Advertisement
১৭ অক্টোবর ২০২৪
Women Self Help Group

উদ্যমে নথিভুক্তি, পিছিয়ে বাংলা

মন্ত্রকের বক্তব্য, রিপোর্ট তৈরির জন্য ২০১৫-১৬ সালে ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভের ৭৩তম রাউন্ডের তথ্য ব্যবহার করা হয়। ফলে শেষ আট-ন’বছরে তা একই রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সংখ্যাটা বদলেছে।

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

অঙ্কুর সেনগুপ্ত
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ০৬:৩৬
Share: Save:

মহিলা পরিচালিত ক্ষুদ্র ও ছোট সংস্থার নিরিখে সারা দেশে প্রথম স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। সম্প্রতি কেন্দ্রের ক্ষুদ্র শিল্প মন্ত্রকের ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বার্ষিক রিপোর্টেই উঠে এসেছে সেই তথ্য। যা নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। সমাজমাধ্যমে বার্তা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মন্ত্রকের তথ্যই আবার জানাচ্ছে, এই সমস্ত সংস্থার ব্যবসার অঙ্কই হোক বা সরকারি সুবিধা নিতে উদ্যম পোর্টালে ছোট সংস্থাগুলির নথিভুক্তি, এই সবেতেই অন্যান্য রাজ্যের থেকে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে বাংলা।

মন্ত্রকের বক্তব্য, রিপোর্ট তৈরির জন্য ২০১৫-১৬ সালে ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভের ৭৩তম রাউন্ডের তথ্য ব্যবহার করা হয়। ফলে শেষ আট-ন’বছরে তা একই রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সংখ্যাটা বদলেছে। তাদের তথ্য অনুসারে, এ রাজ্যে মহিলা পরিচালিত ছোট সংস্থা ২৯ লক্ষ। পুরুষদের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয়, সংস্থা ৫৫.৮ লক্ষ। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সারা দেশে মহিলা পরিচালিত ক্ষুদ্র সংস্থার ব্যবসা ১৭.১৫ লক্ষ কোটি টাকা। যার প্রায় ৬০% এসেছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, গুজরাত থেকে।বিস্তারিত তথ্য না থাকলেও, এখানে ব্যবসার অঙ্ক দেশের মাত্র ৪%-৫%।

শুধু তা-ই নয়। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সুবিধা পেতে হলে উদ্যম পোর্টালে নাম লেখাতে হয় ছোট সংস্থাগুলিকে। সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের স্থান অষ্টম। মহারাষ্ট্রে এ ধরনের সংস্থা ৪৮ লক্ষের বেশি। তার প্রায় সবক’টিই উদ্যমে নথিভুক্ত। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে ৪৭.৩ লক্ষ সংস্থার মধ্যে নথিভুক্ত ২৮.৮৫ লক্ষ। উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানে নথিভুক্ত যথাক্রমে ২৮ লক্ষ ও ২১ লক্ষ। পশ্চিমবঙ্গে সেখানে তা ১২.৪ লক্ষ। সারা দেশেই উদ্যমে নথিভুক্তিতে এগিয়ে পুরুষ পরিচালিত ক্ষুদ্র সংস্থা (৬০.৬৮%)। মহিলাদের ক্ষেত্রে সেই হার ৩৮.৯%। সূত্রের দাবি, এ রাজ্যের ক্ষেত্রে মহিলা পরিচালিত প্রায় ৪.৬ লক্ষ সংস্থা উদ্যমে নথিভুক্ত রয়েছে।

ছোট শিল্পের সংগঠন ফসমির সভাপতি বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর মতে, এই সব সংস্থাকে সুবিধা দিতে উদ্যমে আরও বেশি নথিভুক্তি জরুরি। এর আগে একই কথা বলেছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্রশিল্প দফতরের প্রধান সচিব রাজেশ পাণ্ডে। দফতরের এক কর্তা অবশ্য জানাচ্ছেন, “অগস্ট-সেপ্টেম্বরে বিশেষ ক্যাম্প করার কথা থাকলেও, গত দু’মাস ধরে যা হাল, তাতে তা করার কথা ভাবা হয়নি। সব স্বাভাবিক হলে দেওয়ালির পরে কোমর বেঁধে কাজ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE