Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Business News

ঋণের বোঝা বিএসএলের চেয়ে অন্যদের আরও বেশি, বঞ্চনার অভিযোগ কর্মী সংগঠনের

কিছু দিন আগে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি লাভ হত যে সংস্থার, সেই বিএসএনএলের ঘাড়ে এখন চেপে বসেছে ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণের বোঝা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেই বোঝাটা এতটাই ভারী যে বিএসএনএলের বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৯ ১৬:৩১
Share: Save:

গত বছরের শেষ থেকে আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত বিএসএনএল। সম্প্রতি বিএসএনএলে ব্যয়ের তুলনায় আয় কমে যাওয়ায় ঘাটতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, জুন মাসের বেতন দেওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কেন্দ্রের সাহায্য না পেলে সার্বিক ভাবে সংস্থাও চালানো দায় হয়ে উঠবে বলে সংস্থার দাবি। কিছু দিন আগে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি লাভ হত যে সংস্থার, তার ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে এখন জোরদার জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও কেন্দ্র, বিএসএনএল এবং সংস্থার কর্মীদের দাবি, এখনই ঝাঁপ বন্ধ হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। কর্মী সংগঠনের দাবি, কেন্দ্র সঠিক নীতি নিলে আগামী দিনেও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে এই ব্যবসায় টিকে থাকতে সক্ষম বিএসএনএল।

সংস্থার বর্তমান সঙ্কটের জন্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আঙুল তুলছে তাদের কর্মী সংগঠন। সম্প্রতি সংস্থা আর্থিক সাহায্য চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে। বিএসএনএল এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের দাবি, সম্পদের নিরিখে সার্বিক ভাবে সংস্থাটির আর্থিক অবস্থা মজবুত। কিন্তু রিলায়্যান্স জিয়ো বাজারে আসার পরে তীব্র মাসুল যুদ্ধে বিএসএনএল-সহ টেলিকম ব্যবসা সঙ্কটে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পি অভিমন্যু জানান, ২০০৪-০৫ সালে সংস্থায় এক লক্ষ কর্মী বেশি থাকলেও ১০ হাজার কোটি টাকার নিট মুনাফা হয়। অথচ তার পরে সাত বছর প্রয়োজনীয় যন্ত্র কিনতে দেয়নি কেন্দ্র। তাঁরা জানান, জিয়ো ছাড়া একমাত্র বিএসএনএলেরই গ্রাহক সংখ্যা সম্প্রতি বাড়ছে। ধারও অন্যান্য সংস্থার তুলনায় কম।

ওই সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, বিএসএনএলের মাত্র ১৩ হাজার কোটি টাকা ধার রয়েছে। তাদের দাবি, ভোডাফোন আইডিয়ার ১.১৮ লক্ষ কোটি টাকা, এয়ারটেলের ১.০৮ লক্ষ কোটি টাকা ও জিয়োর ১.১২ লক্ষ কোটি টাকা ধার রয়েছে। এ ছাড়া অন্যরা ৪জি স্পেকট্রাম পেলেও এখনও তা বিএসএনএল-কে দেওয়া হয়নি। ফলে বাজার হারিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থাটি। রিলায়্যান্স জিয়ো আসার পরে বাজারে তীব্র মাসুল যুদ্ধ শুরু হওয়ায় সরকারি ও বেসরকারি সব টেলিকম অপারেটরদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করে। আয়ে টান পড়ায় ব্যবসা চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ে পুরনো সব সংস্থাগুলি। পরিষেবা নিয়ে বিএসএনএলের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিলই। এর পর বাজারে যখন অন্যরা ফোর-জি পরিষেবা নিয়ে এসেছে তখন সেই স্পেকট্রাম না পাওয়ায় ওই পরিষেবা চালুই করতে পারেনি বিএসএনএল। ফলে গ্রাহক চাহিদায় আরও পিছিয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন- রেকর্ড লাফে শহরে ৩৫ হাজারে সোনা, ছ’বছরে সর্বোচ্চ​

টেলি শিল্পে প্রতিযোগিতার কথা মেনেও কেন্দ্রের দাবি, বিএসএনএল এবং এমটিএনএল ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে পরিকল্পনা তৈরির কাজ চলছে। বুধবার লোকসভায় টেলিকমমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, সংস্থা বিক্রির কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্রের নেই। বরং কর্মী স্বার্থ রক্ষা ও প্রতিযোগিতায় এগোনোতেই তাঁরা সচেষ্ট।

আরও পড়ুন- দেশে কাজ তৈরিতে সওয়াল রফতানির

অন্য বিষয়গুলি:

BSNL Crisis বিএসএনএল Department of Telecommunications
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy