নয়াদিল্লি, ১০ মার্চ: চলতি অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের জিএসটি বাবদ আয় গত বছরের তুলনায় বাড়লেও, সেই হার খুব বেশি নয়। বরং সেই নিরিখে অন্যান্য বড় রাজ্যের তুলনায় পিছিয়ে বাংলা। মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাবের মতো রাজ্যে তা অনেক বেশি। এমনকি ওড়িশা, অসম, বিহারের মতো পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিও জিএসটি থেকে আয় বৃদ্ধিতে পশ্চিমবঙ্গকে টেক্কা দিচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রক সূত্র বলছে, জিএসটি আয় হয় কেনাকাটার সময় বা বাজারে পণ্য বিক্রির সময়। উৎপাদন শুল্কের মতো যেখানে পণ্য তৈরি হচ্ছে, সেখানে নয়। ফলে কোনও রাজ্যে এই খাতে আয় বিশেষ না বাড়ার অর্থ, সেখানকার কেনাকাটাও বিশেষ বাড়ছে না।
মন্ত্রক আজ লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী, বিজেপি সাংসদ ডি পুরন্দেশ্বরীর প্রশ্নের উত্তরে জিএসটি থেকে আয়ের খতিয়ান দিয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, এই অর্থবর্ষের প্রথম ১১ মাসে (২০২৪-২৫ সালের এপ্রিল-ফেব্রুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গে তার মোট অঙ্ক ছিল ৬১,০৬৫ কোটি টাকা। যা গত অর্থবর্ষের (২০২৩-২৪) একই সময়ের তুলনায় মাত্র ৭% বেশি। এই মাপকাঠিতে অনেক এগিয়ে দিল্লি, হরিয়ানা। দিল্লিতে গত এপ্রিল-ফেব্রুয়ারিতে জিএসটি আয় বৃদ্ধির হার ১৭%। হরিয়ানায় ১৬%। মহারাষ্ট্র, পঞ্জাবে তা বেড়েছে ১২%। ওড়িশার ১১%। কর্নাটক, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, অসমে ১০%।
গত মাসে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশের পরেও দেখা গিয়েছিল, চলতি অর্থবর্ষে জিএসটি-তে রাজ্যের ভাগ বা এসজিএসটি থেকে রাজ্য সরকার যে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল, তা সংশোধন করে কমিয়ে ফেলা হয়েছে। যদিও আগামী বছর আয় বেশি হবে বলেই রাজ্যের অনুমান। কারণ, মোদী সরকার বাজেটে মধ্যবিত্তের আয়কর কমানোয় কেনাকাটা বাড়বে। তার সুফল ঘরে তোলার আশা করছে রাজ্য।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)