নামে জাপানি কেন তার কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। গ্রাফিক: সৌভিক দেবনাথ
‘জাপানি তেল’— বিজ্ঞাপনের দৌলতে যে নামের সঙ্গে সাধারণের পরিচিতি বিপুল। তবে এই তেলকে নিয়ে বিতর্কও কম নয়। মিথ্যা দাবির অভিযোগে অনেক আগেই জাপানি তেলের বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেয় পুণের ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। তবে জাপানি তেল নিয়ে কৌতূহল কমেনি। আসলে এর বিজ্ঞপনী চমক থেকেই মনে তৈরি হয় নানা প্রশ্ন। কী কী দিয়ে তৈরি হয়? কোথাকার ফর্মুলা?
প্রথমেই জেনে রাখা দরকার যে বিজ্ঞাপনে ‘আয়ুর্বেদিক ভায়াগ্রা’ বলে দাবি করা ‘জাপানি তেল’-এর সঙ্গে আদৌ জাপানের কোনও যোগাযোগ নেই। প্রাচীন কালে এই ফর্মুলায় জাপানে কোনও তেল তৈরি হত কি না তা-ও জানা যায় না। তবে ‘জাপানি তেল’-এর অন্যতম প্রধান প্রস্তুতকারক সংস্থা চতুর্ভুজ ফার্মা দাবি করে বহু যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এমন নানা আয়ুর্বেদিক উপাদান, উদ্ভিদ বা মূলের নির্যাস থেকে তৈরি হয় যৌনতার এই ‘টোটকা’।
চতুর্ভুজ ফার্মার বক্তব্য অনুযায়ী ‘জাপানি তেল’ তৈরিতে জলপাই তেল, লবঙ্গ, তিলের তেল, আকরকরা শিকড়, জ্যোতিস্মতি বীজ, আর্সেনিক-যুক্ত মিনারেল, কেশর, হরতাল ভস্ম। বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধের ওয়েবসাইট আনুযায়ী এ সব ছাড়াও গোল মরিচ, লতা কস্তুরি, কার্পাস বীজের তেল, জুন্দবেদস্তর বা ক্যাস্টোরিয়াম, অশ্বগন্ধা, হিং, চামেলি ফুলের তেল, জাফরান, সরষের তেল, তিল্লির তেল, চেলোপোকা ব্যবহার করা হয়।
‘জাপানি তেল’-এর মধ্যে এত কিছু থাকলেও তা আদৌ যৌনববর্ধক হিসেবে কাজ করে কি না সেটা এখনও পর্যন্ত স্বীকৃত নয়। কোন সংস্থা কী মেশাচ্ছে আর কী মেশাচ্ছে না তা-ও হলফ করে বলা যাবে না। তবে বিজ্ঞানীরা বলেন, ‘জাপানি তেল’-এর প্রচারে যে দাবি করা হয় তা আদৌ সত্য নয়। ‘জাপানি তেল’ শুধু নয়, অন্য কিছু দিয়েই পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়ানো যায় না। এটা একমাত্র জটিল অস্ত্রপচারেই সম্ভব। তবে ব্যবহারকারীদের দাবি, ‘জাপানি তেল’ সত্যিই সুগন্ধে ভরপুর। তবে শুধুই সেটুকুর জন্য এত দাম দেওয়ার কোনও অর্থ হয় না। যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির আদৌ কোনও গুণ রয়েছে কি না তার কোনও সদুত্তর এখনও পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy