ফাইল চিত্র।
বাজারে জিনিসপত্রের চড়া দামে খুচরো বাজারে নাকাল মানুষ। সেই দুর্দশা আরও বাড়বে কি না, সেই প্রশ্ন রেখেই মে মাসের পরে জুনেও ১২ শতাংশের উপরেই রইল পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার। তবে পাঁচ মাস পরে সামান্য কমল। বুধবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুনে দেশে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার ১২.০৭%। যেখানে আগের মাসে ছিল ১২.৯৪%। যদিও বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, তিন মাস ধরে ১০ শতাংশের উপরে এবং দু’মাস যাবৎ ১২% পার করে দাঁড়িয়ে থাকা মূল্যসূচকে উদ্বেগের কারণ থাকছেই। কারণ, তাতে খুচরো মূল্যবৃদ্ধিরও মাথা তোলার ঝুঁকি বাড়ছে। জুনে ওই হারও মে-র তুলনায় অতি সামান্য কমেছে।
কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মেনেছে গত বছরের তুলনায় এ বার দেশে পেট্রল, ডিজেল, ন্যাপথা, এটিএফের মতো জ্বালানি এবং তৈরি পণ্যের (যেমন, ধাতু, খাবার ও রাসায়নিক) দাম বৃদ্ধি পাইকারি মূল্যসূচকের এত চড়া থাকার অন্যতম কারণ। তবে প্রধান কারণ, গত বছর মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হওয়ায় এপ্রিল-জুনে তলানিতে নেমে যাওয়া মূল্যবৃদ্ধির হার। সেই নিচু ভিতের নিরিখে হিসেব হওয়ায় এপ্রিল, মে-র মতো জুনেও পাইকারি মূল্যসূচক এত চড়া।
সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি যে সব পণ্যের দামের ভিত্তিতে হিসেব হয়, তার অন্যতম অশোধিত তেল। সেই দাম বাড়তে থাকায় দেশে পেট্রল, ডিজেল চড়া হচ্ছে। যে কারণে মূল্যসূচক এত উঁচুতে। এর ধাক্কা খুচরো বাজারে পড়বেই। কারণ, খুচরো মূল্যসূচক যে সব পণ্যের দাম বৃদ্ধির উপর ভিত্তি করে বাড়ে তার অন্যতম খাদ্যপণ্য। যেমন মাছ, ডিম, কাঁচা আনাজ ইত্যাদি। কিন্তু তেলের দাম বাড়লে সেগুলির দাম বাড়ে পরিবহণের খরচ বেশি হয় বলে। ইতিমধ্যেই আমজনতা বাজার করতে গিয়ে যা টের পাচ্ছেন।
ইউনাইটেড ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিএমডি ভাস্কর সেন এবং আর্থিক বিশেষজ্ঞ তথা ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অনির্বাণ দত্ত বলেন, ‘‘খুচরো মূল্যবৃ্দ্ধি নির্ভর করে খাদ্যপণ্য-সহ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জিনিসের দাম বৃদ্ধির উপরে। বিশেষ করে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ফলে ওই সব পণ্য পরিবহণের খরচ দ্রুত বাড়ছে। যার প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে পণ্যের দামে। যা আখেরে বাড়িয়ে দেবে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হারকে।’’ পাইকারি মূল্যসূচক খুচরো বাজারের দামকে আরও ঠেলে তুললে সুদের হার কমানোর ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি হবে হলে দাবি করেছেন বি কে দত্তর মতো ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞ।
এ দিনই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। তাদের তোপ, অর্থনীতি খারাপ ভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি আটকাতে ব্যর্থ সরকার দেশের মানুষের হাতে টাকা দেওয়ার বদলে নির্দয় ভাবে তাঁদের জীবনধারণের অত্যাবশ্যক জিনিসগুলিতে বেশি খরচ করতে বাধ্য করেছে। ফলে দারিদ্র বাড়ছে। রোজগার কমেছে বহু মানুষের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy