হোয়াটস অ্যাপ মেসেজটি দেখে চমকে উঠেছিলেন তরুণী। লেখা ছিল, ‘‘হাই, আই অ্যাম মোমো। আই থিঙ্ক আই নো ইউ। ইউ ডিয়ার চাইল্ড।’’
গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে অনলাইন গেম ‘মোমো’র কথা শোনা যাচ্ছে। যে খেলায় ব্লু হোয়েলের মতোই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয় বলে খবর।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ হোয়াটস অ্যাপে মেসেজটা দেখে অশোকনগরের বাসিন্দা, শ্রীচৈতন্য মহাবিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী অনিশা দে ভেবেছিলেন, বন্ধুরা কেউ ঠাট্টা করছে।
সেটা ভেবে তিনি তাঁর হোয়াটস অ্যাপ স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘‘বন্ধুরা, এই ধরনের ইয়ার্কি বন্ধ কর। তা না হলে বিষয়টি পুলিশকে জানাব।’’
অনিশার স্ট্যাটাসে ওই বার্তা লেখার পরেই ফের তাঁর হোয়াটস অ্যাপে লেখা ভেসে ওঠে, ‘‘অনিশা, প্লিজ ডোন্ট অ্যাফ্রেইড। পুলিশ কান্ট ফাইন্ড মি, চাইল্ড।’’
এ বার ভয় পেয়ে যান ছাত্রীটি। বাড়ির লোকজনকে জানান। পরিবারের তরফে অশোকনগর থানায় যোগাযোগ করা হয়। থানার ওসি আশিস দোলুই আশ্বস্ত করেন। পরামর্শ দিয়ে বলেন, দ্রুত নম্বরটি ব্লক করে দিতে। +১(৭৮২) ৮২১-০৬৭৯ নম্বরটি ব্লক করেছেন অনিশা।
মঙ্গলবার দুপুরে অশোকনগরের রকেটমোড় এলাকার বাড়িতে বসে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশকে জানাবো, এ কথা স্ট্যাটাসে লেখার পরে যখন অদ্ভূত ওই নম্বর থেকে বার্তা এল, পুলিশ আমাকে খুঁজে পাবে না— তখন ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। কারণ, এটা বুঝলাম, আমার স্ট্যাটাস একজন দেখছে। অথচ আমি তাকে দেখতে পারছিলাম না।’’ নম্বরটি ব্লক করে দেওয়ার পরে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত অন্য কোনও নম্বর থেকে এ ধরনের মেসেজ আসেনি অনিশার মোবাইলে।
পুলিশ জানিয়েছে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে নম্বরগুলি থেকে বার্তা আসে। ফলে চট করে নম্বর সনাক্ত করা সম্ভব হয় না। কেউ যেন স্রেফ ঠাট্টা মনে করে এমন মেসেজের প্রেরকের সঙ্গে চ্যাট করে বিপদ না ডেকে আনে, বন্ধুদের সেই পরামর্শ দিচ্ছেন অনিশা।
— নিজস্ব চিত্র