সৃজিত-মিথিলা।
প্ল্যান ছিল অনেক। হল না কিছুই। আমি বাংলাদেশে আর সৃজিত ভারতে। মাঝখানে কাঁটা হয়ে রয়েছে লকডাউন। জন্মদিন, ইদ আর আজ জামাইষষ্ঠী...দেখতে দেখতে পার হয়ে গেল সবই। সৃজিত আর আমার এ বছর প্রথম জামাইষষ্ঠী। কথা ছিল আফ্রিকা থেকে শুটিং সেরে বাংলাদেশ আসবে ও। আমার জন্মদিন, ইদ সব একসঙ্গে পালন করব সবাই মিলে। সে সব তো হয়ইনি। ভরসা ওই ভিডিয়ো কল আর ফোন।
আমাদের যদিও ও ভাবে জামাইষষ্ঠী বলে কিছু নেই, তবে সৃজিত এই মুহূর্তে এখানে থাকলে ওকে আম্মুর হাতের শুঁটকি মাছের ভর্তা, ইলিশভাপা আর কষা মাংস খাওয়াতাম। খেতে খুব ভালবাসে। আর তো তা হল না। তাই ওকে বলেছি, “এক কাজ কোরো, ওখানকার কোনও খাবারের দোকান থেকে তোমার পছন্দমতো খাবার কিনে খেও। মনে করো জামাই ষষ্ঠীর খাবার খাচ্ছ।”
আরও পড়ুন- চব্বিশ বছরের বিবাহিত জীবনে এই প্রথম বাপের বাড়ি থেকে জামাইষষ্ঠীর তত্ত্ব এল না
তবে এটা ঠিক, ও আগে যতবার এ দেশে এসেছে, জামাই আদর কিন্তু বেশ ভালভাবেই করা হয়েছে। বাহারি রান্নার পদ, ও যা যা ভালবাসে তাই রেঁধেছে আমার বাড়ির লোকেরা। আমার মায়ের হাতের রান্না আবার ওর বড়ই প্রিয়। এ রকম বহু বার দেখেছি, ও খেতে শুরু করলে থামতেই চায় না। এমনিতেই আমাদের দাওয়াত মানেই দশ-পনেরো রকমের পদ হয়। কিন্তু সৃজিতকে কখনও খাওয়ার ব্যাপারে ক্লান্ত হতে দেখিনি। আমি বরং এখন বারণ করি, বলি একটু কম খাও। শরীরের দিকেও তো নজর রাখতে হবে। তবে আম্মুকে দেখেছি, ওকে খাইয়ে যা সুখ পায় তা যেন আর কিছুতে নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy