—প্রতীকী চিত্র।
আবাসন প্রকল্পে প্রতিশ্রুতি ও চুক্তির খেলাপ হলে (বিক্রেতা বা ক্রেতা উভয়ের ক্ষেত্রেই) তার সহজ মীমাংসার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে আবাসন নিয়ন্ত্রণ আইন (রেরা) চালু করেছিল কেন্দ্র। সরকারি পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে উপদেষ্টা সংস্থা অ্যানারক জানিয়েছে, সেই আইন কাজে লাগিয়ে দেশের ৩৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লক্ষেরও বেশি অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে। বাড়ছে অভিযোগের আওতায় আসা প্রকল্পের সংখ্যা। যা নতুন এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সাফল্যের ইঙ্গিত। তবে দেরিতে আইন কার্যকর করায় পশ্চিমবঙ্গ আপাতত কিছুটা পিছিয়ে।
নিজস্ব বিধি তৈরি করে রেরা কার্যকরের দায়িত্ব রাজ্যগুলির। কয়েকটি রাজ্য এখনও এই নিয়ে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় আবাসন মন্ত্রকের তথ্যের ভিত্তিতে অ্যানারক জানিয়েছে, গত ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত অধিকাংশ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে রেরায় ১,১৬,৩০০টি অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়েছে। শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ (৪৪,৬০১)। তার পরে হরিয়ানা (২০ হাজারের বেশি) এবং পঞ্জাব (১৫,২৪৩)। বাড়ছে নথিভুক্ত প্রকল্পের সংখ্যাও। নভেম্বর পর্যন্ত ১,১৬,১১৭টি প্রকল্প এবং ৭১,৩০৭ জন ‘ব্রোকার’ নথিভুক্ত হয়েছেন। গত দু’বছরে নথিভুক্তি বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৬৩% ও ৪৭%।
অ্যানারকের চেয়ারম্যান অনুজ পুরী বলেন, ‘‘রেরা-র মূল উদ্দেশ্য ক্রেতাদের উদ্বেগ কমানো। এই আইনে প্রকল্পের নথিভুক্তি বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য।’’ উপদেষ্টা সংস্থাটির রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে রেরায় কোনও প্রকল্পের নথিভুক্তি বা অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়নি। পরবর্তী দু’বছরে অবশ্য ১৬৭টি প্রকল্প নথিভুক্ত হয়েছে। নিষ্পত্তি হয়েছে ৫১টি অভিযোগ।
প্রথমে কেন্দ্রীয় আইন রূপায়ণ না করে পৃথক আইন (হিরা) চালু করেছিল পশ্চিমবঙ্গ। সেই আইনে কিছু প্রকল্পের নথিভুক্তি ও কয়েকটি অভিযোগের মীমাংসাও হয়। পরে ক্রেতা সংগঠনের মামলার ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট হিরাকে অসাংবিধানিক আখ্যা দেওয়ায় রেরা চালুর জন্য রাজ্য বিধি প্রণয়ন করে। গঠিত হয় রেরা কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, অপেক্ষাকৃত ছোট প্রকল্পকেও রেরা-র আওতায় এনেছে রাজ্য। আগে এ রাজ্যে ৫০০ বর্গ মিটারের (৭.৪৭৫ কাঠা) চেয়ে বড় জমি বা আটটি ফ্ল্যাটের চেয়ে বড় আবাসনের ক্ষেত্রে আবাসন আইন কার্যকর হত। এখন ২০০ বর্গ মিটারের (প্রায় ৩ কাঠা) চেয়ে ছোট জমি বা ছ’টি ফ্ল্যাটের (অ্যাপার্টমেন্ট) চেয়ে ছোট আবাসন প্রকল্পকে রেরা-র বাইরে রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy