Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ছেলেধরা সন্দেহে দু’জনকে ‘মারধর’

ছেলেধরা নিয়ে গুজব ছড়ানো ও মারধর করলে যে কড়া শাস্তি রয়েছে, বারবার পুলিশ প্রশাসন তা প্রচার করছে। তারপরেও এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ বলরামপুরের বড়উরমার কাছে এক বছর চব্বিশের যুবককে ছেলেধরা সন্দেহে কিছু লোক গাছে বেঁধে মারধর করে বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন।

দু’টি ক্ষেত্রেই পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। ফাইল চিত্র।

দু’টি ক্ষেত্রেই পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:২৬
Share: Save:

ছেলেধরা সন্দেহে শুক্রবার দুই যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠল ঝালদা ও বলরামপুরে। দু’টি ক্ষেত্রেই পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।

ছেলেধরা নিয়ে গুজব ছড়ানো ও মারধর করলে যে কড়া শাস্তি রয়েছে, বারবার পুলিশ প্রশাসন তা প্রচার করছে। তারপরেও এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ বলরামপুরের বড়উরমার কাছে এক বছর চব্বিশের যুবককে ছেলেধরা সন্দেহে কিছু লোক গাছে বেঁধে মারধর করে বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁর কাছ থেকে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা এলাকায় বাড়ি। আরবে কাজ করতে গিয়েছিলেন। দিল্লি থেকে ট্রেনে ফেরার পথে ভুল করে খড়্গপুর স্টেশনে নেমে পড়েন। সেখান থেকে পুরুলিয়াগামী ট্রেন ধরে নামেন উরমায়। বড়উরমার দিকে হেঁটে যাওয়ার সময় তাঁর আচরণ দেখে সন্দেহ হয়। তারপরেই মারধর চলে বলে অভিযোগ।
এ দিনই বিকেলে ঝালদা স্টেশনের কাছে বছর চল্লিশের বাঘমুণ্ডির বাসিন্দা শুকদেব পরামানিককে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় কয়েকজনের। জিজ্ঞাসাবাদ করায় তিনি ঘাবড়ে যান। তাতে সন্দেহ বাড়ে। শুরু হয় মারধর। সিভিক কর্মীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে ঝালদা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। পরে তাঁর পরিজনেরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান।

দুই জেলাতেই ছেলেধরার গুজব ছড়িয়েছে। সবগুলিই মিথ্যা বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাই কেউ যাতে আইন হাতে না নেন, সে জন্য লিফলেট বিলি শুরু করছে পুলিশ। বলা হচ্ছে, সন্দেহ হলে থানায় জানান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মসিনা গ্রামে এবং রাতে হোসেনডি গ্রামে দুই ব্যক্তিকে ছেলেধরা সন্দেহে আটক করেন গ্রামবাসীর একাংশ। পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দু’জন মানসিক রোগী।
ইঁদপুর থানা এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক বালিকা হারিয়ে গিয়েছে বলে থানায় খবর আসে। কিছু পরেই তাকে খুঁজে পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে, বালিকার সঙ্গে কথা বলে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। শুক্রবার ওই এলাকায় গুজব না ছড়ানোর জন্য প্রচার চালায় পুলিশ। গত ক’দিন ধরে ঝালদা থানা, হুড়া থানার পুলিশও গুজবে কান না দেওয়া এবং গুজব না ছড়ানোর আর্জি জানাচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Purulia Lynching
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy