশ্নটা তুলেছিলেন অনিল বালুনি। বিজেপির মিডিয়া বিভাগের প্রধান ও জাতীয় মুখপাত্র। সে সময় রাজ্যসভা থেকে মেয়াদ ফুরোতে চলা সাংসদদের বিদায়ী বক্তৃতা চলছিল। অনিল বালুনিরও আপাতত রাজ্যসভার মেয়াদ ফুরোচ্ছে। তিনি বললেন, রাজ্যসভায় এখন অনিল নামের সাংসদ সবচেয়ে বেশি। অনিল বালুনি, অনিল দেশাই, অনিল জৈন, অনিল আগরওয়াল, অনিল হেগড়ে। আর সব অনিলেরই রাজ্যসভার মেয়াদ ফুরোচ্ছে। তাই রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কৃপাদৃষ্টি প্রয়োজন, যাতে রাজ্যসভায় অনিলদের উপস্থিতি বজায় থাকে! ধনখড় মজা করে জানতে চেয়েছিলেন, কোন বিধিনিয়মে এই রক্ষাকবচের আর্জি জানানো হচ্ছে, সেটা জানা প্রয়োজন। অনিল বালুনিকে অবশ্য বিজেপি আর রাজ্যসভায় প্রার্থী করেনি। শোনা যাচ্ছে, তাঁকে এ বার লোকসভায় প্রার্থী করা হতে পারে।
ইন্দিরা গান্ধীর শাসনে
আশির দশকের গোড়া। কাশ্মীর বলতে তখন টিউলিপের বাগান ও রুপোলি পর্দায় রোম্যান্স। রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী তখন ফারুক আবদুল্লা। এক বার তাঁকে ডেকে পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। কারণ তিনি জানতে পেরেছেন যে, এক বলিউডের অভিনেত্রীকে মোটরবাইকের পিছনে বসিয়ে গোটা শ্রীনগর ঘুরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক। কোনও ভাবে সে যাত্রা প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভের মুখ থেকে বাঁচেন তিনি। তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সে গল্প শোনাচ্ছিলেন ফারুক। চলতি লোকসভার প্রায় আড়াই বছরের কাছাকাছি খাদ্য মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন সুদীপ। কমিটির সদস্য ছিলেন ফারুক। সেই কমিটি এক বার কাশ্মীরে বৈঠক করলে সুদীপকে শ্রীনগর বিমানবন্দরে গাড়ি চালিয়ে নিতে যান ফারুক। তখন তিনি সুদীপকে বলেন, “এর আগে এক জনকেই নিতে গাড়ি চালিয়ে বিমানবন্দরে এসেছি। তিনি হলেন ইন্দিরা গান্ধী।”
বার বার, তিন বার?
হুডিতে হ্যাটট্রিক! গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর ‘নমো এগেন’ লেখা হুডি পরে ঘুরতে শুরু করেছিলেন। বার্তা ছিল, নমো বা নরেন্দ্র মোদী সরকার ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে। এ বার লোকসভা ভোটের আগে সংসদের শেষ অধিবেশনে কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ‘নমো হ্যাটট্রিক’ লেখা হুডি পরে সংসদে হাজির। বার্তা হল, নরেন্দ্র মোদী তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে হ্যাটট্রিক করতে চলেছেন। গাঢ় কমলা রঙের সেই হুডি পরে তিনি অবশ্য লোকসভা বা রাজ্যসভায় যাননি। সংসদ ভবনে ঢুকেই নিজের দফতরে গিয়ে কুর্তা, পাজামা, নেহরু-জ্যাকেট পরে নিয়েছেন। সাংসদোচিত পোশাক যাকে বলে!
মন মাতানো ফিশ ফ্রাই
পুরনো সংসদের ক্যান্টিন ম-ম করত ফিশ ফ্রাই, মাটন কাটলেটের গন্ধে। নতুন ভবনেও সেই ট্র্যাডিশন চলছে। দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতের সাংসদদের আগ্রহেই নয়াদিল্লির ক্ষমতা-অলিন্দে টিকে রয়েছে কাটলেট-ফ্রাই। আর তার মান নিয়েও সক্রিয় বাংলার সাংসদ। তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন খাদ্যরসিক ও বঙ্গ খানার ভক্ত। ইদানীং ফ্রাইয়ে তৃপ্তি হচ্ছিল না তাঁর। মূলত তাঁরই উদ্যোগে ক্যান্টিন কমিটির সঙ্গে কথাবার্তার পর বিদায় নিয়েছে বাসা। এসেছে স্বাদু ভেটকি। ডেরেকের মতে, বাসা-র ফ্রাই স্বাদের সঙ্গে সমঝোতা ও অস্বাস্থ্যকর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy