এ ভাবে দীর্ঘক্ষণ মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ছবি: সুব্রত জানা।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য ছবি তুলতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন উলুবেড়িয়া শহরের বেশ কয়েক জন বাসিন্দা। রবিবার সকালে উলুবেড়িয়া পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকশো মানুষ স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ছবি তোলা শিবির হয় ওই ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার ও বর্তমান কো-অর্ডিনেটর তৃণমূলের ইমানুর রহমানের বাড়িতে। বিভিন্ন এজেন্সিকে রাজ্য সরকার ছবি তোলার বরাত গিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। উপভোক্তাদের দাবি, ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের হাতে কার্ড তুলে দেওয়ার কথা। অভিযোগ, এজেন্সির লোকজন যে কার্ড এনেছিলেন, সেগুলি ব্যবহারযোগ্য নয়। ‘প্রিন্টার’ বিকল হয়ে যাওয়ায় হয়রান হতে হয় গ্রাহকদের।
দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে রাজ্য সরকার প্রত্যেককে বিনামূল্যে সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য পরিষেবা দেবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেতে দুয়ারে সরকারের শিবিরে উপচে পড়ছে ভিড়। বিভিন্ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড তুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
উলুবেড়িয়া পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, রবিবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ছবি তোলা হবে বলে জানিয়েছিলেন পুরকর্তৃপক্ষ। সেই মোতাবেক বহু মানুষ হাজির হন কাউন্সিলরের বাড়ি। গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা সঞ্চিতা কুলের অভিযোগ, ‘‘সকাল থেকে পরিবারের লোকজনকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম ছবি তোলার জন্য। ঘণ্টার পরে ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।’’ একই অভিযোগ বাণীতলার বাসিন্দা সুদীপ কয়ালের। তাঁর কথায়, ‘‘সারা রাত চটকলে কাজ করেছি। তারপর ছবি তোলার জন্য লাইন দিয়েছিলাম।’’
বিদায়ী কাউল্সিলর ইমানুর বলেন, ‘‘যাত্রিক ত্রুটির জন্য মানুষকে খানিকটা ভোগান্তিতে পড়তে হয় ঠিকই, তবে দ্রুত মেশিন বদল করে আবার কাজ শুরু হয়।’’
বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য অনুপম মল্লিকের দাবি, ‘‘স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পটা পুরোটাই ভুয়ো। ভোটের আগে রাজ্য সরকার মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। মানুষ আস্তে আস্তে বুঝতে পারছেন সেই ভাঁওতা। তাঁদের আর বোকা বানানো যাবে না।’’
ইমানুরের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘বিরোধীরা সব সময় কুৎসা করছে। মানুষ ঠিক সময়ে তার জবাব দেবেন। মানুষ তৃণমূল সরকারের অধীনে সে সুযোগ পাচ্ছে, তা অতীতে কখনও পায়নি।’’ উলুবেড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তৃণমূলের সাইদুর রহমানের অভিযোগ, ‘‘সরকার প্রতিটি মানুষকে বিনা পয়সায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার কথা ভেবেছে। এটা বিজেপির সহ্য হচ্ছে না। তাই তারা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy