Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Coal Mine

ডেউচায় আন্তর্জাতিক দরপত্র শীঘ্রই

তবে কয়লা ভান্ডারের উপরে কালোপাথরের স্তর রয়েছে। নিগম সূত্রের খবর, সেখানকার প্রায় ৪২০ একর জমির বেশিরভাগই সরকারি। অল্প রায়তি।

An image of Coal

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:০৯
Share: Save:

বীরভূমের ডেউচা পাঁচামির কয়লা ভান্ডার থেকে দ্রুত কয়লা উত্তোলন শুরু করতে চাইছে রাজ্য। তাদের দাবি, সেন্ট্রাল মাইন প্ল্যানিং অ্যান্ড ডিজ়াইন ইনস্টিটিউট (সিএমপিডিআই) সেখানে উত্তোলনের জন্য ইতিবাচক সমীক্ষা রিপোর্ট দিয়েছে। এ বার শীঘ্রই তার জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র চাইবে রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম। তবে ওই কয়লা ভান্ডারের উপরে কালোপাথরের (ব্ল্যাকস্টোন) মজুত ভান্ডার থাকায় আগে তা তোলা জরুরি।
তাই সংশ্লিষ্ট এলাকার জমিদাতাদের চাকরি-সহ পুনর্বাসন প্যাকেজ দিয়ে, তার পরে সেই পাথর তুলতে কয়েক মাসের মধ্যে দরপত্র চাওয়া হবে।

সপ্তম বেঙ্গল গ্লোবাল বিজ়নেস সামিট (বিজিবিএস) উপলক্ষে বুধবার বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গনে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের রূপান্তর ও ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত বিভিন্ন আলোচনায় সরকারি সংস্থাগুলির পাশাপাশি বেসরকারি ক্ষেত্রের কর্তারা অংশ নেন। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের সচিব ও তথা রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের সিএমডি পি বি সেলিম জানান, সাতটি স্তরে ১১৫০ কোটি টন কয়লা মজুত রয়েছে ডেউচা পাঁচামির ব্লকে। তা উত্তোলনের জন্য সমীক্ষার প্রাথমিক কাজ শেষ। ভূতাত্ত্বিক ও সম্ভাব্যতার ইতিবাচক রিপোর্ট দিয়েছে সিএমপিডিআই। শীঘ্রই চাওয়া হবে আন্তর্জাতিক দরপত্র।

তবে কয়লা ভান্ডারের উপরে কালোপাথরের স্তর রয়েছে। নিগম সূত্রের খবর, সেখানকার প্রায় ৪২০ একর জমির বেশিরভাগই সরকারি। অল্প রায়তি। যেখানে কোনও বসতি, কলোনি, জঙ্গল বা পাথর খাদান নেই, সেখান থেকেই শুরু হবে পাথর উত্তোলন। তবে রায়তি জমির জমিদাতাদের চাকরি ও পুনর্বাসন প্রকল্প দেওয়ার পরেই এগোবে নিগম। সূত্রের দাবি, ওই পাথরে আগ্রহ দেখা গিয়েছে বিশ্ব বাজারে। বাংলাদেশেই তা মূলত রফতানি হবে। উত্তোলনের জন্য দরপত্র ক’মাসের মধ্যে চাওয়া হতে পারে।

সেলিম জানান, রাজ্যে চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে। সেগুলি গড়ে উঠবে বক্রেশ্বর (৬৬০ মেগাওয়াট), দুর্গাপুর (৬০০ মেগাওয়াট) এবং সাঁওতালডিহিতে (৮০০ মেগাওয়াটের দু’টি ইউনিট)। লগ্নি হতে পারে ২০-২৫ হাজার কোটি টাকা। সভায় বিকল্প বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ক্ষেত্রের সম্ভাবনা নিয়েও কথা হয়। বৈদ্যুতিক গাড়ির অ্যাপ-ভিত্তিক পরিষেবা সংস্থা ইসি হুইলস ইন্ডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বৈদ্যুতিক গাড়িতে ভর্তুকির বদলে পথ অতিক্রমের ক্ষেত্রে কিলোমিটারের ভিত্তিতে ভর্তুকির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার প্রস্তাব দেন। পরে তিনি জানান, আরও বৈদ্যুতিক গাড়ি চালু করতে ও পরিকাঠামো নির্মাণে দু’বছরে রাজ্যে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা ঢালবেন। অ্যাপ নির্ভর ৬০টি শাটল বাস চালাতে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে চুক্তি করেছে উব্‌র।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy