Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কোন পথে টেলিকম, আর মাত্র সাত দিন

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো ২৩ জানুয়ারির মধ্যে বকেয়া মেটাতে হবে সংস্থাগুলিকে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২০ ০৫:৪৮
Share: Save:

হাতে আর সাত দিন। তার মধ্যে বকেয়া লাইসেন্স ফি ও স্পেকট্রাম ব্যবহারের চার্জ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে কেন্দ্রের ঘরে প্রায় ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা পৌঁছে দিতে হবে টেলিকম সংস্থাগুলিকে। রায়ের একাংশ পুনর্বিবেচনার জন্য ভোডাফোন-আইডিয়া ও এয়ারটেলের আর্জি বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতে খারিজ হওয়ার পরে প্রশ্ন উঠছে, এ বার কী করবে টেলিকম সংস্থাগুলি?

ভোডাফোন-আইডিয়া এর আগে এই বিষয়টিতে সরকারের হস্তক্ষেপের আর্জি জানাতে গিয়ে ভারত থেকে ব্যবসা গোটানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ঠিকই। তবে শুক্রবার সেই হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি তারা। আর এয়ারটেল জানিয়েছে, রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ফের আদালতে ‘কিউরেটিভ পিটিশন’ দাখিল করবে সংস্থা। সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, টেলিকম সংস্থাগুলির আর্থিক সঙ্কট বাড়লে তাদের ঋণের সমস্যা ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো ২৩ জানুয়ারির মধ্যে বকেয়া মেটাতে হবে সংস্থাগুলিকে। শুক্রবার বহু বিশেষজ্ঞ ও উপদেষ্টা সংস্থারই দাবি, টেলিকম শিল্পের সঙ্কটমুক্তির দরজাগুলি একে একে প্রায় বন্ধের মুখে। কোটাক ইনস্টিটিউশনাল ইকুইটিজ়ের মতে, ‘‘একমাত্র পথ কিউরেটিভ পিটিশন। তবে খুব কম ক্ষেত্রেই তা গ্রাহ্য হয়।’’ সংশ্লিষ্ট সূত্রের অবশ্য খবর, বকেয়া মেটাতে সরকারের কাছে বাড়তি সময়ও চাইতে পারে সংস্থাগুলি।

আইসিআইসিআই সিকিওরিটিজ় -এর বক্তব্য, এয়ারটেল প্রায় ৩০০ কোটি ডলার সংস্থান করে রেখেছে, যা তাদের বকেয়া মেটাতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু ভোডাফোনের ক্ষেত্রে সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়া সমস্যা থেকে বেরোনো বিরাট চ্যালেঞ্জ। এর আগে তাদের দুই মূল অংশীদার ব্রিটেনের ভোডাফোন ও আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর শীর্ষ কর্তারা বলেছিলেন, ওই বকেয়া মেটাতে হলে তাঁরা ভারতে ব্যবসা বন্ধ করবেন। এক সময় বাজারে ১৪টি সংস্থা থাকলেও, এখন বিএএসএনএল ও এমটিএনএল বাদে তা ঠেকেছে তিনে। বহু কর্মী কাজ হারিয়েছেন। ভুগেছেন বহু গ্রাহক। আইসিআইসিআই সিকিওরিটিজ়ের কর্তারা বলছেন, ভোডাফোন সত্যি সত্যি বন্ধ হলে গ্রাহক তো অসুবিধায় পড়বেনই, ধাক্কা খাবে সরকারের আয়ও। কারণ, সংস্থাটির কাছে স্পেকট্রাম-সহ বিভিন্ন খাতে তাদের প্রাপ্য প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা।

সে ক্ষেত্রে অনুৎপাদক সম্পদ বেড়ে গিয়ে ব্যাঙ্কের আর্থিক স্বাস্থ্য আরও কাহিল হওয়ার আশঙ্কাও দেখছে ইউবিএস গোষ্ঠী, কোটাক। ইউবিএস মনে করাচ্ছে, স্টেট ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক, ইন্ডাসইন্ড ব্যাঙ্ক ভোডাফোনকে বেশি ঋণ দিয়েছে। যে কারণে এ দিন বহু ব্যাঙ্কেরই শেয়ার দর ধাক্কা খায়। আর মর্গ্যান স্ট্যানলি এবং মুডি’জ়-এর মত, এই পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকবে জিয়ো ও এয়ারটেল।

অন্য বিষয়গুলি:

Bharati Airtel Vodafone Supreme Court of India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy