প্রতীকী ছবি।
অতিমারি পরিস্থিতির ক্ষত এখনও প্রশমিত হয়নি। ‘গোদের উপর বিষফোঁড়া’ হয়ে দাঁড়িয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই পরিস্থিতিতে ভারতে খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে আট বছরের সর্বোচ্চ। রেকর্ড পাইকারি মূল্যবৃদ্ধিতে। আর্থিক বৃদ্ধিতে তাই ‘অচ্ছে দিন’-এর স্বপ্ন দেখছে না বিশ্ব ব্যাঙ্ক।
মঙ্গলবার ‘বিশ্ব অর্থনীতির সম্ভাবনা’ (গ্লোবাল ইকনমিক প্রসপেক্টস) সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। সেই রিপোর্টের পূর্বাভাস, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৫ শতাংশ দাঁড়াতে পারে। প্রসঙ্গত, গত অর্থবর্ষে (২০২১-২২) বিশ্ব ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.৭ শতাংশ হতে পারে। গত এপ্রিলে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সংশোধিত রিপোর্টে ভারতে ৮ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল ছিল। মঙ্গলবারের রিপোর্টে তা আরও ০.৫ শতাংশ কমানো হয়েছে।
মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে আর্থিক মূল্যায়ন সংস্থা ‘এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস’ জানিয়েছিল, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৩ শতাংশ হতে পারে। কার্যত সেই পূর্বাভাসের সঙ্গে মিলে গিয়েছে মঙ্গলবার বিশ্ব ব্যাঙ্ক প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ইকনমিক প্রসপেক্টস’ রিপোর্ট। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গত ডিসেম্বরে চলতি অর্থবর্ষে ৭.৮ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল এসঅ্যান্ডপি। তখন মূল্যবৃদ্ধি মাথা তোলা শুরু করলেও, ভূ-রাজনৈতিক আশান্তির আঁচ মেলেনি। মূল্যায়ন সংস্থাটি জানিয়েছিল, আগের বার যে ঝুঁকির (মূল্যবৃদ্ধি) কথা বলা হয়েছিল এখন তা আরও বেড়েছে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সে কারণে সেই পূর্বাভাস ছেঁটে ৭.৩ শতাংশ করা হল।
এমনকি, নয়াদিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়ে আগামী অর্থবর্ষে (২০২৩-২৪) বৃদ্ধির হার আরও কমে ৬.৫ শতাংশ হতে পারে বলে ওই রিপোর্টে বলা হয়। অতিমারির প্রথম ঢেউ কাটিয়ে ২০২০ শেষ থেকে কিছুটা ছন্দে ফিরছিল ভারতীয় অর্থনীতি। বাড়ছিল কেনাকাটা, কলকারখানায় উৎপাদন। কিন্তু তার পরেই ২০২১-এর এপ্রিল থেকে সংক্রমণ বৃদ্ধির জেরে স্থানীয় লকডাউনের পথে হাঁটতে হয় একের পর এক রাজ্যকে। প্রভাব পড়েছে আর্থিক কর্মকাণ্ডে। এই পরিস্থিতিতেও ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার ছিল ৮.৭ শতাংশের কাছাকাছি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy