মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এ রাজ্যে আবার ক্ষমতায় ফেরার সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই বেদান্ত গোষ্ঠীকে পশ্চিমবঙ্গে লগ্নি করার প্রস্তাব দিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বলে জানালেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান অনিল আগরওয়াল। সোমবার বণিকসভা ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত এক অনলাইন সভায় তিনি লগ্নিকারীদের টানতে বর্তমানে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির বদলে যাওয়া আগ্রাসী মনোভাবের প্রশংসা করেন। তার পরেই বলেন, ‘‘এটা অসাধারণ ব্যাপার যে, বাংলায় ফের সরকার গড়ার ১৪-১৫ দিনের মধ্যে এ রাজ্যে লগ্নি করার জন্য আমার সঙ্গে দু’বার যোগাযোগ করা হয়েছিল।’’ তবে এ নিয়ে বিশদে আর কিছু জানাননি তিনি।
সম্প্রতি শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, রাজ্যে কর্মসংস্থানই তাঁদের পাখির চোখ। সে জন্য ছোট-মাঝারি শিল্পের পাশাপাশি দু’তিনটি বড় অঙ্কের লগ্নি পেতেও আগ্রহী তাঁরা। মন্ত্রীর দাবি ছিল, রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের ল্যান্ডব্যাঙ্ক থেকে জমি নিয়ে বিনিয়োগের জন্য আবেদন জানিয়েছে ২৫টি সংস্থা। ইস্পাত-সহ কিছু ক্ষেত্রে বড় পুঁজি আসার সম্ভাবনাও রয়েছে। খড়্গপুর ও রঘুনাথপুরে দু’টি বড় সংস্থা তাদের প্রকল্প সম্প্রসারণে আগ্রহী।
উল্লেখ্য, বাম জমানায় রাজ্যে ইস্পাত কারখানা তৈরি করা নিয়ে বেদান্তের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিষয়টি এগোয়নি।
এ দিন বেদান্ত কর্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদেরও প্রশংসা করে বলেন, শিল্প কী চায় তার মূল্য দেন তাঁরা। অনিলের পরামর্শ, সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির ৬০-৭০ শতাংশ অংশীদারির বিলগ্নি করতে পারে। সেগুলির মূল্য অন্তত তিন-চারগুণ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তহবিল গড়তে সম্প্রতি লন্ডনের লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে জোট বাঁধার কথা জানিয়েছেন তিনি। যা দিয়ে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় লগ্নি করাও লক্ষ্য। তাঁর বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রসঙ্গে এ দিন অনিলের বার্তা, ‘‘দক্ষতার সঙ্গে উৎপাদন করা হলে খরচ হবে ইউনিটে এক টাকা। ফলে তা জোগানো যেতে পারে ইউনিট পিছু ২-৩ টাকায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy