শেয়ার বাজার যেখানে দাঁড়িয়ে, তাতে সংশোধন আসা যে স্বাভাবিক, তা বারে বারেই বলে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বার সেই পূর্বাভাসই মিলে যাওয়ার ফলে মাঝে-মধ্যে অনিশ্চত হয়ে পড়ছে বাজার। পেন্ডুলামের মতো ওঠানামা করেছে সূচকের পারা। যার প্রমাণ হিসেবে বুধবার সামান্য বেড়ে ২৬ হাজারের ঘরে ঢুকে পড়ার পরে বৃহস্পতিবার ফের ১৯২.৪৫ পয়েন্ট পড়েছে সেনসেক্স। নেমে এসেছে ২৫ হাজারের ঘরে। থিতু হয়েছে ২৫,৮৯৪.৯৭ অঙ্কে।
বড় মাপের পতন হয়েছে টাকার দামেও। ডলারের সাপেক্ষে এক ধাক্কায় ৪৯ পয়সা পড়ে গিয়েছে ভারতীয় মুদ্রা। এক ডলার দাঁড়িয়েছে ৬০.৫৫ টাকায়। বস্তুত, বর্তমানে শেয়ার বাজারের সঙ্গে অনেকটাই যুক্ত হয়ে পড়েছে টাকার দামের ওঠা-পড়া। বাজার উঠলে বাড়ছে টাকা। পড়লে কমছে তার দাম। যার প্রধান কারণ, বিদেশি লগ্নি সংস্থাগুলির ভারতের বাজারে বিনিয়োগ। ওই সব সংস্থা যখন শেয়ার কিনছে, তখন বাজারে ডলারের জোগান বাড়ছে। কারণ তারা ডলারের তহবিল টাকায় রূপান্তরিত করে শেয়ারে ঢালছে। ফলে কমছে ডলারের দাম, বাড়ছে টাকা। আবার, ওই সব সংস্থা শেয়ার বিক্রি করতে থাকলে বাজারে বাড়ছে ডলারের চাহিদা এবং দাম। পড়ছে টাকা। কারণ শেয়ার বিক্রির পরে তা ডলারে রূপান্তরিত করে তারা বিদেশে নিয়ে যায়। উল্লেখ্য, বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি গত বুধবার ভারতের বাজারে ৩৮১.৬৬ কোটি টাকার শেয়ার বেচেছে। যার বিরূপ প্রভাব শেয়ার বাজারের পাশাপাশি এ দিন টাকার দামের উপরও পড়েছে।
সংশোধনের সম্ভাবনা নিয়ে আশঙ্কাই এখন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে বলে মন্তব্য স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখের। তবে বিশেষজ্ঞরা প্রায় সকলেই আশাবাদী এই বাজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে। তাঁদের ধারণা, কেন্দ্রে নতুন সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় নেই। তাই তারা উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে পারবে। যা শরিকদের উপর নির্ভরশীল ইউপিএ সরকার করতে পারেনি।
কমলবাবু অবশ্য এটাও বলেন, “বাজার এত দিন উঠেছে নতুন সরকারের কাছ থেকে নানা রকম প্রত্যাশার কারণেই। এ বার বাস্তবে কিছু পদক্ষেপ করার সময় এসেছে। যা দেখে লগ্নিকারীরা উৎসাহিত হবেন। সেটা হতে দেরি হলে বাজার আরও পড়তে পারে বলে আমার আশঙ্কা।”
এ দিকে মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, মন্দা কাটাতে বাজারে নগদের জোগান স্থিতিশীল রাখতে যে-ত্রাণ প্রকল্প তারা চালু করেছিল, তা আরও ছাঁটা হবে। মার্কিন আর্থিক অবস্থা ক্রমশ ভাল হয়ে ওঠাই যার কারণ। ওই প্রকল্পের অঙ্গ হিসাবে মাসে বাজার থেকে মোটা অঙ্কের বন্ড কেনা চালু করে মার্কিন সরকার। কিছু দিন আগে থেকেই বন্ড কেনার পরিমাণ ক্রমশ কমাতে শুরু করেছে তারা। অতি সম্প্রতি তাদের সিদ্ধান্ত, তা মাসে আরও ১ হাজার কোটি ডলার করে কমানো হবে। এর প্রভাবও বিভিন্ন দেশের শেয়ার বাজারে পড়ার আশঙ্কা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy