Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

নিগমের কয়লা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে

২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রের খনি বণ্টন নীতি বাতিল হয়। রাজ্যের খনিগুলিতেও কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলি ফেরত পাওয়ার পরে ছাড়পত্র জোগাড়ের কাজ শুরু করে নিগম।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৯ ০১:০৭
Share: Save:

আইনি জটিলতা কাটিয়ে নিজস্ব দু’টি কয়লা খনি থেকে উত্তোলন শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম। আশা, বাকিগুলি থেকে কয়েক মাসে তা তোলা শুরু হবে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে বর্ষার শেষে খনিগুলি থেকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা পাঠানোও পুরোদস্তুর শুরু করবে তারা। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সে ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার জোগান নিয়ে মাঝেমধ্যে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, তার কিছুটা সুরাহা হবে। সামান্য কমতে পারে উৎপাদন খরচ।

২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রের খনি বণ্টন নীতি বাতিল হয়। রাজ্যের খনিগুলিতেও কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলি ফেরত পাওয়ার পরে ছাড়পত্র জোগাড়ের কাজ শুরু করে নিগম। তারা কয়লা মন্ত্রককে রিপোর্টে জানিয়েছে, ইতিমধ্যে বীরভূমের বড়জোড় খনি থেকে ৬ লক্ষ টন ও বাঁকুড়ার বড়জোড়া (উত্তর) খনি থেকে ৫০,০০০ টন কয়লা তুলেছে। বড়জোড়া থেকে কিছুটা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পাঠানোও হয়েছে। খনি-মুখে কাজ শুরু হয়েছে ঝাড়খণ্ডের পাচোয়াড়া (উত্তর)-এ। বীরভূমের গঙ্গারামচক ও পশ্চিম বর্ধমানের তারা খনি থেকেও কয়লা তোলা কার্যত সময়ের অপেক্ষা। নিগমের পূর্বতন চেয়ারম্যান শান্তনু বসু বলেন, বন্ধ খনিগুলি থেকে দ্রুত কয়লা তোলাই চ্যালেঞ্জ ছিল, তা শুরু করা গিয়েছে।

বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে বছরে ১.৬-১.৭ কোটি টন কয়লা লাগে। কোল ইন্ডিয়া দেয় ১.৪ টন। বাকিটা রাজ্যের খনিগুলি থেকে পাওয়ার কথা। বর্ষার পরে পাচোয়াড়ার কয়লা আসতে শুরু করলে মজুত বাড়বে। কমবে কোল ইন্ডিয়ার উপরে নির্ভরতা। নিগমের খবর, কেন্দ্রগুলিতে কয়লা পাঠাতে পরিবহণ-সহ যে সব পরিকাঠামো তৈরি করতে হয়, তা নিয়ে কথা চলছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy