What happens to your ।FDs, saving deposits if bank fails? dgtl
Business news
ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হলে আপনার টাকার কী হবে? জেনে নিন কী ভাবে, সর্বোচ্চ কত টাকা ফেরত পেতে পারেন
কেউ জমা টাকা তুলতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন, তো কেউ অস্ত্রোপচারের টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলতে না পেরে কার্যত বিনা চিকিত্সায় মারা গিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৯ ১০:৫৫
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
পঞ্জাব মহারাষ্ট্র কো-অপারেটিভ বা পিএমসি ব্যাঙ্কের টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের মধ্যে এক রকম আতঙ্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে। কেউ জমা টাকা তুলতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন, তো কেউ অস্ত্রোপচারের টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলতে না পেরে কার্যত বিনা চিকিত্সায় মারা গিয়েছেন।
০২১০
পিএমসি ব্যাঙ্কের মতো আমরা যে ব্যাঙ্কে টাকা রাখি, সেটারও যদি একই হাল হয়! আপনার জমানো টাকার কত শতাংশ ফেরত পেতে পারবেন? এমন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ভারতীয় রিজার্ভ ব্যঙ্ক (আরবিআই)-এর একটা বিশেষ বিমা করেছে।
০৩১০
আরবিআইয়ের তত্ত্বাবধানে এই ইনস্যুরেন্স স্কিমটা চালায় ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন (ডিআইসিজিসি)।
০৪১০
ফিক্সড ডিপোজিট, সেভিংস বা রেকারিং—গ্রাহকরা ব্যাঙ্কে যে স্কিমেই টাকাই জমা রাখুন, সেই ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে গেলে, বা ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়ে গেলে বা কোনও কারণে আরবিআই তার লাইসেন্স বাতিল করলে গ্রাহকরা তাঁদের সঞ্চিত আমানতের ইনস্যুরেন্স মানি ফেরত পাবেন।
০৫১০
প্রায় সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, বেসরকারি ব্যাঙ্ক এবং কো অপারেটিভ ব্যাঙ্ক এই বিমার আওতায় রয়েছে। ইনস্যুরেন্সের জন্য গ্রাহককে আলাদা করে ডিআইসিডিসি-কে প্রিমিয়াম দিতে হবে না। ব্যাঙ্কই গ্রাহকের হয়ে সেই প্রিমিয়াম ভরবে।
০৬১০
কত টাকা ফেরত পাবেন গ্রাহক? এটা জেনে রাখা ভাল, ব্যাঙ্কে আপনি যত টাকাই সঞ্চয় করুন না কেন, সর্বাধিক এক লাখ টাকাই আপনি ইনস্যুরেন্স মানি পাবেন। বাকি টাকা ফেরতের কোনও ব্যবস্থা নেই।
০৭১০
আরবিআই কেন ইনস্যুরেন্স মানির উর্ধ্বসীমা বাড়াচ্ছে না? ১৯৬৮ সাল থেকে প্রথম এই ইনস্যুরেন্স চালু হয়। তখন ঊর্ধ্বসীমা ছিল পাঁচ হাজার টাকা। ১৯৭০ সালে আইনের সংস্কার হয়। ঊর্ধ্বসীমা পাঁচ হাজার থেকে বেড়ে হয় ১০ হাজার টাকা।
০৮১০
এর ছ’বছর পর ১৯৭৬ সালে ফের আইনের সংস্কার হয়। ১০ হাজার টাকা থেকে ইনস্যুরেন্সের ঊর্ধ্বসীমা বেড়ে হয় ২০ হাজার টাকা। অর্থাত্ ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হলে গ্রাহক সর্বাধিক ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত টাকা ফেরত পেতেন।
০৯১০
তারপর ১৯৮০ সালে ঊর্ধ্বসীমা ৩০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। আর শেষবার আইন সংস্কার হয়েছিল ১৯৯৩ সালো। যখন এই ঊর্ধ্বসীমা ৩০ হাজার থেকে বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করে আরবিআই।
১০১০
কিন্তু তার পর ২৬ বছর অতিক্রান্ত হলেও নতুন করে আর এই ঊর্ধ্বসীমার সংস্কার করা হয়নি। ফলে গ্রাহকদের ইনস্যুরেন্সের ঊর্ধ্বসীমা একই রয়ে গিয়েছে। আইনে অবশ্য এই ঊর্ধ্বসীমা আরও বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। সর্বাধিক পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত করা যেতেই পারে এই ঊর্ধ্বসীমা। যদিও এখনও আরবিআই সেই প্রস্তাব মেনে নেয়নি।