স্ত্রীর সঙ্গে জয়জিৎ।
দিন, বারের হিসেব এখন আর থাকে না বললেই চলে। পয়লা বৈশাখ গেল, অক্ষয় তৃতীয়াও চলে গেল কখন... দেখতে দেখতে চলে এল জামাইষষ্ঠীও। তাতে যদিও খুব একটা কিছু যায় আসে না। বিলাসিতা করার সময় এখন নয়। দু’মাসের উপর হয়ে গেল কানাকড়িও রোজগার হয়নি। এ অবস্থায় আমার জামাইষষ্ঠী কী?
সত্যি কথা বলতে কি, সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকাটাই প্রতি মুহুর্তে চ্যালেঞ্জ হয়ে গিয়েছে এখন। এক দিকে করোনা, সঙ্গে আমপান। পরিস্থিতি আগের মত থাকলে হয়তো এ বারও উত্তরবঙ্গ যেতাম। ওহ, বলাই হয়নি। আমার শ্বশুর বাড়ি জলপাইগুড়ি। জামাইষষ্ঠী আমাদের একটা রেওয়াজ। বিয়ের প্রথম কয়েক বছর পর তো আমি আমার স্ত্রী সবাই মিলে হইহই করে উত্তরবঙ্গে চলে যেতাম। কর্মব্যস্ত জীবনে একটু ব্রেকও মিলত। সঙ্গে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া।
এমনও হয়েছে শুটিংয়ের চাপে হয়তো অত দূর যাওয়া হয়নি, শ্বশুরবাড়ির সবাই চলে এসছেন এখানে। আমার শ্বশুরমশাইয়ের যাদবপুরে একটা ফ্ল্যাট আছে। সেখানেই আড্ডা-হুল্লোড়। পুরনো জামাই হলে কী হবে, আদর কিন্তু একেবারেই কমেনি।
আরও পড়ুন: হিমসাগরের বদলে কাশ্মীরি আপেল, রসগোল্লার বদলে জয়নগরের মোয়া
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
আরও পড়ুন: বাঙালির স্মৃতিতে জামাই ষষ্ঠীর স্মৃতি অমলিন রেখেছে পঞ্জিকা
তবে এ বার সবটাই আলাদা। আমরা যে যাব ওখানে তারও তো উপায় নেই। লকডাউন চলছে। তার উপর করোনা সংক্রমণের ভয়। আর সত্যি কথা বলতে কি, ইচ্ছাও নেই এতটুকু। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এ সব উত্সব পালন আদপে বাতুলতা ছাড়া আর কিছুই নয়। মানুষের খাবার নেই, ছাদ নেই সেখানে এ সব বিলাসিতা ছাড়া আর কি? বিপর্যয় কাটুক, সব স্বাভাবিক হোক, শান্ত হোক, সেই সব দিনের জন্য না হয় আনন্দগুলো তোলা থাক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy